ঢাকা অবরোধের হুঁশিয়ারি হেফাজতের

আপলোড সময় : ১৬-১১-২০২৫ ০৩:৫২:৫৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৬-১১-২০২৫ ০৩:৫২:৫৪ অপরাহ্ন
* কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ * কাদিয়ানীদের পণ্য বয়কটের আহ্বান মুফতি আব্দুল মালেকের * খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে চার দফা কর্মসূচি ও ছয় দফা ঘোষণা * ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি কাদিয়ানিদের (আহমদিয়া সম্প্রদায়) রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবিতে ‘আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন’ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এতে দেশ-বিদেশের লাখো আলেম উলামা, গবেষক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণ করেন। এ সম্মেলনে সমকালীন ধর্মীয় পরিস্থিতি, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করলে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার হুঁশিয়ারিও দেন নেতারা। একইসঙ্গে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে চার দফা কর্মসূচি ও ছয় দফা ঘোষণা। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে প্রধান দাবি হচ্ছে,কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা। এই দাবি বাস্তবায়নে মহাসম্মেলন থেকে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ছয় দফা ঘোষণা পাঠ করে শোনানো হয়। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াতের মহাসচিব ও সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদের সদস্য সচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সম্মেলনে ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো-১. আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বস্তরের আলেম-উলামা এবং তৌহিদি জনতার অংশগ্রহণে দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলবে। ২. মে ও জুন মাসজুড়ে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ৩. জুলাই ২০২৬ থেকে নভেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত পাঁচ মাসে সারাদেশে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিভাগে খতমে নবুওয়াত বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ৪. উপরোক্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরও যদি কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা না করা হয়, তবে ডিসেম্বর ২০২৬-এ দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামদের নিয়ে জাতীয় উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন আহ্বান করা হবে। সেখানে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান মহিউদ্দিন রব্বানী। তিনি বলেন, এসব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলো পালন করার পরও যদি সরকার কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণার ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না করে, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় ওলামায়ে সম্মেলন আহ্বান করা হবে। সেই সম্মেলনে কঠিন থেকে কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে হবে ইনশাল্লাহ। ছয় দফা ঘোষণা: ইসলামের মৌলিক আকিদা ‘খতমে নবুয়ত’ সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানিদের ‘সংখ্যালঘু অমুসলিম’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামা-মাশায়েখের উপস্থিতিতে মহাসম্মেলন থেকে সর্বসম্মতভাবে ছয় দফা দাবি সংবলিত একটি ঘোষণাপত্র পেশ করা হয়। খতমে নবুয়ত পরিষদের মাওলানা মাহফুজুল হক এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, ইসলাম ধর্মের মৌলিক আকিদা ‘খতমে নবুয়ত’কে অস্বীকার করার কারণে কাদিয়ানিরা মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মতিক্রমে ইসলাম বহির্ভূত কাফের বা অমুসলিম। তাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নাগরিকের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং দেশের অভ্যন্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে অবিলম্বে এই ঘোষণা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। ঘোষণাপত্রে আহমদিয়া মুসলিম জামাত নামে পরিচিত কাদিয়ানিদের জন্য ধর্মীয় আচার-আচরণ সংক্রান্ত ছয়টি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়: ১.অমুসলিম ঘোষণা: আহমদিয়া মুসলিম জামাত নামধারী তথাকথিত কাদিয়ানি সম্প্রদায় ইসলামের দৃষ্টিতে কাফের সংখ্যালঘু অমুসলিম। তারা ‘আহমদিয়া মুসলিম জামাত’ নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবে না এবং সব ক্ষেত্রে ‘কাদিয়ানি সম্প্রদায়’ নামে পরিচিত হবে। ২. ইসলামি পরিভাষা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা: কাদিয়ানিরা তাদের ধর্মকে ইসলাম আখ্যায়িত করতে পারবে না এবং কালিমা, নামাজ, রোজা, যাকাত, আজান, ঈদ, কোরবানি ইত্যাদি কোনো ইসলামি পরিভাষা ব্যবহার করতে পারবে না। ৩. উপাসনালয় ও নিদর্শন: কাদিয়ানিরা তাদের উপাসনালয়কে মসজিদ নামকরণ করতে পারবে না। সেটি ‘কাদিয়ানী উপাসনালয়’ হিসেবে পরিচিত হবে। এছাড়া সাহাবি, উম্মুল মুমিনিন-এর মতো কোনো ইসলামি বিশেষ নিদর্শন তারা ব্যবহার করতে পারবে না। ৪. বিবাহ সম্পূর্ণ হারাম: কাদিয়ানিদের সঙ্গে মুসলমানের বিবাহ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে হারাম। পরিচয় গোপন করে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৫. জানাজা ও উত্তরাধিকার: কাদিয়ানিদের জানাজা পড়া যাবে না এবং কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা যাবে না। কাদিয়ানি ও অমুসলমানের মাঝে কোনো উত্তরাধিকারের বিধান প্রযোজ্য হবে না। ৬. প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা: কাদিয়ানিরা ইসলাম প্রচারের নামে কোরআনের বিকৃত অনুবাদ কিংবা কোনো বই, পুস্তিকা, লিফলেট ইত্যাদি ছাপতে বা প্রচার করতে পারবে না। ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের ধর্ম ইসলামের সুরক্ষা, কাদিয়ানিদের সংখ্যালঘু অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার স্বার্থে অবিলম্বে উপরোক্ত ঘোষণা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেছেন, হারাম ও কোনো বাতিলের সঙ্গে আপস নেই। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের বলেছি, তারা যদি ক্ষমতায় গিয়ে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা না করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে। মাওলানা আব্দুল হামিদ সরকারকে তওবা করে ভালো হয়ে ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই মাটি আলেম-ওলামার মাটি, এই মাটি পীর-দরবেশের ঘাঁটি। এখানে যত বজ্জাতি-শয়তানি করেছো, ভালো হয়ে যাও। অন্যথায় খুনি হাসিনার মতো দেশ থেকে পালাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতেই হবে। তিনি কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি আদায়ে প্রয়োজন হলে ঢাকা অবরোধ, সংসদ অভিমুখে লংমার্চ ও সচিবালয় বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন। কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে ইসলামের মূলধারা থেকে বিচ্যুত বলে দাবি করে তাদের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম আশংকাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ জনগণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবসহ নানা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাদিয়ানীদের প্রশ্নোত্তরভিত্তিক কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের অনেক সাধারণ মানুষ এসব কনটেন্ট দেখে প্রকৃত তথ্য যাচাই করতে পারে না। ফলে অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি কাদিয়ানীদের কোনো অনলাইন কনটেন্ট ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দেয় এবং ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, তাহলে প্রয়োজনীয় নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার সরকারের রয়েছে। জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষা ও সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে কাদিয়ানীদের প্ল্যাটফর্মের ওপর নজরদারি জরুরি হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনে তাদের ইউটিউব চ্যানেলগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার আহবান জানান তিনি। বক্তব্যে আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন খতমে নবুওয়ত আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই আন্দোলন কেবল ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষার বিষয় নয়; এটি সমাজকে সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করার সংগ্রাম। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এবং দৈনিক ইনকিলাব এই অবস্থানে অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। এ ছাড়া তিনি ধর্মীয় বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সঠিক তথ্য যাচাই করা, বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বিরুদ্ধে শিক্ষামূলক কর্মসূচি জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি ডিজিটাল যুগে ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনলাইন জগতে অজস্র তথ্যের মাঝে সঠিক-ভুল বিচার করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীল নজরদারি দরকার। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানের প্রস্তাবনায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে আল্লাহ এক এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী। তিনি উল্লেখ করেন, মুসলিম জাতির মধ্যে বিভাজনের কারণে ফিলিস্তিন ও মিয়ানমারে মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং সকলে সহযোগিতা করেন, তাহলে খতমে নবুওয়ত কমিটির দাবির বিষয়ে বিএনপি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যারা রাসুলুল্লাহ (সা.) কে স্বীকার করে না, তাদেরকে বিএনপি মুসলিম হিসেবে মনে করে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে দেশে বা মুসলিম বিশ্বে কোথাও কোনো দ্বিমত নেই। তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশে শুধু বাংলাদেশের মুসলমান নয়— গোটা মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছেন। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার বিষয়ে সবার অবস্থান এক। তিনি আরও বলেন, রাসুল সা. বহু হাদিসে ঘোষণা দিয়েছেন— তিনিই শেষ নবী, তার পরে আর কোনো নবী আসবে না। এই আকিদা ইসলামি উম্মাহর সর্বসম্মত বিশ্বাস। বাংলাদেশের জনগণ যদি আমাদের নির্বাচিত করে তাহলে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা হবে, ইনশাআল্লাহ। বিদেশি মেহমানদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান, পাকিস্তানের ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাশেম নোমানি, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানীসহ সৌদি আরব, মিসরসহ বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট আলেমগণ। দেশের শীর্ষ আলেমদের মধ্যে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী,আল হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদ হাসান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম, মামুনুল হক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং দেশ-বিদেশের শীর্ষ আলেম-ওলামাগণ। এতে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ। কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন। এদিন সম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ ঢাকায় আসতে থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই রুটের যানবাহন বিকল্প পথ দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে ট্রাফিক বিভাগ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গুলিস্তান, পল্টন, ফুলবাড়িয়া, কাকরাইল, বাংলামোটর এসব এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। লম্বা সময় যানবাহন এক জায়গায় আটকে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে যানবাহন ছেড়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। তবে আয়োজকরা জানান, বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময় খতমে নবুওয়ত নিয়ে সভা-সমাবেশ হলেও এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন হচ্ছে।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net