
ডেমরা (ঢাকা) থেকে মো. নূর আলম ভূঁইয়া
শীতলক্ষ্যা নদীর দুর্গন্ধযুক্ত পচা পানিকে পরিশোধনের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য সায়েদাবাদ (ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) পানি শোধানাগারে পানি যোগান দেয়ার একমাত্র খাল হচ্ছে ডিএনডি খাল। প্রতিদিন ডেমরার শীতলক্ষ্যা নদীর সারুলিয়া বাজার এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ী পর্যন্ত ৪.৬ কিলোমিটার এ খাল ব্যবহার করা হচ্ছে। মৃধাবাড়ী থেকে ১.৬ কিলোমিটার কালবার্ড বক্সের মাধ্যমে প্রতিদিন ১১ কোটি থেকে ১৫ হাজার কোটি লিটার পানি এ ডিএনডি খালের মাধ্যমে সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে যুক্ত করা হয়। পরে এ পানিকে পরিশোধন করে প্রায় ৪০ লাখ নগরবাসীকে সরবরাহ করে ঢাকা ওয়াসা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ডেমরার সারুলিয়া বাজার এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ী পর্যন্ত এ ডিএনডি খালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই দুর্বল। এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল হওয়ার কারণে ডিএনডি’র অভ্যন্তরীণ এলাকায় লাখো লাখো মানুষের বসবাস। খালের উভয় পাশেই রয়েছে শহরের সাথে যোগযোগ সড়কের কানেক্টিভিটি। খালের দক্ষিণ পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী (ওয়াল) থাকলেও উত্তর পাশে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের পাশ ঘেঁষে পুরোটাই একেবারে খোলা এ সড়কটি শহরের একটি ব্যস্ততম সড়ক হওয়ায় প্রায় সময় এ সড়কে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে কুকুর বিড়াল নিহত হয়, পরে এসব মৃত কুকুর বিড়ালসহ অন্যান্য আবর্জনা এ ডিএনডি খালেই ফেলে দেয়া হয়। এছাড়া কিছুদিন পরপরই এ ডিএনডি খাল থেকে মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করার ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ দৈনিক জনতাকে বলেন, বালু, শীতলক্ষ্যা নদীর পানি এমনিতেই পঁচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। গুরুত্বপূর্ণ এ খালের উত্তর পাশে সড়কের সাইটে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকলে প্রবাহিত পানির দূষণ যেমন কমতো তেমনই ডেমরা থানা এলাকায় অপরাধ কিছুটা কমতো। খালের উভয় পাশে ওয়াল অথবা লোহার গ্রীল দিয়ে বেষ্টনী অবশ্যই করা দরকার। এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এবং পয়নিস্কাশন অথরিটির (ওয়াসা) সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের কিউএইচএসএসই (কোয়লিটি হেলথ সেফটিসিকিউরিটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট) ম্যানেজার কাজী মারুফুল হক দৈনিক জনতাকে বলেন, বর্তমানে ডিএএনডি খালের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলমান আছে শুধুমাত্র খালের দক্ষিণ পাশের অভ্যন্তরীণ সড়কের পাশে। এ খালের দক্ষিণ পাশে যেন জরুরিভিত্তিতে লোহার গ্রীল অথবা ওয়াল দিয়ে নিরাপত্তা ব্যাবস্থার আওতায় নিয়ে আসা যায় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এছাড়া এ খালের রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিস্কার পরিছন্নতার জন্য ডিএসকে (দুস্থ সাস্থ্য কেন্দ্র) নামের একটি এনজিও নিয়োজিত রয়েছে।