চলতি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১১ মাসে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মৃত্যু হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা ১০০০ জন ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) গত বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।
আইওএম এর তথ্য অনুসারে, ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ নভেম্বর। সেদিন ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী জুওয়ারা শহরের উপকূল থেকে গত ৩ নভেম্বর ইতালির উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল নৌকাটি। যাত্রা শুরুর চতুর্থ দিনে লিবিয়ার ভুমধ্যসাগরস্থ তেলের খনি আল বুরি অয়েল ফিল্ডের কাছে ডুবে যায় নৌকাটি। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন মাত্র ৭ জন। তাদের মধ্যে ৪ জন সুদানের, ২ জন নাইজেরিয়ার এবং একজন ক্যামেরুনের। সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ২ জন নারীসহ মোট ৪৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন এবং জুওয়ারা উপকূল থেকে রওনা হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যেই নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তার কয়েক ঘণ্টা পর সাগরের অশান্ত পরিস্থিতির জেরে ডুবেও যায় নৌকাটি। সাগর অশান্ত থাকায় নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে যান অধিকাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া ৭জন ভাসতে ভাসতে আল বুরি অয়েল ফিল্ডের কাছাকাছি এসেছিলেন। সেখানে লোকজন তাদের উদ্ধার করে। বেঁচে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে আরও জানা গেছে, নিহত বা নিখোঁজ ৪২ জনের মধ্যে ২৯ জন সুদান, ৮ জন সোমালিয়া, তিন জন ক্যামেরুন এবং ২ জন নাইজেরিয়ার নাগরিক ছিলেন। বুধবারের বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘ট্র্যাজিক ইভেন্ট’ উল্লেখ করেছে আইওএম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে অভিবাসনের জন্য নিরাপদ ও আইনসম্মত পন্থা অলম্বন করারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। প্রসঙ্গত, এশিয়া এবং ইউরোপকে বিভক্ত করা ভূমধ্যসাগরের একদিকের উপকূলে তুরস্ক, লিবিয়া ও মরক্কো অবস্থিত, অপরদিকের উপকূলে ইতালি ও গ্রিস। ২০১৬ সাল থেকে এই সাগরপথে তুরস্ক, লিবিয়া এবং মরক্কো থেকে নৌকা বা নৌযানযোগে ইতালি ও গ্রিসে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে এবং করোনা মহামারির সময় থেকে তা রীতিমতো ব্যাপক আকার নিয়েছে। বিপদসঙ্গকুল এই পথে নৌকা বা নৌযানডুবে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। প্রায় নিয়মিতই এই সাগরে নৌকাডুবি এবং অভিাবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
আইওএম এর তথ্য অনুসারে, ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ নভেম্বর। সেদিন ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী জুওয়ারা শহরের উপকূল থেকে গত ৩ নভেম্বর ইতালির উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল নৌকাটি। যাত্রা শুরুর চতুর্থ দিনে লিবিয়ার ভুমধ্যসাগরস্থ তেলের খনি আল বুরি অয়েল ফিল্ডের কাছে ডুবে যায় নৌকাটি। ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছেন মাত্র ৭ জন। তাদের মধ্যে ৪ জন সুদানের, ২ জন নাইজেরিয়ার এবং একজন ক্যামেরুনের। সাংবাদিকদের তারা জানিয়েছেন, নৌকাটিতে ২ জন নারীসহ মোট ৪৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন এবং জুওয়ারা উপকূল থেকে রওনা হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যেই নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তার কয়েক ঘণ্টা পর সাগরের অশান্ত পরিস্থিতির জেরে ডুবেও যায় নৌকাটি। সাগর অশান্ত থাকায় নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে যান অধিকাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেঁচে যাওয়া ৭জন ভাসতে ভাসতে আল বুরি অয়েল ফিল্ডের কাছাকাছি এসেছিলেন। সেখানে লোকজন তাদের উদ্ধার করে। বেঁচে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে আরও জানা গেছে, নিহত বা নিখোঁজ ৪২ জনের মধ্যে ২৯ জন সুদান, ৮ জন সোমালিয়া, তিন জন ক্যামেরুন এবং ২ জন নাইজেরিয়ার নাগরিক ছিলেন। বুধবারের বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘ট্র্যাজিক ইভেন্ট’ উল্লেখ করেছে আইওএম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে অভিবাসনের জন্য নিরাপদ ও আইনসম্মত পন্থা অলম্বন করারও আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। প্রসঙ্গত, এশিয়া এবং ইউরোপকে বিভক্ত করা ভূমধ্যসাগরের একদিকের উপকূলে তুরস্ক, লিবিয়া ও মরক্কো অবস্থিত, অপরদিকের উপকূলে ইতালি ও গ্রিস। ২০১৬ সাল থেকে এই সাগরপথে তুরস্ক, লিবিয়া এবং মরক্কো থেকে নৌকা বা নৌযানযোগে ইতালি ও গ্রিসে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে এবং করোনা মহামারির সময় থেকে তা রীতিমতো ব্যাপক আকার নিয়েছে। বিপদসঙ্গকুল এই পথে নৌকা বা নৌযানডুবে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। প্রায় নিয়মিতই এই সাগরে নৌকাডুবি এবং অভিাবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু বা নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।