অর্থনৈতিক রিপোর্টার
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর ১৪ নম্বরে সার্কেল-১ অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে সেখানকার ডেটা সেন্টারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স কার্ড, রুট পারমিটসহ চার ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে বিআরটিএর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন গাড়ি আমদানিকারকরা। স্বাভাবিক অবস্থায় দিনে ১০০ থেকে ১২০টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হতো বিআরটিএতে। বর্তমানে তা বন্ধ থাকায় গাড়ি আমদানিকারকদের দিনে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। এ অবস্থায় বারভিডার তরফে বিআরটিএর প্রতি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন। হাবিব উল্লাহ বলেন, দেশের আমদানি করা গাড়ির ৮০ শতাংশই তাদের সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে আমদানি হয়। এই খাতে তাদের বিনিয়োগ ২০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি আমদানি খাতে বারভিডা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্বপ্রদানকারী। বছরে গাড়ি আমদানি বাবদ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেন তারা। বর্তমানে তাদের আমদানি করা ১০০ থেকে ১২০টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয় প্রতিদিন। বিআরটিএর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে এসব গাড়ির আর রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না। এতে বারভিডার ক্ষতি হচ্ছে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা। গাড়ি রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার কারণে গ্রাহকদের থেকে গাড়ি বিক্রির অবশিষ্ট টাকাও আদায় করতে পারছেন না তারা। এতে ক্ষতির মুখে পড়ার পাশাপাশি বন্দর থেকে গাড়ি ছাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানেও জটিলতার মুখে পড়ছেন গাড়ি আমদানিকারকরা। বন্দর থেকে গাড়ি খালাস করতে সমস্যায় পড়ছেন তারা। ফলে বর্তমানে বন্দরগুলোতে বাড়ছে আমদানি করা গাড়ির জট। হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, বৃহস্পতিবার বারভিডার তরফে ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিএ কার্যালয়ের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন তারা। সেখানে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কাছে অবিলম্বে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়ার আহ্বান জানান বারভিডার নেতারা। তবে বিআরটিএ ভবন পুরোপুরি পুড়ে সার্ভার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই মুহূর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব নয় বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান। তবে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সার্ভার ঠিক করার মাধ্যমে ফের রেজিস্ট্রেশন চালুর আশ্বাস দেন তিনি।
সহিংসতার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সম্প্রতি বিআরটিএর চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল সাংবাদিকদের জানান, মিরপুর সার্কেল অফিসে অটোমেটিক ফিটনেস সনদের মেশিন পুড়ে গেছে। অন্যদিকে বনানীতে প্রধান কার্যালয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ও আইটি ডেটা সেন্টার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদ সেবা দিতে পারবে না বিআরটিএ। এদিকে বনানী ও মিরপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআরটিএ। বনানী কার্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিআরটিএর পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুল ইসলামকে। অন্যদিকে মিরপুর সার্কেল অফিসের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান বিআরটিএর উপপরিচালক রকিবুল ইসলাম। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর ১৪ নম্বরে সার্কেল-১ অফিসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে সেখানকার ডেটা সেন্টারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স কার্ড, রুট পারমিটসহ চার ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে বিআরটিএর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন গাড়ি আমদানিকারকরা। স্বাভাবিক অবস্থায় দিনে ১০০ থেকে ১২০টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হতো বিআরটিএতে। বর্তমানে তা বন্ধ থাকায় গাড়ি আমদানিকারকদের দিনে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। এ অবস্থায় বারভিডার তরফে বিআরটিএর প্রতি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন। হাবিব উল্লাহ বলেন, দেশের আমদানি করা গাড়ির ৮০ শতাংশই তাদের সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে আমদানি হয়। এই খাতে তাদের বিনিয়োগ ২০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি আমদানি খাতে বারভিডা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্বপ্রদানকারী। বছরে গাড়ি আমদানি বাবদ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেন তারা। বর্তমানে তাদের আমদানি করা ১০০ থেকে ১২০টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয় প্রতিদিন। বিআরটিএর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে এসব গাড়ির আর রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না। এতে বারভিডার ক্ষতি হচ্ছে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা। গাড়ি রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার কারণে গ্রাহকদের থেকে গাড়ি বিক্রির অবশিষ্ট টাকাও আদায় করতে পারছেন না তারা। এতে ক্ষতির মুখে পড়ার পাশাপাশি বন্দর থেকে গাড়ি ছাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানেও জটিলতার মুখে পড়ছেন গাড়ি আমদানিকারকরা। বন্দর থেকে গাড়ি খালাস করতে সমস্যায় পড়ছেন তারা। ফলে বর্তমানে বন্দরগুলোতে বাড়ছে আমদানি করা গাড়ির জট। হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, বৃহস্পতিবার বারভিডার তরফে ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিএ কার্যালয়ের ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন তারা। সেখানে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কাছে অবিলম্বে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়ার আহ্বান জানান বারভিডার নেতারা। তবে বিআরটিএ ভবন পুরোপুরি পুড়ে সার্ভার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই মুহূর্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব নয় বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান। তবে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সার্ভার ঠিক করার মাধ্যমে ফের রেজিস্ট্রেশন চালুর আশ্বাস দেন তিনি।
সহিংসতার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সম্প্রতি বিআরটিএর চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল সাংবাদিকদের জানান, মিরপুর সার্কেল অফিসে অটোমেটিক ফিটনেস সনদের মেশিন পুড়ে গেছে। অন্যদিকে বনানীতে প্রধান কার্যালয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ও আইটি ডেটা সেন্টার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদ সেবা দিতে পারবে না বিআরটিএ। এদিকে বনানী ও মিরপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআরটিএ। বনানী কার্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিআরটিএর পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুল ইসলামকে। অন্যদিকে মিরপুর সার্কেল অফিসের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান বিআরটিএর উপপরিচালক রকিবুল ইসলাম। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।