নদী-খাল-জলাশয় দখল কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে

আপলোড সময় : ২৮-০২-২০২৪ ০৭:০১:১৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৮-০২-২০২৪ ০৭:০১:১৭ অপরাহ্ন
রাজধানীতে আগে অর্ধশতাধিক খাল ছিল। এখন অর্ধেকের মতো কোনোরকমে টিকে আছে। শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশেই নদী-খাল-জলাশয় দখলের হিড়িক লেগেছে। যে যেভাবে পারছে, নদী বা খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। নদী বা খালের প্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। যাদের এসব দেখার কথা কিংবা খাল রক্ষা করার কথা, তারা সেগুলো দেখছে না কিংবা দেখেও না দেখার ভান করে থাকছে। নদীর তুলনায় খাল দখল করা তুলনামূলক সহজ কাজ। খালের জায়গা দখল করে স্থাপনা তৈরির কারণে খালগুলো শীর্ণ হতে হতে অনেক জায়গায় নালার রূপ নিয়েছে। খাল দখল করে স্থাপনা তৈরির হিড়িক বেশি দেখা যায় শহরাঞ্চলে এবং গ্রামবাংলার হাটবাজারে। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এরশাদনগর বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খাল দখল করে আরসিসি ভিতের ওপর ভবন নির্মাণ করেছেন এক ব্যবসায়ী। জেলা পাউবো অফিস দুই দফা নিষেধ করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। সেসব নিষেধ ‘ম্যানেজ’ করে ৮০ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট প্রস্থের ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে ভবনের দেয়াল নির্মাণের কাজ। জানা গেছে, সেখানে ইলেকট্রনিক পণ্যের শোরুম ও গুদাম বানানো হবে। জানা যায়, ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করার দুই মাস পরেই পাউবো কর্মকর্তারা কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। তখন প্রায় ছয় মাস নির্মাণকাজ বন্ধ থাকে। তারপর আবার কাজ শুরু করা হয়। আবারও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা পাউবোর কর্মকর্তারা। এই দফায়ও কয়েক মাস কাজ বন্ধ রাখা হয়। ব্যবসায়ী জানান, অনেক কষ্টে পাউবো অফিসকে ‘ম্যানেজ’ করে তিনি ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছেন। ম্যানেজ করার এই খেলা সারাদেশেই চলমান। আর সে কারণে দ্রুত অস্তিত্ব হারাচ্ছে সারাদেশের নদী-খাল-জলাশয়। আমরা আশা করি, ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি খালের জমি উদ্ধার এবং নাব্যতা রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সারাদেশে নদী-খাল-জলাশয় দখলের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। যারা এসব কাজ করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া প্রভাবশালী বা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নদী-খাল দখল না হয় সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য দেশের জলাশয় রক্ষার বিকল্প নেই।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net