বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যারা খাল দখল, বিল ভরাট ও ভূমিদস্যুতায় জড়িত, তারাই এখন সমাজের অধিপতি ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এদের প্রবল প্রতাপের সামনে মাস্টার্স পাস করা মেধাবী তরুণরাও অসহায়। গতকাল রোববার নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম পটুর রূহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী প্রয়াত নেতা সাইফুল ইসলাম পটুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, পটু ছিলেন একজন ‘দলপাগল’ কর্মী, যিনি গুরুতর অসুস্থতা থেকেও বেঁচে ফিরে আবার দলের কর্মসূচি ও মিছিলে সক্রিয় হয়েছিলেন। তার ঘাম, তার দলের জন্য সাহসিক ভূমিকা রাখা- কোনো কিছুতেই বিন্দুমাত্র ত্রুটি ছিল না। তিনি বলেন, হাসিনার সাড়ে ১৪ বছরের আক্রমণাত্মক সময়ের মধ্যেও, পুলিশের গুলি, ভয়ঙ্কর লাঠিচার্জের মধ্যেও আমি তাকে আমার পাশে দৌড়াতে দেখেছি। পটুর মতো অনেক জীবন উৎসর্গকারী, পরিশ্রমী ও মেধাবী নেতা সমাজে উপযুক্ত মূল্যায়ন পান না। বিএনপির এই নেতা ঢাকার পরিবেশ বিপর্যয় ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য শাসকগোষ্ঠীকে দায়ী করে বলেন, ৯৭-৯৮ সালের দিকে পল্টন অফিসের সামনেও খাল ছিল, এখন তা নেই। যারা নগর পরিকল্পনাকারী, তাদের কাছে পরিবেশ, নির্মল বাতাস, খাল-নদীই যেন শত্রু। তা না হলে কেন ধোলাইখাল বন্ধের বদলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে এর পানি ক্লিন রাখার ব্যবস্থা করা হলো না? রিজভী বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৯৫ শতাংশ রাজউক এলাকায় অনুমোদনবিহীন বিল্ডিং তৈরি হয় এবং রাজউক চোখ বন্ধ করে থাকে। রাজনীতিবিদদের হাতেই রাজনীতি থাকা উচিত। অন্য কেউ এলে সেই উপলব্ধি বুঝবে না যে বাতাস নির্মল হওয়া দরকার, পানি পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমরা যদি এই পরিস্থিতি থেকে উন্নতি করতে না পারি, তাহলে আমরা একটা শূন্যগর্ভ অবস্থার দিকে চলে যাবো। তখন বাসযোগ্য বাংলাদেশ, বাসযোগ্য পৃথিবী আমরা আর পাবো না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।