আলু নিয়ে কৃষককে বিপাকে পড়তে হয়েছে। গুনতে হয়েছে মোটা লোকসান। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকরা এবার আলু চাষে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে এবার দেশে আলুর উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কায় কৃষি অধিদপ্তর লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা কমানো সত্ত্বেও তা অর্জন হবে কিনা তা নিয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেও রাজধানী ঢাকায় খুচরা পর্যায়ে ২০ থেকে ২৫ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে। আর কোনো পণ্যের দাম কমলে সবসময়ই ওই পণ্যের চাষ কম হয়। আর চলতি মৌসুমে আলু উৎপাদন কম হলে আগামীতে দেশের আলু বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সেজন্য কৃষি কর্মকর্তারা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ খরচ কমানো ও বাফার স্টকের পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। আর তাতে উৎপাদন হয় ১ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০ টন। গত অর্থবছরে চাষ হওয়া জমির তুলনায় এবার ২৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭০০ টন। যদিও ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ গত বছর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ছিল ২৩ দশমিক ৩৯ টন। সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন প্রায় এক টন বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৪ টন। যা প্রায় অসম্ভব।
সূত্র জানায়, দেশে উত্তরের দুই বিভাগ রংপুর ও রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়। গত বছর ওই দুই বিভাগে ৮৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৮ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। অর্থাৎ জাতীয় উৎপাদনের ৭৬ শতাংশই অবদান রংপুর-রাজশাহী বিভাগের ছিল। গত বছর ওই দুই বিভাগের ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪১ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ওই দুই বিভাগে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ হাজার ৭৬১ হেক্টর কম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যানুযায়ী দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৯০ লাখ টনের মতো। তার মধ্যে ৮০ লাখ টনের বেশি আলু ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। আর ৭ থেকে ৮ লাখ টন আলু বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টন। আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৬ লাখ টন। তার আগের বছর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪ লাখ টন। গত নভেম্বরে খুচরায় আলুর দাম সর্বোচ্চ ৭০ টাকায় উঠেছিল। তারপর দেশে রেকর্ড পরিমাণ আলুর চাষ হয়।
সূত্র আরো জানায়, দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় গত বছর ধস নামে আলুর দামে। পাশাপাশি হিমাগারের খরচ হিমাগার মালিক সমিতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে আলু সংরক্ষণ করার চেয়ে কৃষকরা বাজারে ছেড়ে দেয়। তাতে আলুর মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের নিচে নেমে আসে। মূলত আকস্মিকভাবে হিমাগারের ভাড়া বেড়ে যাওয়া কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর আগের মৌসুমে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় দেশে আলুর আবাদ বেড়ে যায়। আবার উৎপাদন বাড়ায় আলুর দাম কমে যায়। গতবার লোকসানে পড়ায় এবার আলু চাষ থেকে অনেক কৃষকই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাতে আগামী আবার আলুর বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এবার বাজার রক্ষার্থে সরকার ৫০ হাজার টন আলু কিনেছে। যা মোট উৎপাদনের ১ শতাংশের অর্ধেকও না। সরকার যদি ১০-১৫ লাখ টন আলু কিনে সংরক্ষণ করতো তাহলে কৃষককে হাহাকার করতে হতো না। সরকার হিমাগার গেটে আলুর ন্যূনতম মূল্য ২২ টাকা প্রতি কেজি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেটিও মানা হচ্ছে না। তাছাড়া দেশ থেকে আলু রফতানি হয়েছে মাত্র ৬৫ হাজার টন। ফলে বীজ হিসেবে ব্যবহারের পর অন্তত ১০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকবে।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তরের ক্রপস উইং দেশের কৃষির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। আর কোনো পণ্যের দাম কম হলে পরেরবার স্বাভাবিকভাবেই সে পণ্যের চাষ কম হয়। আর দাম বেশি থাকলে চাষ তথা উৎপাদন বেশি হয়। গতবার আলুর দাম কম থাকায় কৃষক লোকসানে পড়েছে। তাদের উৎপাদিত খরচের তুলনায় কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও এখনো রাজধানী ঢাকাতেই খুচরা বাজারে ২০-২৫ টাকায় আলু কেনা যাচ্ছে। এত কম দাম হওয়ায় কৃষক স্বাভাবিকভাবেই এবার আলুর আবাদ কম করবে। সেজন্য গত বছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তার চেয়েও এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কম ধরা হয়েছে। আর কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে কত ব্যয় হয় সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সরকারি সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী গত মৌসুমে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। বেসরকারি হিসাবে তা ১৭ টাকার মতো। কিন্তু উৎপাদিত সেসব আলু হিমাগার গেটে (পাইকারি) ১২ থেকে ১৩ টাকায় কৃষককে বিক্রি করতে হয়েছে। অথচ হিমাগার ভাড়ার সঙ্গে পরিবহন ও শ্রমিক ব্যয় যুক্ত করে প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের খরচই ২৫ টাকার কাছাকাছি। এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের ন্যূনতম লোকসান ১০ টাকা। যদিও জমি থেকে আলু তোলার পর আরো কম দামে কৃষকদের আলু বিক্রি করতে হয়েছে। তবে চলতি বছর আলু উৎপাদনে কত ব্যয় হবে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের (টিআরসি) পরিচালক ড. মো. মতিয়ার রহমান জানান, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা ৭৬ লাখ টনের মতো। চিপসসহ কিছু খাবার পণ্য তৈরিতেও আলু ব্যবহৃত হয়। সেগুলোর সঠিক তথ্য নেই। তাছাড়া বীজ হিসেবে সাত-আট লাখ টন আলু ব্যবহার হয়। গতবার চাহিদার তুলনায় আলু উদ্বৃত্ত ছিল। সেজন্য কৃষককে লোকসান গুনতে হয়েছে। সেজন্য ধরে নেয়া যায় এবার কৃষকরা আলু কম চাষ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। আর তাতে উৎপাদন হয় ১ কোটি ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০ টন। গত অর্থবছরে চাষ হওয়া জমির তুলনায় এবার ২৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭০০ টন। যদিও ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ গত বছর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ছিল ২৩ দশমিক ৩৯ টন। সেখানে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন প্রায় এক টন বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৪ টন। যা প্রায় অসম্ভব।
সূত্র জানায়, দেশে উত্তরের দুই বিভাগ রংপুর ও রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হয়। গত বছর ওই দুই বিভাগে ৮৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৮ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। অর্থাৎ জাতীয় উৎপাদনের ৭৬ শতাংশই অবদান রংপুর-রাজশাহী বিভাগের ছিল। গত বছর ওই দুই বিভাগের ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪১ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ওই দুই বিভাগে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ হাজার ৭৬১ হেক্টর কম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যানুযায়ী দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৯০ লাখ টনের মতো। তার মধ্যে ৮০ লাখ টনের বেশি আলু ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। আর ৭ থেকে ৮ লাখ টন আলু বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টন। আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আলুর উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৬ লাখ টন। তার আগের বছর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪ লাখ টন। গত নভেম্বরে খুচরায় আলুর দাম সর্বোচ্চ ৭০ টাকায় উঠেছিল। তারপর দেশে রেকর্ড পরিমাণ আলুর চাষ হয়।
সূত্র আরো জানায়, দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় গত বছর ধস নামে আলুর দামে। পাশাপাশি হিমাগারের খরচ হিমাগার মালিক সমিতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে আলু সংরক্ষণ করার চেয়ে কৃষকরা বাজারে ছেড়ে দেয়। তাতে আলুর মূল্য উৎপাদন ব্যয়ের নিচে নেমে আসে। মূলত আকস্মিকভাবে হিমাগারের ভাড়া বেড়ে যাওয়া কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আর আগের মৌসুমে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় দেশে আলুর আবাদ বেড়ে যায়। আবার উৎপাদন বাড়ায় আলুর দাম কমে যায়। গতবার লোকসানে পড়ায় এবার আলু চাষ থেকে অনেক কৃষকই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাতে আগামী আবার আলুর বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এবার বাজার রক্ষার্থে সরকার ৫০ হাজার টন আলু কিনেছে। যা মোট উৎপাদনের ১ শতাংশের অর্ধেকও না। সরকার যদি ১০-১৫ লাখ টন আলু কিনে সংরক্ষণ করতো তাহলে কৃষককে হাহাকার করতে হতো না। সরকার হিমাগার গেটে আলুর ন্যূনতম মূল্য ২২ টাকা প্রতি কেজি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সেটিও মানা হচ্ছে না। তাছাড়া দেশ থেকে আলু রফতানি হয়েছে মাত্র ৬৫ হাজার টন। ফলে বীজ হিসেবে ব্যবহারের পর অন্তত ১০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকবে।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ কৃষি অধিদপ্তরের ক্রপস উইং দেশের কৃষির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। আর কোনো পণ্যের দাম কম হলে পরেরবার স্বাভাবিকভাবেই সে পণ্যের চাষ কম হয়। আর দাম বেশি থাকলে চাষ তথা উৎপাদন বেশি হয়। গতবার আলুর দাম কম থাকায় কৃষক লোকসানে পড়েছে। তাদের উৎপাদিত খরচের তুলনায় কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও এখনো রাজধানী ঢাকাতেই খুচরা বাজারে ২০-২৫ টাকায় আলু কেনা যাচ্ছে। এত কম দাম হওয়ায় কৃষক স্বাভাবিকভাবেই এবার আলুর আবাদ কম করবে। সেজন্য গত বছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তার চেয়েও এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কম ধরা হয়েছে। আর কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে কত ব্যয় হয় সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সরকারি সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী গত মৌসুমে প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। বেসরকারি হিসাবে তা ১৭ টাকার মতো। কিন্তু উৎপাদিত সেসব আলু হিমাগার গেটে (পাইকারি) ১২ থেকে ১৩ টাকায় কৃষককে বিক্রি করতে হয়েছে। অথচ হিমাগার ভাড়ার সঙ্গে পরিবহন ও শ্রমিক ব্যয় যুক্ত করে প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের খরচই ২৫ টাকার কাছাকাছি। এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের ন্যূনতম লোকসান ১০ টাকা। যদিও জমি থেকে আলু তোলার পর আরো কম দামে কৃষকদের আলু বিক্রি করতে হয়েছে। তবে চলতি বছর আলু উৎপাদনে কত ব্যয় হবে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের (টিআরসি) পরিচালক ড. মো. মতিয়ার রহমান জানান, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা ৭৬ লাখ টনের মতো। চিপসসহ কিছু খাবার পণ্য তৈরিতেও আলু ব্যবহৃত হয়। সেগুলোর সঠিক তথ্য নেই। তাছাড়া বীজ হিসেবে সাত-আট লাখ টন আলু ব্যবহার হয়। গতবার চাহিদার তুলনায় আলু উদ্বৃত্ত ছিল। সেজন্য কৃষককে লোকসান গুনতে হয়েছে। সেজন্য ধরে নেয়া যায় এবার কৃষকরা আলু কম চাষ করবেন।