
আশীষ কুমার সেন
বর্তমানে ড্রেজিংয়ে ৫টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মনিটরিং ও ড্রেজিং ভলিউম নির্ণয় করা হয়। তিনি আরো বলেন, পার্শ্ববতী দেশ হতে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন রিফারেন্স সূত্রে জানা যায়, এই নদীগুলোর মাধ্যমে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন টন পলি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সাম্প্রতিক এ বিষয়ে কোন স্ট্যাডি নেই।
প্রশ্ন : ড্রেজিং-এর রাজস্বখাতে যে ব্যয় হয়। (বাৎসয়িক) কত? এবং চলমান প্রকল্পপুলের বাৎসরিক আনুমানিক ব্যয় কত? বর্তমানে ড্রেজিং-এ কয়টি প্রকল্প চলমান আছে? প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে?
উত্তর : বর্তমানে রাজস্বখাতে ড্রেজিং বাবদ বাৎসরিক ব্যয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা এবং চলমান প্রকল্পের বাৎসরিক ব্যয় প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে ড্রেজিংয়ে ৫টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মনিটরিং ও ড্রেজিং ভলিউম নির্ণয় করা হয়। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আইএমইডি’র প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনও খনন কাজ মনিটিরিং করে। পিআইসি ও পিএসসি সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি প্রসঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হয় এবং উক্ত কমিটির প্রতিনিধি খকন কাজ পরিদর্শন করেন।
প্রশ্ন : আপ স্ট্রীম হতে ডাউন স্ট্রীমে কি পরিমাণ পলি পড়ে (বছরে) এবং এ পলি কিভাবে চিহ্নিত বা নির্ণয় করা হয়?
উত্তর : পার্শ্ববতী দেশ হতে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন রিফারেন্স সূত্রে জানা যায়, এই নদীগুলোর মাধ্যমে প ্রায় ২.৪ বিলিয়ন টন পলি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সাম্প্রতিক এ বিষয়ে কোন স্ট্যাডি নেই । তবে বিঅ াইডব্লিউটিএ-এ হতে সেডিমেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডির একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিআই ডব্লিউটিএ সাধারণত নৌ-পথ সচল রাখার জন্য ডেজিং কাজ পরিচালনা করে। যমুনা নদীর ভারত বর্ডার সংলগ্ন কালির আলগা হতে চিলমারী পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ প্রায় ১২ কিলোমিটার চিলমারী হতে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ প্রায় ১২.৫০ কিলোমিটার এবং বাহাদুরাবাদ হতে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দূরত্ব প ্রায় ৮০ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ প্রায় ১৩ কিলোমিটার। তাছাড়াও নদীর ভিতরে অসংখ্যক চর আছে। এক্ষেত্রে বিঅ াইডব্লিউটিএ’র প ক্ষে সম্পূর্ণ নদী খনন করা সম্ভব নয়। বিআইডব্লিউটিএ নৌ-যান চলাচলের জন্য শুধুমাত্র ৩০ মিটার প্র¯ে ’ খনন কাজ পরিচালনা করে। তাই কি পরিমাণ পলি আসছে সেটা বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা দেখবে।
প্রশ্ন : প লি নির্নয়ের পরে কি পদ্ধতিতে তা ড্রেজিং করা হয়? সেটার পরিমাণ কিভাবে নির্ণয় করেন? চলমান নদী প্রবাহে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে; নাব্যতা রক্ষার্তে কি ব্যব¯ ’া গ্রহণ করেছেন? ড্রেজিং মনিটরিং-এর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কোন কমিটি আছে কি-না?
উত্তর : চ্যানেলে পলি পড়ে নাব্যতার সৃষ্টি হলে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে বিঅ াইডব্লিটিএ’র হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ কর্তৃক ডিজি টাল প্রি-হাই ড্রোগ্রাফিক জরিপ করে, চার্টের উপর উক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ্যালাইনমেন্ট প্রদান করার পর উত্তোলনযোগ্য পলির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। বিঅ াইডব্লিউটিএ প্রতিবছর গুরুত্বপ ূ র্ণ প্রায় ১২০টি নৌ-পথসমূহে কাটার সাকশন ড্রেজারের মাধ্যমে সুষম স্তরে সেøাপ সংরক্ষণ করে সংরক্ষণ ড্রেজিং কাজ পরিচালনা করে নৌ-পথগুলো সচল রাখে। তাছাড়াও ৫টি প্রকল্পের অ াওতায় প ু রাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই , বংশী, ঘ াঘট, নাগদা, জিনাই, পুনরুভবা, পদ্মা, মংলা- ঘষিয়াখালি চ্যানেল, ঘোড়াউতরা, বোলাই শ্রীগাং, ধনু, নামাকুড়া, ধলেশ্বরী নদীর খনন কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ড্রেজিং মনিটরিংয়ের জন্য মš ¿ণালয়ের কোন কমিটি নেই। তবে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি কর্তৃক নিয়মিত খনন কাজ পর্যবেক্ষ ণ করা হয়। তাছাড়াও আইএমই ডি’র প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন খনন কাজ মনিটিরিং করে। পিআইসি ও পিএসসি সভায় প্রকল্পের অ গ্রগতি প্রসঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হয় এবং উক্ত কমিটির প্রতিনিধি খনন কাজ পরিদর্শন করেন।
প্রশ্ন : যে পরিমাণ ড্রেজার μয় করা হয়েছে আপনার দপ্তর হতে তা চলশান আছে কিনা?
উত্তর : বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র ৪৫টি ড্রেজারের মধ্যে সবগুলো ড্রেজার চলশান রয়েছে। তবে ড্রেজ ার মাকানিক্যাল ব্রেকডাউন (এমবিডি) একটি চলমান প ্রμিয়া। তাই মাঝে মাঝে কিছু ড্রেজারের মেরামতের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর সময়ের যে ড্রেজারগুলো μয় করা হয়েছে তা এখনও ভালো আছে কিন্তু পরবর্তী সময়ে যে ৪৫টি ড্রেজার নেয়া হয়েছে তা ঐ সময়ের μয়কৃত ড্রেজারের চেয়ে ভালো কি-না?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর সময়ে যে ড্রেজারগুলো μয় করা হয়েছিল সেগুলো নিয়মিত মেইনটেন্সেস করে সচল রাখা হয়েছে। প রবর্তী সময়ে যে ৩৮টি ড্রেজার μয় করা হয়েছে তা পূর্বের সংগৃহীত ড্রেজার হতে আধুনিক এবং পিএলসি সমৃদ্ধ যা যথাযথভ াবে মেইনটেন্সেস করে ৪০ বছর সচল রাখা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন : ড্রেজিং বিভাগে নতুন ও পুরান দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করা সম্ভব কি-না? (এর কারণ হিসেবে বর্তমানে ড্রেজিং বিভাগে জনবল সংকট)।
উত্তর : বিআইডব্লিউটিএ’র সংগৃহীত ২০টি ড্রেজারসহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জলযান পরিচালনার জন্য ১৬০১ জন জনবলের প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে ৬৭৭টি পদের অনুমোদন পাওয়া যায়। উক্ত জনবলের সাথে দক্ষ জনবলের সমন্বয়ের মাধ্যমে ড্রেজার পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে জনবলের সংকটের কারণে প্রত্যেক ড্রেজারে যে পরিমাণ জনবল দরকার সে পরিমাণ জনবল নেই। ফলে ড্রেজিং পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যাঘাত ঘটে। এখানে উল্লেখ যে, দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য একটি “ড্রেজ ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট” চালু করা হচ্ছে।
প্রশ্ন : ড্রেজিং-এ তৈল নিয়ে অনেক কথা চলমান রয়েছে; তৈল ড্রেজ ারের সুসম বণ্টনের জন্য কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?
উত্তর : বর্তমানে প্রতি ড্রেজারের প্রতিঘ নমিটার খনন করার জন্য জ্বালানি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড় াও অ াধুনিক সুবিধা সম্বলিত তৈলের বার্জ ও ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। যা ডিজিটাল মিটার সম্বলিত। উক্ত বার্জগুলোর মাধ্যমে জ্বালানি তৈল গ্রহণ ও বিতরণ করা হয়ে থাকে। ড্রেজারগুলোতে ডিজিটাল মিটার থাকার জ্বালানি সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হয়।
প্রশ্ন : মংলা হতে পাকশি পর্যন্ত যে প্রকল্পটি চলমান রয়েছে তার জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণ কি? এই প্রকল্পে অগ্রগতি কতটুকু?
উত্তর : প ্রকল্পে অš Íর্ভুক্ত পদ্মা নদী ভরাট হওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় প্রতি বছর অ ধিকাংশ জায়গায় একাধিকবার সংরক্ষণ খনন কাজ প রিচালনা করতে হচ্ছে। তাই মূল ডিপিপির লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বাস্তবে সংরক্ষণ খননের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অ তিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।
প্রশ্ন : ড্রেজিং-এ একটি কথা প ্রচরিত অ াছে যে, সক্ষমতার কারণে ড্রেজিং হচ্ছে না? এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? সক্ষমতা বলতে কি বুঝা যায়?
উত্তর : সক্ষমতার সাথে সাধারণত খনন কাজ পরিচালনার জন্য জনবল, মেসিনারিজ মেইনটেন্সে স, ড্রেজাররের সংখ্যা এবং আর্থিক বরাদ্দের বিষয়গুলো জ ড়িত। আমাদের বর্তমানে প্রতিবছর সংরক্ষণ ড্রেজিং চাহিদা প্রায় ১২০০ লক্ষ ঘনমিটার। কিছু বাস্তবে প্রায় ২০০ লক্ষ ঘনমিটার সংরক্ষণ ড্রেজিং করা সম্ভব হয়। বাজেট এ ড্রেজারের স্বল্পতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ড্রেজারের নতুন জনবলকে আরও দক্ষ করার জন্য আগামী মাসে ড্রেজারট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করা হবে। এছাড়াও আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এসব ড্রেজার সংগ্রহ করা হলে ও ড্রেজিং খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প াওয়া গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-প থ নাব্য করার স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দেয়া সম্ভব হবে এবং পরবর্তীতে তা সংরক্ষ ণ করে রাখা যাবে।
বর্তমানে ড্রেজিংয়ে ৫টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মনিটরিং ও ড্রেজিং ভলিউম নির্ণয় করা হয়। তিনি আরো বলেন, পার্শ্ববতী দেশ হতে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন রিফারেন্স সূত্রে জানা যায়, এই নদীগুলোর মাধ্যমে প্রায় ২.৪ বিলিয়ন টন পলি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সাম্প্রতিক এ বিষয়ে কোন স্ট্যাডি নেই।
প্রশ্ন : ড্রেজিং-এর রাজস্বখাতে যে ব্যয় হয়। (বাৎসয়িক) কত? এবং চলমান প্রকল্পপুলের বাৎসরিক আনুমানিক ব্যয় কত? বর্তমানে ড্রেজিং-এ কয়টি প্রকল্প চলমান আছে? প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে?
উত্তর : বর্তমানে রাজস্বখাতে ড্রেজিং বাবদ বাৎসরিক ব্যয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা এবং চলমান প্রকল্পের বাৎসরিক ব্যয় প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে ড্রেজিংয়ে ৫টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মনিটরিং ও ড্রেজিং ভলিউম নির্ণয় করা হয়। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আইএমইডি’র প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনও খনন কাজ মনিটিরিং করে। পিআইসি ও পিএসসি সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি প্রসঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হয় এবং উক্ত কমিটির প্রতিনিধি খকন কাজ পরিদর্শন করেন।
প্রশ্ন : আপ স্ট্রীম হতে ডাউন স্ট্রীমে কি পরিমাণ পলি পড়ে (বছরে) এবং এ পলি কিভাবে চিহ্নিত বা নির্ণয় করা হয়?
উত্তর : পার্শ্ববতী দেশ হতে ৫৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন রিফারেন্স সূত্রে জানা যায়, এই নদীগুলোর মাধ্যমে প ্রায় ২.৪ বিলিয়ন টন পলি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সাম্প্রতিক এ বিষয়ে কোন স্ট্যাডি নেই । তবে বিঅ াইডব্লিউটিএ-এ হতে সেডিমেন্ট ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডির একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিআই ডব্লিউটিএ সাধারণত নৌ-পথ সচল রাখার জন্য ডেজিং কাজ পরিচালনা করে। যমুনা নদীর ভারত বর্ডার সংলগ্ন কালির আলগা হতে চিলমারী পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ প্রায় ১২ কিলোমিটার চিলমারী হতে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ প্রায় ১২.৫০ কিলোমিটার এবং বাহাদুরাবাদ হতে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দূরত্ব প ্রায় ৮০ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ প্রায় ১৩ কিলোমিটার। তাছাড়াও নদীর ভিতরে অসংখ্যক চর আছে। এক্ষেত্রে বিঅ াইডব্লিউটিএ’র প ক্ষে সম্পূর্ণ নদী খনন করা সম্ভব নয়। বিআইডব্লিউটিএ নৌ-যান চলাচলের জন্য শুধুমাত্র ৩০ মিটার প্র¯ে ’ খনন কাজ পরিচালনা করে। তাই কি পরিমাণ পলি আসছে সেটা বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা দেখবে।
প্রশ্ন : প লি নির্নয়ের পরে কি পদ্ধতিতে তা ড্রেজিং করা হয়? সেটার পরিমাণ কিভাবে নির্ণয় করেন? চলমান নদী প্রবাহে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে; নাব্যতা রক্ষার্তে কি ব্যব¯ ’া গ্রহণ করেছেন? ড্রেজিং মনিটরিং-এর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে কোন কমিটি আছে কি-না?
উত্তর : চ্যানেলে পলি পড়ে নাব্যতার সৃষ্টি হলে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে বিঅ াইডব্লিটিএ’র হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ কর্তৃক ডিজি টাল প্রি-হাই ড্রোগ্রাফিক জরিপ করে, চার্টের উপর উক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ্যালাইনমেন্ট প্রদান করার পর উত্তোলনযোগ্য পলির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। বিঅ াইডব্লিউটিএ প্রতিবছর গুরুত্বপ ূ র্ণ প্রায় ১২০টি নৌ-পথসমূহে কাটার সাকশন ড্রেজারের মাধ্যমে সুষম স্তরে সেøাপ সংরক্ষণ করে সংরক্ষণ ড্রেজিং কাজ পরিচালনা করে নৌ-পথগুলো সচল রাখে। তাছাড়াও ৫টি প্রকল্পের অ াওতায় প ু রাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই , বংশী, ঘ াঘট, নাগদা, জিনাই, পুনরুভবা, পদ্মা, মংলা- ঘষিয়াখালি চ্যানেল, ঘোড়াউতরা, বোলাই শ্রীগাং, ধনু, নামাকুড়া, ধলেশ্বরী নদীর খনন কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ড্রেজিং মনিটরিংয়ের জন্য মš ¿ণালয়ের কোন কমিটি নেই। তবে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি কর্তৃক নিয়মিত খনন কাজ পর্যবেক্ষ ণ করা হয়। তাছাড়াও আইএমই ডি’র প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসন খনন কাজ মনিটিরিং করে। পিআইসি ও পিএসসি সভায় প্রকল্পের অ গ্রগতি প্রসঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হয় এবং উক্ত কমিটির প্রতিনিধি খনন কাজ পরিদর্শন করেন।
প্রশ্ন : যে পরিমাণ ড্রেজার μয় করা হয়েছে আপনার দপ্তর হতে তা চলশান আছে কিনা?
উত্তর : বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র ৪৫টি ড্রেজারের মধ্যে সবগুলো ড্রেজার চলশান রয়েছে। তবে ড্রেজ ার মাকানিক্যাল ব্রেকডাউন (এমবিডি) একটি চলমান প ্রμিয়া। তাই মাঝে মাঝে কিছু ড্রেজারের মেরামতের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর সময়ের যে ড্রেজারগুলো μয় করা হয়েছে তা এখনও ভালো আছে কিন্তু পরবর্তী সময়ে যে ৪৫টি ড্রেজার নেয়া হয়েছে তা ঐ সময়ের μয়কৃত ড্রেজারের চেয়ে ভালো কি-না?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর সময়ে যে ড্রেজারগুলো μয় করা হয়েছিল সেগুলো নিয়মিত মেইনটেন্সেস করে সচল রাখা হয়েছে। প রবর্তী সময়ে যে ৩৮টি ড্রেজার μয় করা হয়েছে তা পূর্বের সংগৃহীত ড্রেজার হতে আধুনিক এবং পিএলসি সমৃদ্ধ যা যথাযথভ াবে মেইনটেন্সেস করে ৪০ বছর সচল রাখা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন : ড্রেজিং বিভাগে নতুন ও পুরান দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করা সম্ভব কি-না? (এর কারণ হিসেবে বর্তমানে ড্রেজিং বিভাগে জনবল সংকট)।
উত্তর : বিআইডব্লিউটিএ’র সংগৃহীত ২০টি ড্রেজারসহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জলযান পরিচালনার জন্য ১৬০১ জন জনবলের প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে ৬৭৭টি পদের অনুমোদন পাওয়া যায়। উক্ত জনবলের সাথে দক্ষ জনবলের সমন্বয়ের মাধ্যমে ড্রেজার পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে জনবলের সংকটের কারণে প্রত্যেক ড্রেজারে যে পরিমাণ জনবল দরকার সে পরিমাণ জনবল নেই। ফলে ড্রেজিং পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যাঘাত ঘটে। এখানে উল্লেখ যে, দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য একটি “ড্রেজ ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট” চালু করা হচ্ছে।
প্রশ্ন : ড্রেজিং-এ তৈল নিয়ে অনেক কথা চলমান রয়েছে; তৈল ড্রেজ ারের সুসম বণ্টনের জন্য কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?
উত্তর : বর্তমানে প্রতি ড্রেজারের প্রতিঘ নমিটার খনন করার জন্য জ্বালানি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড় াও অ াধুনিক সুবিধা সম্বলিত তৈলের বার্জ ও ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। যা ডিজিটাল মিটার সম্বলিত। উক্ত বার্জগুলোর মাধ্যমে জ্বালানি তৈল গ্রহণ ও বিতরণ করা হয়ে থাকে। ড্রেজারগুলোতে ডিজিটাল মিটার থাকার জ্বালানি সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার হয়।
প্রশ্ন : মংলা হতে পাকশি পর্যন্ত যে প্রকল্পটি চলমান রয়েছে তার জন্য অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণ কি? এই প্রকল্পে অগ্রগতি কতটুকু?
উত্তর : প ্রকল্পে অš Íর্ভুক্ত পদ্মা নদী ভরাট হওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় প্রতি বছর অ ধিকাংশ জায়গায় একাধিকবার সংরক্ষণ খনন কাজ প রিচালনা করতে হচ্ছে। তাই মূল ডিপিপির লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বাস্তবে সংরক্ষণ খননের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অ তিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।
প্রশ্ন : ড্রেজিং-এ একটি কথা প ্রচরিত অ াছে যে, সক্ষমতার কারণে ড্রেজিং হচ্ছে না? এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? সক্ষমতা বলতে কি বুঝা যায়?
উত্তর : সক্ষমতার সাথে সাধারণত খনন কাজ পরিচালনার জন্য জনবল, মেসিনারিজ মেইনটেন্সে স, ড্রেজাররের সংখ্যা এবং আর্থিক বরাদ্দের বিষয়গুলো জ ড়িত। আমাদের বর্তমানে প্রতিবছর সংরক্ষণ ড্রেজিং চাহিদা প্রায় ১২০০ লক্ষ ঘনমিটার। কিছু বাস্তবে প্রায় ২০০ লক্ষ ঘনমিটার সংরক্ষণ ড্রেজিং করা সম্ভব হয়। বাজেট এ ড্রেজারের স্বল্পতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ড্রেজারের নতুন জনবলকে আরও দক্ষ করার জন্য আগামী মাসে ড্রেজারট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করা হবে। এছাড়াও আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এসব ড্রেজার সংগ্রহ করা হলে ও ড্রেজিং খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প াওয়া গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-প থ নাব্য করার স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দেয়া সম্ভব হবে এবং পরবর্তীতে তা সংরক্ষ ণ করে রাখা যাবে।