‘আপনার বউ কতজন?’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে ঠিক এই প্রশ্নই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১০ নভেম্বর হোয়াইট হাউজে দুই নেতার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
জানা গেছে, বৈঠকে মূলত সিরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়েই আলোচনা হয়। তবে সেখানে ট্রাম্প সিরীয় প্রেসিডেন্ট আল-শারার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা ওঠান ও প্রশ্ন করেন আপনার স্ত্রী কয়জন? এ ঘটনায় হোয়াইট হাউজে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। দুই নেতার সাক্ষাতের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, ট্রাম্প আল-শারাকে একটি পারফিউম উপহার দেন ও নিজেই তা ছিটিয়ে বলেন, এটাই সেরা ঘ্রাণ আর অন্য বোতলটি আপনার স্ত্রীর জন্য। এরপরই ট্রাম্প মজা করে প্রশ্ন করেন, আপনার স্ত্রী কয়জন? আল-শারা উত্তর দেন, একজন। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন। ট্রাম্পও হাসতে হাসতে বলেন, তবে জানেন তো, ভবিষ্যতে কী হয় বলা যায় না! অন্যদিকে, বৈঠকে আল-শারা ট্রাম্পকে উপহার দেন প্রাচীন সিরীয় নিদর্শনের প্রতিরূপ। জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমাদের সবারই অতীত আছে, তবে তার অতীতটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, কঠিন অভিজ্ঞতা না থাকলে এগিয়ে যাওয়ার পথও তৈরি হয় না। শারার এই সফরকে অনেকেই ‘অবিশ্বাস্য পরিবর্তনের প্রতীক’ বলে অভিহিত করেছেন। একসময় যিনি জঙ্গি নেতা ছিলেন ও যার মাথার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তিনিই হোয়াইট হাউজের অতিথি হতে পেরেছেন। বৈঠক শেষে শারাকে দেখা যায় মোটরকেড থেকে নেমে হোয়াইট হাউজের বাইরে ভিড় জমানো সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলাতে, চারদিকে তখন কড়া নিরাপত্তা বলয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক্সে (সাবেক টুইটার) জানায়, ট্রাম্প ও শারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, তা উন্নয়নের উপায় এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ট্রাম্পের পাশে হাস্যোজ্জ্বল শারাকে দাঁড়িয়ে হাত মেলাতে, আরেক ছবিতে তিনি বসে আছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা প্রধান পিট হেগসেথ ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ড্যান কেইনের বিপরীতে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে সিরিয়ার নতুন সরকার তাদের সহিংস অতীত থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলে একটি মধ্যপন্থি ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক সংকটগোষ্ঠীর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিচালক মাইকেল হান্না বলেন, একজন সাবেক জঙ্গি নেতার থেকে বৈশ্বিক কূটনীতিক হয়ে ওঠা, এটি শারার জন্য এক বিশাল প্রতীকী মাইলফলক। গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্পের আঞ্চলিক সফরের সময় দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তখন ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাকে ‘তরুণ, আকর্ষণীয় নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ওয়াশিংটনে আসার পর শারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন, যেখানে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনে অর্থনৈতিক সহায়তা চান। যদিও তার জিহাদিপন্থি অতীত নিয়ে কিছু মহলে সমালোচনা চলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার তাকে কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়, যা ছিল বহুল প্রত্যাশিত পদক্ষেপ। এদিকে, সিরীয় প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওয়াশিংটনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। গত অক্টোবরেই তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
জানা গেছে, বৈঠকে মূলত সিরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়েই আলোচনা হয়। তবে সেখানে ট্রাম্প সিরীয় প্রেসিডেন্ট আল-শারার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা ওঠান ও প্রশ্ন করেন আপনার স্ত্রী কয়জন? এ ঘটনায় হোয়াইট হাউজে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। দুই নেতার সাক্ষাতের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, ট্রাম্প আল-শারাকে একটি পারফিউম উপহার দেন ও নিজেই তা ছিটিয়ে বলেন, এটাই সেরা ঘ্রাণ আর অন্য বোতলটি আপনার স্ত্রীর জন্য। এরপরই ট্রাম্প মজা করে প্রশ্ন করেন, আপনার স্ত্রী কয়জন? আল-শারা উত্তর দেন, একজন। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন। ট্রাম্পও হাসতে হাসতে বলেন, তবে জানেন তো, ভবিষ্যতে কী হয় বলা যায় না! অন্যদিকে, বৈঠকে আল-শারা ট্রাম্পকে উপহার দেন প্রাচীন সিরীয় নিদর্শনের প্রতিরূপ। জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমাদের সবারই অতীত আছে, তবে তার অতীতটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, কঠিন অভিজ্ঞতা না থাকলে এগিয়ে যাওয়ার পথও তৈরি হয় না। শারার এই সফরকে অনেকেই ‘অবিশ্বাস্য পরিবর্তনের প্রতীক’ বলে অভিহিত করেছেন। একসময় যিনি জঙ্গি নেতা ছিলেন ও যার মাথার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১ কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তিনিই হোয়াইট হাউজের অতিথি হতে পেরেছেন। বৈঠক শেষে শারাকে দেখা যায় মোটরকেড থেকে নেমে হোয়াইট হাউজের বাইরে ভিড় জমানো সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলাতে, চারদিকে তখন কড়া নিরাপত্তা বলয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক্সে (সাবেক টুইটার) জানায়, ট্রাম্প ও শারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, তা উন্নয়নের উপায় এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে ট্রাম্পের পাশে হাস্যোজ্জ্বল শারাকে দাঁড়িয়ে হাত মেলাতে, আরেক ছবিতে তিনি বসে আছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা প্রধান পিট হেগসেথ ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ড্যান কেইনের বিপরীতে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে সিরিয়ার নতুন সরকার তাদের সহিংস অতীত থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলে একটি মধ্যপন্থি ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক সংকটগোষ্ঠীর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিচালক মাইকেল হান্না বলেন, একজন সাবেক জঙ্গি নেতার থেকে বৈশ্বিক কূটনীতিক হয়ে ওঠা, এটি শারার জন্য এক বিশাল প্রতীকী মাইলফলক। গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্পের আঞ্চলিক সফরের সময় দুজনের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তখন ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাকে ‘তরুণ, আকর্ষণীয় নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ওয়াশিংটনে আসার পর শারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন, যেখানে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনে অর্থনৈতিক সহায়তা চান। যদিও তার জিহাদিপন্থি অতীত নিয়ে কিছু মহলে সমালোচনা চলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার তাকে কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়, যা ছিল বহুল প্রত্যাশিত পদক্ষেপ। এদিকে, সিরীয় প্রেসিডেন্ট সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওয়াশিংটনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। গত অক্টোবরেই তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।