
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিনামূল্যে বই বিতরণকে অনেকেই অসম্ভব কাজ বলেছিলেন, তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেটা সম্ভব করেছে। ২০১০ সাল থেকে আমরা বিনামূল্যে বই বিতরণ করছি। এখন পর্যন্ত ৪৬৪ কোটির বেশি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এসময় লেখাপড়ায় ছেলেরা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর সেরা মেধাবী পুরস্কার এবং ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার কোনো নীতিমালা থাকুক, এটা চায়নি বিএনপি। এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলি-বোমার শব্দ ও সেশনজট ছিল নিয়মিত বিষয়। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে স্বাক্ষরতার হার ৪৫ ভাগ। আমরা সেটিকে বর্তমানে ৭৬.৮ ভাগে উন্নীত করেছি। এ সময় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানোয় তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেয়া। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার বাংলাদেশ। আগামী দিনগুলোয় তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করাই সরকারের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমরা সরকারে এসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেই। ২০০৯ এর পর পর থেকে ২৩ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ৫৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজকের ছেলেমেয়েরা দেশকে স্মাট ও উন্নত বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাবে এমন আশবাদ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানের বাংলাদেশ নিয়ে আর চিন্তার কিছু নেই। আগামীর বাংলাদেশ এগিয়ে চলার। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের খুঁজে বের করা আর তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোই সরকারের লক্ষ্য। কোনো দেশ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান গবেষণা ছাড়া আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় প্রযুক্তি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষা নিতে পারে, তার সঙ্গে দেশ-বিদেশে আয়ের ব্যবস্থা করতে পারে সেজন্য বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এসময় বিএনপি সরকারের সময় সাক্ষরতার হার কেন কমে গিয়েছিলো সেই প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি। শিক্ষা পদ্ধতি ছিলো মান্ধাতার আমলের। ছিলো সেশন জট, ছিল না গবেষণা খাতে কোনো বরাদ্দ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় ছিল তারা গবেষণায় কোনো বরাদ্দ দেয়নি। গবেষণায় আমাদের কোনো বরাদ্দ ছিল না। আমাদের প্রথম বাজেট অল্প ছিল। সেখান থেকেও গবেষণার জন্য টাকা দিয়ে দেই। পরে যখন বাজেট দেই তখন ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেটা ছিল কম্পিউটার শিক্ষা এবং গবেষণায়। আমাদের শুধু একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমি আরও কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেই। সেই সঙ্গে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠা, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, বায়ু টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, এই সবগুলো আওয়ামী লীগ সরকার আমলে শুরু করেছিলাম।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সোস্যাল মিডিয়ায় কে কি বললো বা সমালোচনা করলো তাতে কান না দিয়ে দেশের কল্যাণে যেটা ভালো, আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু মানুষ থাকে যারা দেশের ভালো চায় না, ভালো কোনো কিছু দেখে না, তাদের পাত্তা না দিয়ে দেশের কল্যাণ করতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াসহ দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু নিজের জন্য নয়, জনগণ, দেশের কল্যাণে নিজেদের শিক্ষা, জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। সেই জন্য এই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। উপবৃত্তির টাকা অভিভাবকের মোবাইল ফোনে বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পাস পর্যায়ে ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এ টাকা। মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার কোনো নীতিমালা থাকুক, এটা চায়নি বিএনপি। এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলি-বোমার শব্দ ও সেশনজট ছিল নিয়মিত বিষয়। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে স্বাক্ষরতার হার ৪৫ ভাগ। আমরা সেটিকে বর্তমানে ৭৬.৮ ভাগে উন্নীত করেছি। এ সময় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানোয় তা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, আমি সত্যি খুব আনন্দিত আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি, এটা তারই একটি দৃষ্টান্ত। এইমাত্র যেটা উদ্বোধন করা হলো সেটা হলো স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেয়া। এটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যার যার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। নিজেরা সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই পদ্ধতিটাই আমরা অনুসরণ করলাম। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার বাংলাদেশ। আগামী দিনগুলোয় তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করাই সরকারের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমরা সরকারে এসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেই। ২০০৯ এর পর পর থেকে ২৩ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ৫৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজকের ছেলেমেয়েরা দেশকে স্মাট ও উন্নত বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাবে এমন আশবাদ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানের বাংলাদেশ নিয়ে আর চিন্তার কিছু নেই। আগামীর বাংলাদেশ এগিয়ে চলার। দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের খুঁজে বের করা আর তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোই সরকারের লক্ষ্য। কোনো দেশ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান গবেষণা ছাড়া আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় প্রযুক্তি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষা নিতে পারে, তার সঙ্গে দেশ-বিদেশে আয়ের ব্যবস্থা করতে পারে সেজন্য বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এসময় বিএনপি সরকারের সময় সাক্ষরতার হার কেন কমে গিয়েছিলো সেই প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি। শিক্ষা পদ্ধতি ছিলো মান্ধাতার আমলের। ছিলো সেশন জট, ছিল না গবেষণা খাতে কোনো বরাদ্দ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় ছিল তারা গবেষণায় কোনো বরাদ্দ দেয়নি। গবেষণায় আমাদের কোনো বরাদ্দ ছিল না। আমাদের প্রথম বাজেট অল্প ছিল। সেখান থেকেও গবেষণার জন্য টাকা দিয়ে দেই। পরে যখন বাজেট দেই তখন ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেটা ছিল কম্পিউটার শিক্ষা এবং গবেষণায়। আমাদের শুধু একটা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমি আরও কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেই। সেই সঙ্গে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠা, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, বায়ু টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, এই সবগুলো আওয়ামী লীগ সরকার আমলে শুরু করেছিলাম।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সোস্যাল মিডিয়ায় কে কি বললো বা সমালোচনা করলো তাতে কান না দিয়ে দেশের কল্যাণে যেটা ভালো, আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিছু মানুষ থাকে যারা দেশের ভালো চায় না, ভালো কোনো কিছু দেখে না, তাদের পাত্তা না দিয়ে দেশের কল্যাণ করতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াসহ দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু নিজের জন্য নয়, জনগণ, দেশের কল্যাণে নিজেদের শিক্ষা, জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। সেই জন্য এই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সাহায্য দিয়ে যাচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। উপবৃত্তির টাকা অভিভাবকের মোবাইল ফোনে বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ে পৌঁছে যাবে। মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পাস পর্যায়ে ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী পাবেন এ টাকা। মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।