
রাষ্ট্রের মূল চেতনাকে যারা অবজ্ঞা করে তারা কীভাবে মেধাবী হয় এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান বাঙালি জাতি সহ্য করবে না। পরাজিত শক্তির কোনো আস্ফালন আমরা মেনে নেবো না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর রাজাকারদের নামে সেøাগান দেয়াকে চরম ধৃষ্টতা জানিয়েছে তিনি বলেন, রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার। গতকাল সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে রোববার রাতে কুৎসিত সেøাগান শুনেছি। এতো দিন আশঙ্কা ছিল কোটা আন্দোলনের নামে তারা আসলে সরকারবিরোধী আন্দোলনই করতে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির সমর্থন আছে। আমাদের সেই আশঙ্কা গত রাতে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করতে চায়। তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলন নিয়ে বার বার আমরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। এটি উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সরকারের কিছুই করার নেই। বার বার আন্দোলনকারীদের এ বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যেকোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করবো। সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যাতীরেকে কোটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই। আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তা মেনে নেয়া হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য আন্দোলনের নেপথ্যে নেতা, মতলববাজ, কুশীলবরা স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিকৃত করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় চীন সফর নিয়ে সাংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? আর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে? কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে তাদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। এনিয়ে রাতেই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেøাগান দিতে থাকে, ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’। এমন ধৃষ্টতায় দেশবাসীসহ সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। নানাভাবে এর প্রতিবাদ আসতে শুরু করে। বিশেষ করে ঢাবির রোকেয়া হলের নারী শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকার’ দাবি করে সেøাগান দিলে তাতে ক্ষোভ আরও বাড়ে। পরে সোস্যালে তা উগড়ে দেন নেটিজেনরা। তিনি বলেন, এই রাজাকাররাই বাঙালি নারীদের ‘গনিমতের মাল’ আখ্যা দিয়ে গণধর্ষণকে বৈধতা দিয়েছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে সেই রাজাকারের পক্ষে সেøাগান দিচ্ছে এই নারীরা! তিনি বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত দেশে রাজাকারের আইন হতে পারে না। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অপমান বাঙালি জাতি সহ্য করবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় পরাজিত অপশক্তির কোনো রকম আস্ফালন আমরা মেনে নেব না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যেকোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে রোববার রাতে কুৎসিত সেøাগান শুনেছি। এতো দিন আশঙ্কা ছিল কোটা আন্দোলনের নামে তারা আসলে সরকারবিরোধী আন্দোলনই করতে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির সমর্থন আছে। আমাদের সেই আশঙ্কা গত রাতে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করতে চায়। তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলন নিয়ে বার বার আমরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। এটি উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সরকারের কিছুই করার নেই। বার বার আন্দোলনকারীদের এ বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যেকোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিহত করবো। সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যাতীরেকে কোটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই। আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তা মেনে নেয়া হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য আন্দোলনের নেপথ্যে নেতা, মতলববাজ, কুশীলবরা স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিকৃত করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় চীন সফর নিয়ে সাংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এতো ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? আর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে? কোটা আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে তাদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। এনিয়ে রাতেই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেøাগান দিতে থাকে, ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’। এমন ধৃষ্টতায় দেশবাসীসহ সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। নানাভাবে এর প্রতিবাদ আসতে শুরু করে। বিশেষ করে ঢাবির রোকেয়া হলের নারী শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকার’ দাবি করে সেøাগান দিলে তাতে ক্ষোভ আরও বাড়ে। পরে সোস্যালে তা উগড়ে দেন নেটিজেনরা। তিনি বলেন, এই রাজাকাররাই বাঙালি নারীদের ‘গনিমতের মাল’ আখ্যা দিয়ে গণধর্ষণকে বৈধতা দিয়েছিল। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে সেই রাজাকারের পক্ষে সেøাগান দিচ্ছে এই নারীরা! তিনি বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত দেশে রাজাকারের আইন হতে পারে না। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অপমান বাঙালি জাতি সহ্য করবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় পরাজিত অপশক্তির কোনো রকম আস্ফালন আমরা মেনে নেব না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যেকোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।