কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি রিমান্ডে

আপলোড সময় : ০৩-০৭-২০২৪ ১১:৪২:২২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-০৭-২০২৪ ১১:৪২:২২ অপরাহ্ন
বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাঁদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে দুদিন করে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিন হাসান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুজন মিয়া আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়েছিলেন। ফাঁসির চার আসামি হলেন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গার নজরুল ইসলাম মজনু, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দির আমির হোসেন, বগুড়ার কাহালু পৌরসভার বিএনপিসমর্থিত মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া এবং বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ফরিদ শেখ। তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুজন মিয়া জানান, কনডেম সেলের ছাঁদ ফুটো করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পেতে চার আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের হাজত থেকে এনে দুদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানা গেছে, গত ২৫ জুন রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বগুড়া জেলা কারাগারের জাফলং কনডেম সেলের ছাঁদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়ে যায়। তারা করতোয়া নদীর সেতু পেরিয়ে পাশেই শহরের চেলোপাড়ায় চাষিবাজারে সমবেত হন। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে স্থানীয়রা অপরাধী সন্দেহে চার জনকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল সদর থানায় মামলা করেন। আসামিরা প্রায় এক মাসের পরিকল্পনায় শৌচাগারে থাকা বালতির লোহার হাতল দিয়ে কনডেম সেলের চুন-সুরকির ছাঁদ ফুটো করতে সক্ষম হন। এরপর তারা বিছানার চাদর ও অন্য কাপড় দিয়ে রশি বানিয়ে সেটা দিয়ে পালিয়ে যান। বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তাকে রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজনের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। রাজবাড়ী জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। বদলির কারণ হিসেবে প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে কারা অধিদপ্তর ডেপুটি জেলার মো. হোসেনুজ্জামান, সুবেদার ফরিদ উদ্দিন, প্রধান কারারক্ষী আবদুল মতিন, সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইদুর রহমান, প্রধান কারারক্ষী দুলাল উদ্দিন, কারারক্ষী রেজাউল করিম, কারারক্ষী আরিফুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রধান কারারক্ষী আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। জেল সুপার আরও জানান, কারা অধিদপ্তরের তিন সদস্যের কমিটির তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ছয় সদস্যের কমিটির তদন্তকাজ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির ১০ কয়েদিকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রুটিনমাফিক কিছু কয়েদিকে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ফাঁসির আসামিরা মাত্র ২-৩ দিনের চেষ্টায় কনডেম সেলের ছাঁদ ফুটো করে পালানোর চেষ্টা করেছিল।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net