বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লুট করা টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগ ককটেল কিনে নাশকতা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা একটি শান্তিময় বাংলাদেশ চাই, যেখানে সব মতের মানুষ তাদের মতামত সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারবে এবং ভোট হবে নির্বিঘ্ন, সুষ্ঠু ও ইনক্লুসিভ। শেখ হাসিনার অপরাধের শাস্তি যথাযথ হলে সেটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। শেখ হাসিনা আমলের মতো নির্দেশিত আদালত এখন হবে না, সেটাই জনগণের বিশ্বাস। জনগণ চায় ন্যায্য বিচার। সেই ন্যায্য বিচার জনগণ প্রত্যক্ষ করছে, প্রত্যক্ষ করবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, এই দেশেরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামকে কি নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। শিশু সন্তানদেরকে নির্বিচারে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা যে বিভীষিকা দেখিয়েছিল সেগুলো এখনও আমাদের মনে পড়ে। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে যারা অপরাধ করেছে; নির্দেশ দিয়েছে- তারাই লজ্জাহীনভাবে বাসে আগুন দিচ্ছেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লুটের টাকায় ককটেল কেনা হচ্ছে। পদ্মা সেতু আর মেট্রোরেলের আত্মসাৎ করা টাকা থেকেই নাশকতার টাকার যোগান আসছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লুটের টাকায় ককটেল কেনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের আমলে মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তখনও আমরা বারবার বলেছি এই আগুনের সঙ্গে গণতন্ত্রকামী মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা সুস্পষ্ট প্রমাণও দিয়েছি তখন। আগুনের সঙ্গে গণতন্ত্রকামী মানুষ এবং বিএনপির কোনও সম্পর্ক নেই। আগুন সন্ত্রাস কারা করে তার নমুনা এখন দৃশ্যমান। ভারতে বসে শেখ হাসিনার নির্দেশনা আইনসম্মত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারত কেন তা হতে দিচ্ছে? অপরাধীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাশকতার সুযোগ দিয়ে আইনের লঙ্ঘন করছে ভারত। বাংলাদেশের মানুষ এটি ভালোভাবে দেখছে না; এমন আচরণ কাম্য নয়। এ সময় রিজভী আরও জানান, গত বছরের মত এবারও ২০ নভেম্বর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা থেকে শুরু করে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ অনুষ্ঠান আয়োজনের চিন্তা করলে সেই অর্থ দান করে দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।