রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন দেওয়া হয়নি, লেগে গেছে

আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৪ ০৯:২২:০৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৪ ০৯:২২:০৫ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তার ঠিক পাশের একটি বাড়িতে থাকতেন জলের গানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও লিড ভোকালিস্ট সংগীত শিল্পী রাহুল আনন্দ। ওইসময় তার বাড়িতেও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের সেই আগুনে পুড়ে যায় রাহুল আনন্দের নিজের হাতে বানানো তিন শতাধিক বাদ্যযন্ত্র। লুটপাট করা হয় এই সংগীতশিল্পীর বাড়ির মালামালও। বিষয়টি নিয়ে অনেকে অনেক রকম কথা ছড়াচ্ছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানা গেছে যখন ফ্যাশন হাউস খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফারহানা হামিদ ‘জলের গানের’ (রাহুল আনন্দের ব্যান্ড) অফিশিয়াল পেজ থেকে একটি লেখা শেয়ার করেন। গত ৯ আগস্ট ফারহানা হামিদের পোস্টটি ‘জলের গানের’ (রাহুল আনন্দের ব্যান্ড) অফিশিয়াল পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘প্লিজ, লেখাটা পড়ুন ও সত্যটা জানুন।’ ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশজুড়ে বিজয় মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এদিন বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কিছুকিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরও এসেছে। এর মধ্যেই ‘জলের গান’-এর সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দ ও খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ও চিত্রশিল্পী ঊর্মিলা শুক্লার ধানমন্ডি ৩২-এর ভাড়া বাড়িতে আগুনের ঘটনাকে কলকাতা ও ঢাকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তেমনটাই ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আগুনের ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে ফ্যাশন ডিজাইনার ফারহানা হামিদ লিখেছেন, ‘রাহুল আনন্দের বাসা উদ্দেশ্য করে আগুন দেয়া, লুটপাট বা ভাঙচুর করা হয়নি। আগুন দেয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ৩২ এর বর্তমান বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ।’ তিনি আরও লেখেন, ‘রাহুলদা একটা একতলা বাসায় ভাড়া থাকতেন। একপাশে তাদের সংসার, অন্য পাশে জলের গানের স্টুডিও (অনেকের ভিডিওতে এই বাসাটা নিয়ে ভুলভাল কথা বলতে দেখেছি আমি) সেই বাড়িটা ব্যক্তিমালিকানায় ছিল। ৩২-এর সেখানে আরও অনেক এমন বাসা আছে। রাহুলদা ও তার পরিবারের দুর্ভাগ্য এই মায়াময় বাসাটা নতুন মিউজিয়ামের দেয়াল ঘেষে এবং সান্তুরের পিছনে ছিল, তাই তার বাসাতেও আগুন দেয়া হয়।’ তার ভাষায়, ‘রাহুলদাকে উদ্দেশ্য করে আগুন দিলে তারা এই পরিবারকে এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতো না। আর সুযোগ না দিলে সেই বাসা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। রাহুলদার বাসায় আগুনের সাথে রাহুলদার ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতি এর কোন সম্পর্ক নেই। তাই এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি। দেশের এই পরিস্থিতিতে যে কোনো গুজব ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।’
‘আমরা সচেতন হই। একটা সংসার, একটা দলের বহুদিনের সাধনা, একজন বাচ্চার শৈশব এর সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আর কারও কোনো কিছু পুড়ে না যাক। ভালোবাসা নেমে আসুক মানুষের মনে, আপনারা তাদের পাশে থাকলে আবার ‘জলের গান’-এর সাথে গলা মিলিয়ে গান গাইবো।’ ফারহানা হামিদের এই পোস্টের সত্যতা রাহুল আনন্দ ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই নিশ্চিত করেছে সংবাদ মাধ্যম। কারণ তারা চাইছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো গুজব বা দাঙ্গার সৃষ্টি যেন না হয়।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net