দেশের এই পচা-নোংরা-নষ্ট রাজনীতিতে ফিরতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি বলেছেন, আমার স্পষ্ট কথা, আমি বারবার বলেছি, আমার রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে নিজের নিরাপত্তাজনিত সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সোহেল তাজ বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের ওপরই প্রতিহিংসা বা নিপীড়ন করা সঠিক না। সেটা যে দলেরই হোক। এখানে অনেক নিরীহ নেতাকর্মী আছেন। তাদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়নের নিন্দা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাল ধরছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নষ্ট রাজনীতিতে ফিরতে চাই না। আমি আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলগুলোকে বলতে চাই, ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হলে একটু আত্মসমালোচনা ও আত্ম-উপলব্দি করা খুব প্রয়োজন। কোনও রাজনৈতিক দলের ওপরই প্রতিহিংসা করা উচিত নয়। আওয়ামী লীগের অনেক নিরীহ নেতাকর্মী রয়েছেন, যাদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন হচ্ছে। এটির নিন্দা জানাই। যেসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা সবাই দোষী নয়। এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও সচেতন হওয়া জরুরি। এর সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। তাই এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি। তাদের প্রথম দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সোহেল তাজ। পোস্টে তাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অনুসরণ এবং পথরোধ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওই পোস্টের সঙ্গে সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করেন সোহেল তাজ। প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। পোস্টে তাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অনুসরণ এবং পথরোধ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধান। আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতি উত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না। জবাবে সে আমাকে বলল আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বলল যে, সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বলল চলে যেতে, আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেলো। তিনি আরও লিখেছেন, তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা, এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে, ছি! ছি!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সোহেল তাজ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। তাই এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বেশি। তাদের প্রথম দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সোহেল তাজ। পোস্টে তাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অনুসরণ এবং পথরোধ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওই পোস্টের সঙ্গে সেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করেন সোহেল তাজ। প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। পোস্টে তাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অনুসরণ এবং পথরোধ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত বুধবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধান। আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতি উত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না। জবাবে সে আমাকে বলল আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বলল যে, সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বলল চলে যেতে, আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেলো। তিনি আরও লিখেছেন, তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা, এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে, ছি! ছি!