
শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত রোববার রাতে ঢাবিতে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, সরকার-সরকার’, ‘রাজাকার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’-সহ বিভিন্ন সেøাগান দেয়াকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। একইসঙ্গে ‘রাজাকার’ সেøাগান দেয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি গভীর অসম্মান প্রদর্শন। এ ধরনের সেøাগানধারীদের সরকারি চাকরিতে নিষিদ্ধ করা এবং অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা বিভিন্ন সংগঠন নয়, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোকেয়া হলের মেয়েরা রাজাকার বলে সেøাগান দেয়, কোন চেতনা তারা বিশ্বাস করে? এ কোন দেশে বাস করছি? এই প্রশ্ন রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোটা সংস্কার নিয়ে যা বললেন কাদের: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো প্রকার উসকানিতে কেউ পা দেবেন না। আমাদের কেউ যেন কোনো প্রকার উসকানিতে না যায় সে ব্যাপারে আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনীতিক দল সমর্থন দিয়েছে। তাই নজর রাখতে হবে উসকানি দিয়ে-ইন্ধন দিয়ে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার আবহ তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বত্রই আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে।
সতর্ক অবস্থানে নগর আওয়ামী লীগ: ’৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী-রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ, তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে না এবং নাগরিক অধিকার সংকোচনসহ রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল ও নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। একইসঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নিজেদের রাজাকার দাবি করা স্বাধীনতার নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী বলে মনে করেন নেতারা। গত রোববার কোটা আন্দোলনকারীরা টিএসসি এলাকা ত্যাগ করার পর দিবাগত রাতে একই জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর গতকাল সোমবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলীয় কার্যালয়ে কোটাবিরোধী সমাবেশে রাজাকার এবং স্বাধীনতাবিরোধী সেøাগানের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে নেতারা এসব কথা বলেন। কোটা আন্দোলনে মিছিল ঘিরে মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থান নেয় নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহভাপতি ডাক্তার দীলিপ রায় ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির ও আক্তার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক, বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৌশিক আহমেদ জসিম, ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পলিন প্রমুখ। এদিন কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আসেন। এ সময় থানা-ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থান নিয়ে কোটাবিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সেøাগান দিতে দেখা যায়। পরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন বলেন, ঢাকায় কোনো অপশক্তিকে বিশৃঙ্খলা করতে দেব না। আমরা রাজপথে ছিলাম আছি, রাজপথে থাকবো। একইসঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা-নাশকতা রুখে দিতে আমরা মাঠে আছি এবং থাকবো। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির বলেন, যতদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ; নিরাপদ বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, আজকে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নিজেদের রাজাকারের দোসর হিসেবে সেøাগান দিয়েছে, আমাদেরও আর বুঝতে বাকি নেই-তারা প্রকৃতপক্ষে রাজাকারের সন্তান এবং তাদের নাতি-পুতি। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে রাজাকারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা সংকুচিতসহ তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিক বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে রাজাকারদের সন্তানদের সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে চিরতবে বিদায় জানাতে হবে।
দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেবো না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী, আমরা দেশকে কখনো অস্থিতিশীল করতে দেবো না। গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত রোববার রাতে যে ধরনের সেøাগান দেয়া হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী সেøাগান। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে সেøাগান, এটি রাষ্ট্রবিরোধী সেøাগান। এটি সরকারবিরোধী নয়, এটি রাষ্ট্রবিরোধী সেøাগান। একইসঙ্গে সেখানে সরকারবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীবিরোধী সেøাগান দেয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট আমরা যে বলেছিলাম আগে যে কোটা আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে। আমরা যেটি বলেছিলাম সেটি তারা স্পষ্ট করেছে। এটি আসলে ঔদ্ধত্বপূর্ণ সেøাগান এবং বক্তব্য, এতে প্রমাণিত হয় এটি কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়।
রাজাকার বলে সেøাগান দেয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’ সেøাগান দেয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি গভীর অসম্মান প্রদর্শন। এ ধরনের সেøাগানধারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ??‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান?’। গতকাল সোমবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের শাস্তির দাবি করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন। নেতৃদ্বয় বলেন, নিজেকে রাজাকার, রাজাকার সেøাগান দেয়া-মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এই ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অবিলম্বে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করে এদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি-বেসরকারি সকল চাকরিতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
কোটা সংস্কার নিয়ে যা বললেন কাদের: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো প্রকার উসকানিতে কেউ পা দেবেন না। আমাদের কেউ যেন কোনো প্রকার উসকানিতে না যায় সে ব্যাপারে আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনীতিক দল সমর্থন দিয়েছে। তাই নজর রাখতে হবে উসকানি দিয়ে-ইন্ধন দিয়ে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলার আবহ তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বত্রই আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে।
সতর্ক অবস্থানে নগর আওয়ামী লীগ: ’৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী-রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ, তাদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে না এবং নাগরিক অধিকার সংকোচনসহ রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল ও নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। একইসঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নিজেদের রাজাকার দাবি করা স্বাধীনতার নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী বলে মনে করেন নেতারা। গত রোববার কোটা আন্দোলনকারীরা টিএসসি এলাকা ত্যাগ করার পর দিবাগত রাতে একই জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর গতকাল সোমবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলীয় কার্যালয়ে কোটাবিরোধী সমাবেশে রাজাকার এবং স্বাধীনতাবিরোধী সেøাগানের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে নেতারা এসব কথা বলেন। কোটা আন্দোলনে মিছিল ঘিরে মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থান নেয় নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহভাপতি ডাক্তার দীলিপ রায় ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির ও আক্তার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক, বৃহত্তর ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কৌশিক আহমেদ জসিম, ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান পলিন প্রমুখ। এদিন কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আসেন। এ সময় থানা-ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থান নিয়ে কোটাবিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সেøাগান দিতে দেখা যায়। পরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন বলেন, ঢাকায় কোনো অপশক্তিকে বিশৃঙ্খলা করতে দেব না। আমরা রাজপথে ছিলাম আছি, রাজপথে থাকবো। একইসঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা-নাশকতা রুখে দিতে আমরা মাঠে আছি এবং থাকবো। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির বলেন, যতদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ; নিরাপদ বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, আজকে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নিজেদের রাজাকারের দোসর হিসেবে সেøাগান দিয়েছে, আমাদেরও আর বুঝতে বাকি নেই-তারা প্রকৃতপক্ষে রাজাকারের সন্তান এবং তাদের নাতি-পুতি। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হলে রাজাকারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিক সুবিধা সংকুচিতসহ তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিক বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে রাজাকারদের সন্তানদের সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে চিরতবে বিদায় জানাতে হবে।
দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেবো না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সরকার অনেক শক্তিশালী, আমরা দেশকে কখনো অস্থিতিশীল করতে দেবো না। গতকাল সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত রোববার রাতে যে ধরনের সেøাগান দেয়া হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী সেøাগান। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই দেশে রাজাকারের পক্ষে সেøাগান, এটি রাষ্ট্রবিরোধী সেøাগান। এটি সরকারবিরোধী নয়, এটি রাষ্ট্রবিরোধী সেøাগান। একইসঙ্গে সেখানে সরকারবিরোধী, প্রধানমন্ত্রীবিরোধী সেøাগান দেয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট আমরা যে বলেছিলাম আগে যে কোটা আন্দোলনের মধ্যে রাজনৈতিক অপশক্তি ঢুকেছে। আমরা যেটি বলেছিলাম সেটি তারা স্পষ্ট করেছে। এটি আসলে ঔদ্ধত্বপূর্ণ সেøাগান এবং বক্তব্য, এতে প্রমাণিত হয় এটি কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়।
রাজাকার বলে সেøাগান দেয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’ সেøাগান দেয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতি গভীর অসম্মান প্রদর্শন। এ ধরনের সেøাগানধারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ??‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান?’। গতকাল সোমবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের শাস্তির দাবি করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন। নেতৃদ্বয় বলেন, নিজেকে রাজাকার, রাজাকার সেøাগান দেয়া-মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার হিসেবে কাজ করেছে তাদের পক্ষে দাঁড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল। এই ধরনের কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অবিলম্বে রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করে এদের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি-বেসরকারি সকল চাকরিতে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।