মুক্তেশ্বরী নদীতে প্রবাহ

জলাবদ্ধতার অভিশাপ মুক্ত বিল হরিণার ফসলি জমি

আপলোড সময় : ১৭-০৮-২০২৪ ১০:৫২:২৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৮-০৮-২০২৪ ১২:২১:৫৮ পূর্বাহ্ন

যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
অবশেষে যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাঁতুড়িয়া-নারায়ণপুর মুক্তেশ^রী নদীতে প্রবাহ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে একটি প্রভাবশালী মহল মুক্তেশ্বরী নদী ও কাঁচিকাটা খালের সংযোগস্থল মাটি ভরাট করে জবর-দখল করে রাখায় নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হরিণাসহ পাশর্^বর্তী ১০টি বিলের হাজার হাজার একর জমিতে স্থায়ী জলবদ্ধতা দেখা দেয়। সম্প্রতি চাঁচড়া ইউনিয়নের ৪ গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে মুক্তেশ^রী নদীর খনন কাজ শুরু করেন। কাজেই মুক্তেশ^রী নদী দিয়ে হরিণাসহ পাশর্^বর্তী বিলের পানি দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে। জমি থেকে পানি বেরিয়ে যাওয়ার কারণে এবার হাজার হাজার একর জমিতে আশানুরুপ ফসল ফলানোর স্বপ্ন দেখছেন এলাকার কৃষকরা।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে যেয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মুক্তেশ^রী নদীর দুই মাথা ও কাঁচিকাটা খালের সংযোগস্থল মাটি ভরাট করে দখল করে রেখেছিল। ফলে হরিণাসহ আশপাশের ১০টি বিলের পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। কাজেই হরিণাসহ অন্যান্য বিলে সারা বছর স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সে কারণে হাজার হাজার একার জমিতে এলাকার কৃষকরা ফসল ফলাতে ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি চাঁচড়া ইউনিয়নের ৪ গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে মুক্তেশ^রী নদী ও কাঁচিকাটা খালের সংযোগস্থল খনন শুরু করেন। ফলে হরিণাসহ পাশর্^বর্তী বিলের পানি দ্রুত এই নদী দিয়ে  নেমে যাচ্ছে। এতে করে হরিণাসহ রুপদিয়া, মাহিদিয়া, পাতেল, নতুনহাট মেঘলা, সাড়াপোল সিংহা, খরিচাডাঙ্গা, বাগেরহাট ও রুদ্রপুর বিলের পানি দ্রুত এই নদী দিয়ে নেমে যাওয়ায় এলাকার শত শত কৃষকের মুখে হাঁসি ফুঁটেছে। স্থানীয় কৃষক হাশেম আলী, হযরত আলী, তরিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মশিয়ার রহমান ও আরিফ হোসেন জানান, একটি প্রভাবশালী মহল মুক্তেশ^রী নদীর প্রবাহ বন্ধ করে রাখায় হরিণাসহ আশপাশের বিলগুলো স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়। কাজেই হাজার হাজার একর জমি সারা বছর পানিতে ডুবে থাকায় ফসল ফলানো সম্ভব হয়নি। এখন নদীতে প্রবাহ শুরু হয়েছে এবং বিলের পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। সে কারণে আগামী মৌসুমে আশানুরুপ ফসল ফলানো সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করছি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে যশোর সদর সহকারী জজ আদালতে মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যক্তি নদীর জমি তার দাবী করে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৪০/৯৫। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে এক রায়ে বলেন, মুক্তেশ^রী নদীর জায়গা সরকারি সম্পত্তি, কাজেই এ নদীর প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না। অথচ বিজ্ঞ আদালতের রায় উপেক্ষা করে প্রভাবশালী মোস্তফা কামাল মুক্তেশ^রী নদীর দুই মাথা এবং কাঁচিকাটা খালের সংযোগস্থল মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে হরিণাসহ ১০টি বিল স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net