![](https://dainikjanata.net/public/postimages/667ce964959fb.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার ও কুমিল্লা প্রতিনিধি
সালিশের রায় পক্ষে না যাওয়ায় কুমিল্লায় নুরুল হক নামে এক সালিশকারীকে হত্যার দায়ে ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মাছুম (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩২), মোস্তফা (২৪), কাইয়ুম (২৫), কাইয়ুম (২৮) ও তবদুল হোসেন (৪০)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কাইয়ুম ও তবদুল হোসেন (৪০)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নানু মিয়া (৪০), মতিন মিয়া (৪০), সাইদুল ইসলাম (২৪), বাবুল মিয়া (২৫), সফিকুল ইসলাম (৩৫), সফিকুল ইসলাম (২৮), মোসলেম মিয়া (৪৫), হেলাল মিয়া (২৫), বিল্লাল হোসেন (৩০) ও আবদুল আউয়াল (৩০)। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন নানু মিয়া (৪০), মতিন মিয়া (৪০), বাবুল মিয়া (২৫), সফিকুল ইসলাম (৩৫), সফিকুল ইসলাম (২৮), মোসলেম মিয়া (৪৫), হেলাল মিয়া (২৫) ও আবদুল আউয়াল (৩০)।
রায়ে দুই জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। তারা হলেন হিরণ মিয়া ও মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া বিচারের সময়কালে ফুল মিয়া ও সেলিম নামের দুই আসামির মৃত্যু হলে আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, নুরুল হক হত্যা মামলার এজাহারে মোট ২২ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১২ জন আসামি ছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। বিচার চলাকালীন দুই আসামি মারা যান। দুই জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। রায়ের সময় আদালতের এজলাসে ১০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট দুশিয়া এলাকার ফরিদ মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার মাছুমের দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় সালিশদার নুরুল হকের নেতৃত্বে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে ফরিদ মিয়ার দখলকৃত ভিটাবাড়ি মাছুম মিয়াকে ছেড়ে দেয়ার জন্য রায় দেন তিনি। এরপর থেকেই আসামিরা ক্ষোভে বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছিলেন। ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সবজুপাড়া শিদলাই রোড এলাকায় মাছুমের লোকজন নুরুল হকের ওপর হামলা চালান। এ সময় মাছুমের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার বুকে চারটি আঘাত করা হয়। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নুরুল হকের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর পর বুধবার মামলার রায় দেন বিচারক।
সালিশের রায় পক্ষে না যাওয়ায় কুমিল্লায় নুরুল হক নামে এক সালিশকারীকে হত্যার দায়ে ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মাছুম (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩২), মোস্তফা (২৪), কাইয়ুম (২৫), কাইয়ুম (২৮) ও তবদুল হোসেন (৪০)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কাইয়ুম ও তবদুল হোসেন (৪০)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নানু মিয়া (৪০), মতিন মিয়া (৪০), সাইদুল ইসলাম (২৪), বাবুল মিয়া (২৫), সফিকুল ইসলাম (৩৫), সফিকুল ইসলাম (২৮), মোসলেম মিয়া (৪৫), হেলাল মিয়া (২৫), বিল্লাল হোসেন (৩০) ও আবদুল আউয়াল (৩০)। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন নানু মিয়া (৪০), মতিন মিয়া (৪০), বাবুল মিয়া (২৫), সফিকুল ইসলাম (৩৫), সফিকুল ইসলাম (২৮), মোসলেম মিয়া (৪৫), হেলাল মিয়া (২৫) ও আবদুল আউয়াল (৩০)।
রায়ে দুই জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। তারা হলেন হিরণ মিয়া ও মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া বিচারের সময়কালে ফুল মিয়া ও সেলিম নামের দুই আসামির মৃত্যু হলে আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, নুরুল হক হত্যা মামলার এজাহারে মোট ২২ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ১২ জন আসামি ছিল। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। বিচার চলাকালীন দুই আসামি মারা যান। দুই জনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। রায়ের সময় আদালতের এজলাসে ১০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট দুশিয়া এলাকার ফরিদ মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার মাছুমের দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় সালিশদার নুরুল হকের নেতৃত্বে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে ফরিদ মিয়ার দখলকৃত ভিটাবাড়ি মাছুম মিয়াকে ছেড়ে দেয়ার জন্য রায় দেন তিনি। এরপর থেকেই আসামিরা ক্ষোভে বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছিলেন। ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সবজুপাড়া শিদলাই রোড এলাকায় মাছুমের লোকজন নুরুল হকের ওপর হামলা চালান। এ সময় মাছুমের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার বুকে চারটি আঘাত করা হয়। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নুরুল হকের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর পর বুধবার মামলার রায় দেন বিচারক।