নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধসহ ১০ দাবি কোয়াবের

আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৫ ১২:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৫ ১২:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ ও পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০২৪ বাস্তবায়ন করা সহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিভিওএ) এবং কোস্টাল শীপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব)। গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং কোস্টাল শীপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এস দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোস্টাল শীপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহবুব কবির প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে মেহবুব কবির বলেন, আমরা প্রকাশিত পণ্য পরিবহন নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালে নৌপথে পণ্য পরিবহন করলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের কতিপয় পণ্যের এজেন্ট সিন্ডিকেট সিরিয়াল বিহীন পণ্য পরিবহন করছে। আমরা নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালে বসে থেকেও ২ থেকে ৩ মাসে একটি ট্রিপ পণ্য পরিবহন করছি। অন্যদিকে সিরিয়াল বিহীন চলাচলকারী জাহাজগুলো অবৈধভাবে মাসে ৩ থেকে ৪ ট্রিপ পণ্য পরিবহন করছে। কিছু ফ্যাক্টরির মালিকগণ নীতিমালা বহির্ভূতভাবে চার্টার জাহাজ দিয়ে পণ্য পরিবহন করছে।
তিনি আরো বলেন, কয়েকটি পণ্যের এজেন্ট আমাদের সাধারণ জাহাজ মালিকদের শত শত কোটি টাকা আটকিয়ে একটার পর একটা জাহাজ ক্রয় করছে। অথচ, আমাদের জাহাজগুলো স্ক্রাপ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে একসময় জাহাজের সংকট প্রকট হয়ে পড়বে। ফ্যাক্টরি মালিকগণ তাদের জাহাজ দিয়ে তাদের নিজস্ব পণ্য পরিবহণ করেন। আর আমরা আমাদের জাহাজ দিয়ে সারা দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, গম খাদ্যশস্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন করে থাকি। এই সেক্টর ধ্বংস হলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
এছাড়া ‘’কয়েকটি’’ পণ্যের এজেন্টরা আমাদের জাহাজগুলোকে ভাসমান গোডাউন বানিয়ে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অবৈধ মুনাফা অর্জন করছে। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী ছোট জাহাজ সর্বোচ্চ ৮ দিনে এবং বড় জাহাজ ১১ দিনে খালি করার কথা থাকলেও ১০ থেকে ১১ মাস ভাসমান গোডাউন করে রেখেছে। এসব সমস্যা সমাধান না হলে অচিরেই আরো জাহাজ স্ক্রাপ হয়ে যাবে। অবশিষ্ট যা থাকবে, সেগুলোর স্টাফ বেতন, জ্বালানি তেল, জাহাজের মেরামত ও অন্যান্য খরচ পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ চালানো সম্ভব হবে না।আমরা সরকারি নীতিমালার পক্ষে, আমরা শুধু সরকারি নীতিমালার বাস্তবায়ন চাই।
সংবাদ সম্মেলনে যেসব দাবি উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হলো-
১.    পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০২৪ বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে। ৩. বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের পণ্যের এজেন্টের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ৪. বিডব্লিউটিসিসি পরিচালনা পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠর ভিত্তিতে হতে হবে। ৫. বকেয়া ড্যামারেজের ২১১ কোটি টাকা সহ চলমান সমস্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। ৬. পণ্য পরিবহন করে জাহাজ ভাসমান গোডাউন করা বন্ধ করতে হবে। ৭. সমস্ত জাহাজ নৌ নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালভুক্ত হয়ে চলতে হবে। ৮. ফ্যাক্টরি মালিকদের নীতিমালা বহির্ভূত চার্টার জাহাজে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করতে হবে। ৯. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের সদস্যব্যতিত কমার্সিয়াল পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে। ১০. সমুদ্র বন্দর থেকে বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net