
জনতা ডেস্ক
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য আলোচকদের একটি দলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তি নিয়ে এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। মে মাসের শেষের দিকে বাইডেনের প্রস্তাবনায় গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সাড়া দেওয়ার একদিন পর এমন ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু। খবর বিবিসির।
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের সর্বশেষ সাড়া দেয়ার বিষয়টি পাবলিকলি প্রকাশ করা হয়নি; কিন্তু একজন ফিলিস্তিনের কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাইডেনের করা প্রস্তাবনায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়নি হামাস। মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস তার অবস্থান থেকে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়ে সম্মত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনে কথা হয়, যেখানে জিম্মি এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনার উপর জোর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। গত বুধবার হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বলেছে তারা মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে করা আলোচনার বিষয়ে জানাতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হামাস গাজা যুদ্ধের অবসান এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ইসরাইল বলেছে তারা হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধে শুধুমাত্র সাময়িক বিরতি নেবে। আর এই প্রস্তাবকে সামনে রেখেই নতুন করে আলোচনার সূচনা করতে যায় দখলদার দেশটি। এদিকে গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৪৪৫ জন। নিহতের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবার ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে গাজায় বোমা হামলা চালানোর পাশাপাশি স্থল অভিযান পরিচালনা করছে দখলদার বাহিনী। এদিকে দক্ষিণ ইসরাইলে ২০০ রকেট ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা। এর আগে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরাইল। অন্যদিকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই অন্তত একবারের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের ওসিএইচএ সংস্থার প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেছেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি যে, গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই অন্তত একবার অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি বারও হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য আলোচকদের একটি দলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তি নিয়ে এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। মে মাসের শেষের দিকে বাইডেনের প্রস্তাবনায় গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সাড়া দেওয়ার একদিন পর এমন ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু। খবর বিবিসির।
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের সর্বশেষ সাড়া দেয়ার বিষয়টি পাবলিকলি প্রকাশ করা হয়নি; কিন্তু একজন ফিলিস্তিনের কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাইডেনের করা প্রস্তাবনায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়নি হামাস। মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস তার অবস্থান থেকে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয়ে সম্মত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনে কথা হয়, যেখানে জিম্মি এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনার উপর জোর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। গত বুধবার হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বলেছে তারা মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে করা আলোচনার বিষয়ে জানাতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হামাস গাজা যুদ্ধের অবসান এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ইসরাইল বলেছে তারা হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধে শুধুমাত্র সাময়িক বিরতি নেবে। আর এই প্রস্তাবকে সামনে রেখেই নতুন করে আলোচনার সূচনা করতে যায় দখলদার দেশটি। এদিকে গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৪৪৫ জন। নিহতের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত ৭ অক্টোবার ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে গাজায় বোমা হামলা চালানোর পাশাপাশি স্থল অভিযান পরিচালনা করছে দখলদার বাহিনী। এদিকে দক্ষিণ ইসরাইলে ২০০ রকেট ও ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা। এর আগে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরাইল। অন্যদিকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই অন্তত একবারের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের ওসিএইচএ সংস্থার প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেছেন, গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি যে, গাজা উপত্যকায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জনই অন্তত একবার অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি বারও হয়েছে।