কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা ডেকেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এ সভায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় না করে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন তিনি। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাঝেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় ওবায়দুল কাদেরকে ‘ভুয়া’ বলেও আওয়াজ দিতে শোনা গেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে তার ছেলের সামাজিকমাধ্যমে দেয়া পোস্ট নিয়ে ‘আপনি এখানে কেন’ বলেও প্রশ্ন করতে শোনা যায়। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মতবিনিময় সভায় যথাসময়ে কয়েক শ’ নেতা উপস্থিত হন। তারা সভাস্থলে বসেছিলেন। তাদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা বা মতবিনিময় না করেই সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এতে ক্ষুব্দ হয়ে প্রথমে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা, পরে যা হট্টোগলে রূপ নেয়। কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, মতবিনিময় সভা ডেকে সংবাদ সম্মেলন করছেন। তাহলে আমাদের ডাকলেন কেন? আগে আমাদের কথা শুনবেন, আলোচনা করবেন, তারপর সংবাদ সম্মেলন করেন। তা না করে সাংবাদকিদের সামনে কথা বলা শুরু করে দিলেন...।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী নেতারা আরও জানান, এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে সংবাদ সম্মেলন অন্যান্য দিনের মতো দীর্ঘ না করে সভাস্থল ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় পেছনে বসা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে আওয়াজ করেন, তারপর অনেকেই ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে ওঠেন। পরে সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় না করেই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নিজের অফিসে চলে যান ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নিচ তলা ও সামনের সড়কে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে এসব নেতারা নিজেদের মতো করে চলে যান।
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হলে সাবেক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা উচ্চস্বরে বলে ওঠেন, আপনি এখানে কেন এসেছেন? আপনার ছেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দিয়েছেন কেন? ড. আব্দুর রাজ্জাক সভাস্থল ত্যাগ করার সময় ঘিরে ধরে একই রকম নানা কথা বলতে থাকেন ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতা। এরমধ্যেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন আব্দুর রাজ্জাক। এদিন ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মতবিনিময় সভায় আসা ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা সাংবাদিকদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল আসাদ রাসেলকেও দেখা যায়। তাকে শোকজের নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আসাদকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু গতকাল বুধবার ওবায়দুল কাদেরের গাড়ির সামনেই অবস্থান নিতে দেখা যায় ‘প্রোটকল বাহিনী’র সদস্য হিসেবে পরিচিত আসাদকে।
কোটা আন্দোলনের নামে যারা নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, অভিমান ভুলে সকল নেতাকর্মীদের এক সাথে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেখবে মাঠে কারা থাকে। পার্টি অফিসে বসে থাকতে দেয়া হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গাতে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হবে। সে কথা আজ জানিয়ে দেয়া হলো। যাকে যেখানে দায়িত্ব দেয়া হবে, মনে রাখতে হবে; এ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমরা ভবিষ্যতে মূল্যায়ন করবো। এটা আমি দলের সভাপতির পক্ষ থেকে আপনাদের বলছি। সংকটে যারা ঝুঁকি নেবেন, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন থাকবে। তিনি বলেন, আর যারা কোনো কাজ করবে না, শুধু অফিসে এসে প্রটোকল দেবেন-এমন নেতাকর্মীদের আমাদের দরকার নেই। কোনো প্রটোকল দরকার নেই। আমাদের প্রটোকল আমাদের আদর্শ। আমাদের প্রটোকল আমাদের রাজনীতির আদর্শ। কোনো ব্যক্তির আওয়ামী লীগ অফিসের জন্য তার প্রটোকল দেয়ার কোনো দরকার নেই। অনুগ্রহ করে আমি এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের প্রতিরোধে মুখে দুর্বৃত্তরা পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি। কিন্তু সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলে আক্রমণ করতে সফল হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে আমাদের লড়তে হবে একসঙ্গে। মান অভিমান সব ভুলে যেতে হবে। আজ ওই শক্তি যদি আরও প্রশ্রয় পায় তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। অশুভ শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মতবিনিময় সভায় যথাসময়ে কয়েক শ’ নেতা উপস্থিত হন। তারা সভাস্থলে বসেছিলেন। তাদের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা বা মতবিনিময় না করেই সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এতে ক্ষুব্দ হয়ে প্রথমে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা, পরে যা হট্টোগলে রূপ নেয়। কয়েকজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন, মতবিনিময় সভা ডেকে সংবাদ সম্মেলন করছেন। তাহলে আমাদের ডাকলেন কেন? আগে আমাদের কথা শুনবেন, আলোচনা করবেন, তারপর সংবাদ সম্মেলন করেন। তা না করে সাংবাদকিদের সামনে কথা বলা শুরু করে দিলেন...।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী নেতারা আরও জানান, এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে সংবাদ সম্মেলন অন্যান্য দিনের মতো দীর্ঘ না করে সভাস্থল ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় পেছনে বসা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে আওয়াজ করেন, তারপর অনেকেই ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে ওঠেন। পরে সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় না করেই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নিজের অফিসে চলে যান ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নিচ তলা ও সামনের সড়কে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাও ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে এসব নেতারা নিজেদের মতো করে চলে যান।
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হলে সাবেক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা উচ্চস্বরে বলে ওঠেন, আপনি এখানে কেন এসেছেন? আপনার ছেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী পোস্ট দিয়েছেন কেন? ড. আব্দুর রাজ্জাক সভাস্থল ত্যাগ করার সময় ঘিরে ধরে একই রকম নানা কথা বলতে থাকেন ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতা। এরমধ্যেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন আব্দুর রাজ্জাক। এদিন ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মতবিনিময় সভায় আসা ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা সাংবাদিকদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল আসাদ রাসেলকেও দেখা যায়। তাকে শোকজের নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আসাদকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং ধানমন্ডিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু গতকাল বুধবার ওবায়দুল কাদেরের গাড়ির সামনেই অবস্থান নিতে দেখা যায় ‘প্রোটকল বাহিনী’র সদস্য হিসেবে পরিচিত আসাদকে।
কোটা আন্দোলনের নামে যারা নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, অভিমান ভুলে সকল নেতাকর্মীদের এক সাথে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেখবে মাঠে কারা থাকে। পার্টি অফিসে বসে থাকতে দেয়া হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গাতে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হবে। সে কথা আজ জানিয়ে দেয়া হলো। যাকে যেখানে দায়িত্ব দেয়া হবে, মনে রাখতে হবে; এ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমরা ভবিষ্যতে মূল্যায়ন করবো। এটা আমি দলের সভাপতির পক্ষ থেকে আপনাদের বলছি। সংকটে যারা ঝুঁকি নেবেন, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন থাকবে। তিনি বলেন, আর যারা কোনো কাজ করবে না, শুধু অফিসে এসে প্রটোকল দেবেন-এমন নেতাকর্মীদের আমাদের দরকার নেই। কোনো প্রটোকল দরকার নেই। আমাদের প্রটোকল আমাদের আদর্শ। আমাদের প্রটোকল আমাদের রাজনীতির আদর্শ। কোনো ব্যক্তির আওয়ামী লীগ অফিসের জন্য তার প্রটোকল দেয়ার কোনো দরকার নেই। অনুগ্রহ করে আমি এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের প্রতিরোধে মুখে দুর্বৃত্তরা পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি। কিন্তু সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলে আক্রমণ করতে সফল হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে আমাদের লড়তে হবে একসঙ্গে। মান অভিমান সব ভুলে যেতে হবে। আজ ওই শক্তি যদি আরও প্রশ্রয় পায় তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। অশুভ শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।