পুঁজি হারানোর শঙ্কায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা

আপলোড সময় : ০১-০৮-২০২৪ ১১:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০১-০৮-২০২৪ ১১:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
দোকান-পাট খোলার পাঁচদিন পার হলেও ক্রেতা সংকটে ব্যবসা জমেনি ফুটপাতের দোকানগুলোতে। বেচা-বিক্রি না থাকায় স্বল্প আয়ের ব্যবসায় পুঁজি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় পকেট খরচ তুলতেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা। গতকাল বুধবার ফার্মগেট, নিউমার্কেটসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কোটা সংস্কার নিয়ে টানা কয়েকদিনের আন্দোলন-অবরোধে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয় কারফিউ। তিনদিন ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। পরে গত বুধবার (২৪ জুলাই) কারফিউ শিথিল করা হলে শুরু হয় অফিস-আদালতের কার্যক্রম। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে খুলতে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও খুলতে শুরু করেন দোকান। কিন্তু ক্রেতা কম থাকায় বেশিরভাগ ব্যবসাতেই মন্দা পরিস্থিতি যাচ্ছে। বড় ব্যবসায়ীরা ধাক্কা সামলে নিতে পারলেও ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। বেচা-বিক্রি না থাকায় মূলধন হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন তারা। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, কারফিউ কিছু সময় শিথিল থাকলেও ক্রেতা আসছে না। এ সময়টাতে কর্মব্যস্ত মানুষ ছুটছেন অফিস-কর্মক্ষেত্রে। এছাড়া, মাসের শেষ হওয়ায় মানুষের হাতে বাড়তি পণ্য কেনার মতো টাকাও নেই। যে কারণে বিক্রি তলানিতে নেমেছে। টানা দোকান বন্ধ থাকা এবং এরপর বিক্রি কমে যাওয়ায় পুঁজি ভেঙে সংসারের খরচ মেটাচ্ছেন তারা। ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতের বিক্রেতা রিয়াজুল বলেন, আমাদের ক্রেতা মূলত স্বল্প আয়ের মানুষ। কদিন ধরে মানুষজন ঘরে বন্দি ছিলেন। কোনো ইনকাম নেই। নগদ টাকা যা ছিল, খেয়েপরে বেঁচে আছেন। এখন খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে ব্যস্ত তারা। কাপড়-চোপড়ে মনোযোগ নেই। তবে স্কুল-কলেজ খোলা থাকলে তাও কিছুটা বিক্রি হত। মাহবুব নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ফুটপাতে আসলে বেচা-বিক্রি হয় মানুষের অফিস যাওয়া-আসার সময়। কারফিউয়ের কারণে মানুষ রাস্তায় দাঁড়াচ্ছেন কম। বাসায় ফেরার জন্য ব্যস্ত থাকছেন বেশি। তাছাড়া মাসের শেষে মানুষের হাতে টাকা-পয়সা কম। বেতন পেলে হয়তো আমাদেরও বিক্রি বাড়বে। কিন্তু ততোদিনে ব্যবসার পুঁজি থাকলেই হয়। ভাত তো আমাদেরও খাইতে হয়। নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে গৃহস্থালি পণ্য বিক্রেতা রইস উদ্দিন বলেন, ১০ দিন পর দোকান খুলছি। গ্রামেও যাইতে পারি নাই। ঘরে আটকে থেকে হাত একদম খালি। কিন্তু ব্যবসার যে পরিস্থিতি, যা বিক্রি হচ্ছে, সেটা দিয়ে নিজের পকেট খরচই উঠছে না। হাতে নিয়ে মেয়েদের জুয়েলারি বিক্রি করতেন মাতুব্বর আলী। চলামান পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিবর্তন করে চাঁদনী চকের সামনে শসা বিক্রি করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘জানি বিক্রি হইবো না। তাই ব্যবসা পাল্টাইছি। প্যাট তো আর বইস্যা থাকতে দেয় না। অবস্থা ভালা হইলে আবার পুরান ব্যবসায় ফেরত যামু।’

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net