ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির এক মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে যুক্তিতর্ক শুনানিটি শুরু হয়। এর আগে যুক্তিতর্কের জন্য ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিল আদালত। পাশাপাশি এ দিন পৃথক দুই মামলার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ও নির্ধারণ করা হয়েছে। গত সোমবার ১৭ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়াকে জেরা করে এ দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ মামলায় একমাত্র আত্মসমর্পণকারী আসামি রাজউকের সদস্য খুরশীদ আলমের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালতে সেদিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি কোনো সাফাই সাক্ষী দেবেন না এবং আদালতের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। গতকাল রোববারও তিনি এ মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৩১ জুলাই শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা পরিবারের পৃথক ছয় মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। গত ২৯ অক্টোবর আদালতে এই মামলায় আত্মসমর্পণ করেন রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তার আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার সুযোগ পান। দুদকের অভিযোগ, রাজউকের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতা নিয়ে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পূর্বাচলের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক অঞ্চলে বিধি বহির্ভূতভাবে ছয়টি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। বিধি অনুযায়ী তারা এসব প্লট পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। গত ২৫ মার্চ দুদক ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ছয়টি মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে ৩১ জুলাই মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং তাদের পলাতক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।