
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সিসিইউ সুবিধা সংবলিত কেবিনে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। পাশাপাশি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসকদের পরামর্শে বেশ কয়েক দিন ধরে বিশ্রামে রয়েছেন। গতকাল রোববার দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। শায়রুল কবির উল্লেখ করেন, গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অব্স্থা অপরিবর্তিত। তাকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে-চিকিৎসক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে। গত রোববার দিবাগত রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে জরুরি ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে মির্জা ফখরুল
চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। গত ১০ জুলাই তার এনজিওগ্রাম করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি সব ধরনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। গতকাল রোববার বিকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শরীরটা ভালো নেই। রেস্টে আছি। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন আপাতত কয়েকদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।’ সর্বশেষ ৮ জুলাই দলের সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল। সেদিন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চলমান শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি কোটা সংস্কার ও শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে (৮ জুলাই) বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটাকে আমরা দুভাবে দেখি-একটা হচ্ছে দেশে অনেক সমস্যা আছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার জন্য আন্দোলন তৈরি করা হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী দাবিকে আমরা সমর্থন করি, কারণ এটা যৌক্তিক দাবি। এটাকে আমরা অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ দেখি না।’ ৮ জুলাই মির্জা ফখরুল দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। পরদিন মঙ্গলবার তার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি, অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, অব্যাহত মূল্যস্ফীতি ও নজিরবিহীন দুর্নীতিসহ নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দেবে বিএনপি। তবে, ১১ জুলাই থেকে যুগপতে যুক্ত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় শুরু হলেও মির্জা ফখরুল কোনো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। এরইমধ্যে ১২ জুলাই এক দফা আন্দোলনের বছরপূর্তি পালন করেছে যুগপৎসঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চ। এই আয়োজনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। গত শনিবার দলের একটি সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল। মঞ্চের একাধিক নেতা জানান, তারা যুগপতের বৈঠকের জন্য বিএনপির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রত্যাশা করছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর সঙ্গে আলাপকালে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে থাকলেও ‘আদতে রাজনৈতিক হিসাব’ থেকেই প্রকাশ্য প্রোগ্রাম থেকে দূরে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ শারীরিক অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসা নিতে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল। দেশে ফেরেন ২৩ মার্চ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রোববার বিকালে শায়রুল কবির খানবলেন, ‘মহাসচিব স্যার চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় বিশ্রামে আছেন। তার এনজিওগ্রাম হয়েছে। রিপোর্ট ভালো এসেছে। তার কোনো প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে মির্জা ফখরুল
চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। গত ১০ জুলাই তার এনজিওগ্রাম করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি সব ধরনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। গতকাল রোববার বিকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শরীরটা ভালো নেই। রেস্টে আছি। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন আপাতত কয়েকদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।’ সর্বশেষ ৮ জুলাই দলের সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল। সেদিন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চলমান শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের আন্দোলন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি কোটা সংস্কার ও শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে (৮ জুলাই) বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটাকে আমরা দুভাবে দেখি-একটা হচ্ছে দেশে অনেক সমস্যা আছে, সেটাকে ডাইভার্ট করার জন্য আন্দোলন তৈরি করা হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী দাবিকে আমরা সমর্থন করি, কারণ এটা যৌক্তিক দাবি। এটাকে আমরা অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ দেখি না।’ ৮ জুলাই মির্জা ফখরুল দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। পরদিন মঙ্গলবার তার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি, অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, অব্যাহত মূল্যস্ফীতি ও নজিরবিহীন দুর্নীতিসহ নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দেবে বিএনপি। তবে, ১১ জুলাই থেকে যুগপতে যুক্ত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় শুরু হলেও মির্জা ফখরুল কোনো বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। এরইমধ্যে ১২ জুলাই এক দফা আন্দোলনের বছরপূর্তি পালন করেছে যুগপৎসঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চ। এই আয়োজনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। গত শনিবার দলের একটি সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল। মঞ্চের একাধিক নেতা জানান, তারা যুগপতের বৈঠকের জন্য বিএনপির মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রত্যাশা করছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলোর সঙ্গে আলাপকালে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে থাকলেও ‘আদতে রাজনৈতিক হিসাব’ থেকেই প্রকাশ্য প্রোগ্রাম থেকে দূরে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ শারীরিক অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসা নিতে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল। দেশে ফেরেন ২৩ মার্চ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল রোববার বিকালে শায়রুল কবির খানবলেন, ‘মহাসচিব স্যার চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসায় বিশ্রামে আছেন। তার এনজিওগ্রাম হয়েছে। রিপোর্ট ভালো এসেছে। তার কোনো প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি।’