দৌলতপুরে যমুনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি বিস্তীর্ণ জনপদ

আপলোড সময় : ০৯-০৭-২০২৪ ০১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৭-২০২৪ ০১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন
মানিকগঞ্জ থেকে আলো খান
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়ার চরাঞ্চল এলাকায় বর্তমানে যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও বিস্তীর্ণ জনপদ। ভাঙনের হুুমকির মুখে রয়েছে ঘর-বাড়ি, আবাদি ফসলি জমিন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পারের মানুষজন।
গত কয়েক দিনে যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও ঘন-ঘন বৃষ্টির ফলে প্রচণ্ড ভাঙনের কবলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীর পাড়ের বসবাসরত মানুষজন। এসময় কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। বর্ষা মৌসুমে  চরাঞ্চলের মানুষজনের চলাচলের একমাত্র বাহন হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত সেলো ও নৌকা।
সরেজমিনে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বাঘুটিয়া বাজার থেকে শুরু করে পারুরিয়া পর্যন্ত ও বাঘুটিয়া নদীর পূর্বপার পাচুরিয়া, বাশাইল ও যোতকাশি এলাকায় সর্বনাশা যমুনা নদীর ভাঙনের থাবায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাপ দাদার আমলের রেখে যাওয়া ঘরবাড়ি, ভিটে-মাটি ও বিস্তীর্ণ জনপদ।
ভাঙনের শিকার রহিজ সেক বলেন, কালের চাকা ঘুরে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি বাপদাদার ভিটেমাটি শিকদার পাড়া যমুনার কড়াল গ্রাসে ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। এরপর বাঘুটিয়া পুরান পাড়া নানা বাড়িতে মা-বাবা আমাদের ভাই বোনদের নিয়ে সাত বছর আশ্রয় নেন। তার পর আশির দশকের শুরুতে  নানাবাড়ি হতে এক বছর বয়সে বর্তমানে বাড়ি জিয়নপুরে আসি। ৯০ দশকের শুরুতে বাপদাদার ভিটেমাটিতে চর জাগলেও আর সেখানে যাওয়া হয়নি। মাঝে নব্বই দশকের শেষে সেই নানা বাড়িটাও যমুনার কড়াল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে উপজেলার মানচিত্র থেকে ইউনিয়নটি একদিন চিরতরে হারিয়ে যাবে।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাত হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহের যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি বসতবাড়ি ঘর। ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে, ৫ নং বাঘুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালিকাপুর দাখিল মাদ্রাসাসহ অনেক গ্রাম। প্রতিবছরের দফায় দফায় ভাঙনের ফলে নিঃস্ব ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাঘুটিয়ার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় মানুষজন। ভাঙন ও যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে এলাকার মানুষজন তাদের পরিবার পরিজন, গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ২টি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। দিশেহারা মানুষজন ভাঙন রোধে দ্রুত সরকারের আরো কার্যকারী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net