নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা জেলা সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতাল। মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম নীতিমালা। চিকিৎসার পরিবর্তে প্রতারিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। ফলে এ ধরণের অপচিকিৎসায় বিপন্ন হচ্ছে এলাকার সহজ সরল মানুষের জীবন।
নেত্রকোনা সিভিল সার্জন অফিসের নাকের ডগায় গড়ে ওঠেছে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি, ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতাল। জেলা শহরেই ৮৪টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই অনুমোদনহীন। আবার কোন কোন উপজেলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও নেই অনুমোদন। দেদারছে চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে এসব অবৈধ ব্যবসা। এরকম অবস্থায় নেত্রকোনা জেলা শহরসহ সব উপজেলায় চিকিৎসা সেবার নামে চলছে প্রতারণা। তারপরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে অপচিকিৎসার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন বলেন, তিনি ওই সমস্ত অনুমোদনহীন ক্লিনিক বন্ধ করতে চান, কিন্তু পারছেন না।
একদিকে অনুমোদনহীভাবে চলছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ও পরিবেশ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলায় ১৭৯টি ডায়াগনিস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি, ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালের নবায়নকৃত লাইসেন্স আছে এবং ২৬টি নাবয়নের জন্য আবেদন করা আছে। বাকি ১২২টির লাইসেন্স করা হলেও নিয়মের বেড়াজালে হয়নি নবায়ন। তারপরও চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। আটপাড়া উপজেলার সিজারিয়ান প্রসূতি রোগী এনাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আমার তিনদিন হয় সিজার হয়েছে। এরপর আর ডাক্তার আসেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাইভেট হাসপাতালে কয়েকজন কর্তব্যরত নার্সের সাথে কথা হয়। এদের মধ্যে নার্সিংয়ে অধ্যয়নরত, বিভিন্ন হাসপাতালে আয়ার কাজ করে এখন নার্সের কাজ করছেন।
নেত্রকোনার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খান আরজু বলেন, দাফতরিক অব্যবস্থাপনার কারণে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। যাদের ছাড়পত্র পাওয়ার যোগ্যতা আছে পরিবেশ অধিদফতর তাদের অনুমোদন দিয়ে অন্য গুলোর আবেদন বাতিল করতো তাহলে চিকিৎসা সেবার মান ভাল হতো। এছাড়াও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যে সব পরীক্ষা করা হয় অধিকাংশগুলোতে সরঞ্জামাদিই নেই। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট দফতর কর্যকর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় অথবা বাতিল করে জনসাধারণকে সঠিক চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত করা হোক। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল বলেন, আমি কয়েকদিন আগে সিভিল সার্জন অফিসের কথা বলেছিলাম। তারা বলেছেন এবছর কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। সঠিক প্রমাণাদি না থাকায় কয়েকটির লাইসেন্স বাতিল করেছেন। তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন না মেনেও কিছু ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল চলছে। এছাড়াও কিছু অনিয়মও আছে। এগুলোর ব্যাপারে সঠিক তদারকি দরকার।
নেত্রকোনা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ পরিবেশ অধিদফতরের নীতিমালা অনুযায়ী যাদের সব ঠিক আছে আমি তাদের ছাড়পত্র দিয়েছি। নেত্রকোনায় যোগদানের আগে অনেক আবেদন হয়েছিল সেগুলো যাছাই বাছাই করে কিছু অনুমোদন পেয়েছে আবার অনেকগুলো বাতিল হয়েছে। আর বিশেষ করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্য অধিদফতর দেখে। নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা অনুমোদনহীন ডায়াগনিস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের অপচিকিৎসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এরই মধ্যে জেলা সদর ও দুর্গাপুরে কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নানা ত্রুটির কারণে বন্ধ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই। কিন্তু অনেক বড় বড় রিকুয়েস্ট আসে সে জন্যে কাজ ঠিকমতো করা যায় না।
নেত্রকোনা জেলা সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতাল। মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম নীতিমালা। চিকিৎসার পরিবর্তে প্রতারিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। ফলে এ ধরণের অপচিকিৎসায় বিপন্ন হচ্ছে এলাকার সহজ সরল মানুষের জীবন।
নেত্রকোনা সিভিল সার্জন অফিসের নাকের ডগায় গড়ে ওঠেছে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি, ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতাল। জেলা শহরেই ৮৪টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই অনুমোদনহীন। আবার কোন কোন উপজেলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকলেও নেই অনুমোদন। দেদারছে চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে এসব অবৈধ ব্যবসা। এরকম অবস্থায় নেত্রকোনা জেলা শহরসহ সব উপজেলায় চিকিৎসা সেবার নামে চলছে প্রতারণা। তারপরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে অপচিকিৎসার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন বলেন, তিনি ওই সমস্ত অনুমোদনহীন ক্লিনিক বন্ধ করতে চান, কিন্তু পারছেন না।
একদিকে অনুমোদনহীভাবে চলছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ও পরিবেশ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলায় ১৭৯টি ডায়াগনিস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি, ক্লিনিক ও প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালের নবায়নকৃত লাইসেন্স আছে এবং ২৬টি নাবয়নের জন্য আবেদন করা আছে। বাকি ১২২টির লাইসেন্স করা হলেও নিয়মের বেড়াজালে হয়নি নবায়ন। তারপরও চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। আটপাড়া উপজেলার সিজারিয়ান প্রসূতি রোগী এনাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আমার তিনদিন হয় সিজার হয়েছে। এরপর আর ডাক্তার আসেনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাইভেট হাসপাতালে কয়েকজন কর্তব্যরত নার্সের সাথে কথা হয়। এদের মধ্যে নার্সিংয়ে অধ্যয়নরত, বিভিন্ন হাসপাতালে আয়ার কাজ করে এখন নার্সের কাজ করছেন।
নেত্রকোনার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রইভেট হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খান আরজু বলেন, দাফতরিক অব্যবস্থাপনার কারণে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। যাদের ছাড়পত্র পাওয়ার যোগ্যতা আছে পরিবেশ অধিদফতর তাদের অনুমোদন দিয়ে অন্য গুলোর আবেদন বাতিল করতো তাহলে চিকিৎসা সেবার মান ভাল হতো। এছাড়াও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যে সব পরীক্ষা করা হয় অধিকাংশগুলোতে সরঞ্জামাদিই নেই। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট দফতর কর্যকর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় অথবা বাতিল করে জনসাধারণকে সঠিক চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত করা হোক। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল বলেন, আমি কয়েকদিন আগে সিভিল সার্জন অফিসের কথা বলেছিলাম। তারা বলেছেন এবছর কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। সঠিক প্রমাণাদি না থাকায় কয়েকটির লাইসেন্স বাতিল করেছেন। তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন না মেনেও কিছু ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল চলছে। এছাড়াও কিছু অনিয়মও আছে। এগুলোর ব্যাপারে সঠিক তদারকি দরকার।
নেত্রকোনা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ পরিবেশ অধিদফতরের নীতিমালা অনুযায়ী যাদের সব ঠিক আছে আমি তাদের ছাড়পত্র দিয়েছি। নেত্রকোনায় যোগদানের আগে অনেক আবেদন হয়েছিল সেগুলো যাছাই বাছাই করে কিছু অনুমোদন পেয়েছে আবার অনেকগুলো বাতিল হয়েছে। আর বিশেষ করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্য অধিদফতর দেখে। নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা অনুমোদনহীন ডায়াগনিস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের অপচিকিৎসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এরই মধ্যে জেলা সদর ও দুর্গাপুরে কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নানা ত্রুটির কারণে বন্ধ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই। কিন্তু অনেক বড় বড় রিকুয়েস্ট আসে সে জন্যে কাজ ঠিকমতো করা যায় না।