পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় চিরকুট লিখে নিখোঁজ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের লাশ রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পার্শ্ববর্তী আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া রেললাইনের পাশ থেকে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ট্রেনে কাটা অবস্থায় লাশটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চিরকুট লিখে গত বুধবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন জিয়াউর রহমান (৪৫)। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া ওয়াবদা এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গুড়া বাজারে সেঞ্চুরি টেইলার্স নামে একটি টেইলারিং ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে দোকানে যান জিয়াউর। দুপুরে তার ছেলে মো. ইজাজ হোসেন খাবার নিয়ে দোকানে গিয়ে বাবাকে পাননি। আশপাশে খোঁজ নিয়েও কোনো তথ্য মেলেনি। পরে দোকানের টেবিলে রাখা একটি কাগজে চোখ যায় তার। সেটি ছিল একটি চিরকুট। তাতে লেখা ছিল-‘দোকান-সংসার চালাইতে পারলাম না, তাই দুনিয়া ত্যাগ করিলাম। কেউ দায়ী নয়।’ চিরকুট পাওয়ার পর পরিবার ও স্বজনরা চারদিকে খোঁজ চালিয়েও কোনো তথ্য পাননি। মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ একজন ব্যবসায়ী জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন। টেইলারিংয়ের কাজ করতে সময় লাগতো বেশি। এ কারণে তার ছোট ছেলে তাকে প্রায়ই বকাঝকা ও মারধর করতো বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে তিনি আরও ভেঙে পড়েছিলেন বলে ধারণা তার। নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর বিকাল সোয়া ৫টার দিকে মাঝপাড়া রেলওয়ে ব্রিজ এলাকায় ট্রেনে কাটা অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা দেখে পরিবার ও পুলিশ গিয়ে লাশটি জিয়াউর রহমানের বলে শনাক্ত করেন। ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছিল। তদন্ত চলা অবস্থায় আটঘরিয়া থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি রেলপথ সংক্রান্ত হওয়ায় লাশ রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, ‘ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় চিরকুট লিখে নিখোঁজ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের লাশ রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পার্শ্ববর্তী আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া রেললাইনের পাশ থেকে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ট্রেনে কাটা অবস্থায় লাশটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চিরকুট লিখে গত বুধবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন জিয়াউর রহমান (৪৫)। তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া ওয়াবদা এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গুড়া বাজারে সেঞ্চুরি টেইলার্স নামে একটি টেইলারিং ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে দোকানে যান জিয়াউর। দুপুরে তার ছেলে মো. ইজাজ হোসেন খাবার নিয়ে দোকানে গিয়ে বাবাকে পাননি। আশপাশে খোঁজ নিয়েও কোনো তথ্য মেলেনি। পরে দোকানের টেবিলে রাখা একটি কাগজে চোখ যায় তার। সেটি ছিল একটি চিরকুট। তাতে লেখা ছিল-‘দোকান-সংসার চালাইতে পারলাম না, তাই দুনিয়া ত্যাগ করিলাম। কেউ দায়ী নয়।’ চিরকুট পাওয়ার পর পরিবার ও স্বজনরা চারদিকে খোঁজ চালিয়েও কোনো তথ্য পাননি। মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ একজন ব্যবসায়ী জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন। টেইলারিংয়ের কাজ করতে সময় লাগতো বেশি। এ কারণে তার ছোট ছেলে তাকে প্রায়ই বকাঝকা ও মারধর করতো বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে তিনি আরও ভেঙে পড়েছিলেন বলে ধারণা তার। নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর বিকাল সোয়া ৫টার দিকে মাঝপাড়া রেলওয়ে ব্রিজ এলাকায় ট্রেনে কাটা অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা দেখে পরিবার ও পুলিশ গিয়ে লাশটি জিয়াউর রহমানের বলে শনাক্ত করেন। ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছিল। তদন্ত চলা অবস্থায় আটঘরিয়া থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি রেলপথ সংক্রান্ত হওয়ায় লাশ রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, ‘ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।