বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রদীপ কুমার সেন
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে হত্যা-নির্যাতনের চিহ্ন ৭১ যাদুঘর, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্মৃতিস্তম্ভ, কালা পোল বৌদ্ধ ভূমিসহ বেগমগঞ্জে দুষ্কৃতকারীরা বাচাই করে ধ্বংস ও ক্ষতি করায় জনগণের বুকের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
১৯৭১ সালে ১৭ই এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী সৈন্যরা কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট থেকে লাকসাম হয়ে সোনাইমুড়ী ও চৌমুহনীর দিকে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে অগ্নি সংযোগ-লুটপাট চালাতে চালাতে বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে ক্যাম্প স্থাপন করে। তারা পুরো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় এ ক্যাম্পে এনে নারীদের ধর্ষণের পর ও পুরুষদেরকে বেনয়েড দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে থাকতো। হত্যার পর চৌরাস্তার উত্তরে কালা পোলে নিয়ে বস্তা ভর্তি করে মহেন্দ্র খালে ফেলে দিতো। এরপর লাশগুলো পশ্চিম দিকে লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল হয়ে মেঘনা নদীতে পরবর্তীতে বঙ্গপসাগরে চলে যেতো। পাক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় ফেনাঘাটা পোল, আমিন বাজার, বাংলা বাজার, গোপালপুর, বিজয়নগর, চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতো। এসব স্মৃতি রক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চেতনা ৭১ যাদুঘর, চৌরাস্তায় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমি স্মৃতিস্তম্ভ, কালা পোল বৌদ্ধভূমি, আমিন বাজারের রুহুল আমি স্মৃতিশোধক, গোপালপুরের গণহত্যা, চৌমুহনী গণমিলনায়তন বর্তমানে পাবলিক হল, বিজয় নগরের স্মৃতি সংরক্ষণাগার করা হয়।
৫ আগস্ট সোমবার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন ও তৎপরবর্তীতে একের পর এক অনেকগুলি স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস ও কয়েকটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লালন ও ধারণ করা লোকজনের বুকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারা কোনভাবেই জাতির এই সত্তার উপর আঘাত কোনভাবে সহ্য করতে পারছে না। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি করে আসছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, কোথায় কি ক্ষতি হয়েছে তা আমাদের কাছে ধাপে ধাপে তালিকা আসতেছে। আমরা এই বিষয়গুলো কিভাবে কি করা যায় খতিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহা-সচিব ডাঃ এবিএম জাফর উল্যাহ বলেন, যারা এসব কাজ করেছে তারা পাক বাহিনীর দোসরদের ওয়ারিশ ও জেরওয়ারিশ। এ ঘটনাগুলির এখন কে বিচার করবে। আল্লাহ ছাড়া এর বিচার করার কেউ নেই। তবে ধ্বংস করে দেয়া স্মৃতিগুলো পুনঃনির্মাণ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙ্গালী বলেন, আমাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। যুদ্ধকালীন স্মৃতিগুলি রক্ষা বিভিন্নস্থানের মত বেগমগঞ্জে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলি স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে দু®ৃ‹তকারীরা আজ ধ্বংস করে দেয়ার মিশন নিয়ে নেমেছে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে হত্যা-নির্যাতনের চিহ্ন ৭১ যাদুঘর, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্মৃতিস্তম্ভ, কালা পোল বৌদ্ধ ভূমিসহ বেগমগঞ্জে দুষ্কৃতকারীরা বাচাই করে ধ্বংস ও ক্ষতি করায় জনগণের বুকের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
১৯৭১ সালে ১৭ই এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী সৈন্যরা কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট থেকে লাকসাম হয়ে সোনাইমুড়ী ও চৌমুহনীর দিকে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে অগ্নি সংযোগ-লুটপাট চালাতে চালাতে বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে ক্যাম্প স্থাপন করে। তারা পুরো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় এ ক্যাম্পে এনে নারীদের ধর্ষণের পর ও পুরুষদেরকে বেনয়েড দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে থাকতো। হত্যার পর চৌরাস্তার উত্তরে কালা পোলে নিয়ে বস্তা ভর্তি করে মহেন্দ্র খালে ফেলে দিতো। এরপর লাশগুলো পশ্চিম দিকে লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল হয়ে মেঘনা নদীতে পরবর্তীতে বঙ্গপসাগরে চলে যেতো। পাক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় ফেনাঘাটা পোল, আমিন বাজার, বাংলা বাজার, গোপালপুর, বিজয়নগর, চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতো। এসব স্মৃতি রক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চেতনা ৭১ যাদুঘর, চৌরাস্তায় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমি স্মৃতিস্তম্ভ, কালা পোল বৌদ্ধভূমি, আমিন বাজারের রুহুল আমি স্মৃতিশোধক, গোপালপুরের গণহত্যা, চৌমুহনী গণমিলনায়তন বর্তমানে পাবলিক হল, বিজয় নগরের স্মৃতি সংরক্ষণাগার করা হয়।
৫ আগস্ট সোমবার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন ও তৎপরবর্তীতে একের পর এক অনেকগুলি স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস ও কয়েকটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লালন ও ধারণ করা লোকজনের বুকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারা কোনভাবেই জাতির এই সত্তার উপর আঘাত কোনভাবে সহ্য করতে পারছে না। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি করে আসছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, কোথায় কি ক্ষতি হয়েছে তা আমাদের কাছে ধাপে ধাপে তালিকা আসতেছে। আমরা এই বিষয়গুলো কিভাবে কি করা যায় খতিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহা-সচিব ডাঃ এবিএম জাফর উল্যাহ বলেন, যারা এসব কাজ করেছে তারা পাক বাহিনীর দোসরদের ওয়ারিশ ও জেরওয়ারিশ। এ ঘটনাগুলির এখন কে বিচার করবে। আল্লাহ ছাড়া এর বিচার করার কেউ নেই। তবে ধ্বংস করে দেয়া স্মৃতিগুলো পুনঃনির্মাণ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙ্গালী বলেন, আমাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। যুদ্ধকালীন স্মৃতিগুলি রক্ষা বিভিন্নস্থানের মত বেগমগঞ্জে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলি স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে দু®ৃ‹তকারীরা আজ ধ্বংস করে দেয়ার মিশন নিয়ে নেমেছে।