
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ‘সফল করায়’ সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি, অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি, নজির বিহীন দুর্নীতিসহ নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভাচুর্য?াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। ফখরুল জানান, দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশের ও দেশের বাইরের ব্যাংকগুলো থেকে ঢালাও ঋণ গ্রহণের ফলে ঋণফাঁদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণের উপরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ‘এ বিষয়গুলোকে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই বিষয়ে কর্মসূচির গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে’, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব জানান, কমিটির সভায়, সম্প্রতি লালমনিরহাট ও ঠাকারগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী-বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সেইসঙ্গে সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। বিএনপি মনে করে, এই সরকার সীমান্তহত্যা বন্ধ করতে ভারতের উপরে প্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটছে। সভা অবিলম্বে এই সীমান্তহত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়।