ক্ষমতা ছাড়ার পরে চালের মজুত চাহিদার চেয়ে বেশি থাকবে-খাদ্য উপদেষ্টা

আপলোড সময় : ২১-১১-২০২৫ ০৭:৩৫:১৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২১-১১-২০২৫ ০৭:৩৫:১৭ অপরাহ্ন
অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আমরা যখন চলে যাব তখন চালের যেটুকু মজুত থাকার কথা, যেটুকু মজুত থাকা উচিত তার চেয়ে ইনশাল্লাহ বেশি থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সবটা সংগ্রহ করে ফেলার জন্য আমরা চেষ্টা করব। বর্তমান সরকার কিন্তু পরবর্তী সরকারের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কাজগুলোকে কমফোর্টেবল রেখে যাবে। এ ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, মনিটরিং কমিটি যে দাম ধার্য করেছে তা গতবারের থেকে বেশি। এবছর ধান কেনা হবে প্রতি কেজি ৩৪ টা এবছর ধান কেনা হবে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা করে, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যে বেশ কিছু চুক্তি হয়ে গেছে, আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) থেকে সংগ্রহ শুরু হবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত। সুতরাং আমাদের মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে যত ডিপার্টমেন্ট আছে, জেলা প্রশাসক তো বটেই, এছাড়া খাদ্য ডিপার্টমেন্টের লোকেরাও কিন্তু নির্বাচন কাজের সঙ্গে জড়িত থাকবে। কেউ প্রিসাইডিং অফিসার হবে কেউ পোলিং অফিসার হবে। ফলে নির্বাচনের আগে প্রায় সবটা সংগ্রহ করে ফেলার জন্য আমরা চেষ্টা করব। উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি যে টার্গেট দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা পূরণ করতে পারবো। এর মধ্যে যে আমরা ৫০ হাজার টন ধান, ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল আর ৫০ হাজার টন আতপ চালের যে টার্গেটটা কিন্তু মিনিমাম। তবে আমরা বলেছি টার্গেটটা ম্যাক্সিমাম যে যত করতে পারে তত ভালো। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের টাকার কোনো অভাব হবে না। এজন্যে আমরা যত বেশি সংগ্রহ করতে পারবো তত বেশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাইতে পারব। ধান চাল সংগ্রহ অভিযানের মধ্যেই আমদানিও হচ্ছে, তাহলে কি আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে সেটা পর্যাপ্ত না-এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, নন হিউম্যান কনজামশন বলতে যে জিনিসটা আছে-আমাদের গরু ছাগল চাল খাচ্ছে, হাঁস মুরগি চাল খাচ্ছে, মাছ চাল খাচ্ছে ওটা আমাদের হিসাবে ধরা নেই। সুতরাং এগুলো হিসাব করে আমাদের কিছু পরিমাণ ঘাটতি থাকে। তিনি বলেন, পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের বিতরণের জন্য আমরা একটা মজুত গড়ে তুলি। সেই মজুতটা যাতে সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকে এবং যাতে একটা নিরাপদ মজুত থাকে এজন্য আমরা সবসময় সক্রিয় ও সচেতন থাকি। তার জন্য আমাদের কিছু পরিমাণ আমদানি করতে হয়। আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আমাদের পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরেও কিন্তু আমরা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাঁচ মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করেছি। একই সঙ্গে উপকারভোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করেছি।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net