ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করে বলেই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সাথে থাকলে তারা সবকিছু করেত পারে। গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য ফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের। কারণ তাদের ভারতের সার্টিফকিটে থাকলে তারা সবকছিু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরো অনেক কাণ্ড ঘটেছে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে আছেন।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন,‘শেখ হাসিনা শুধু তার আমলই নয়, তারা ৭২-এর পর থেকেই একের পর এক ভুল করেছে। তাদের ভাবনাটা এমন আমরাই সব। আমরা যা বলব সেটাই হবে। মানুষের যে অভিপ্রায় তারা কখনো তার মূল্য দিতে জানে না। শেখ হাসিনা গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করে ফেলেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে। লুটপাট যেন আওয়ামী লীগের ইশতেহার, কারো জমি দখন যেন তাদের অধিকার। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ।’ তিনি বলেন,‘ বিরোধী দলে থাকলে তারা অন্য রকম থাকে আর ক্ষমতায় এলে এরা প্রভু বনে যায়। তারা সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে যে এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। আর যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে সেখানেতো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। তার বাবা ওকালতি করে দিন কাটাতেন। এত টাকা হলো কি করে? আজ শুধু বেনজীর-আজিজ কাণ্ড। এটা সামান্য ঘটনা, আরো বড় বড় কাণ্ড আছে। শেখ হাসিনা প্রশ্রয় দেয়ার কারণেই এসব ঘটছে। তিনিই তাদের মহাদুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছেন।’ সুভাস চন্দ্র বসুর সভাপতিত্বে এ সময় আর বক্তব্য রাকেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।