সিরিজের শুরুটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে করেছিল, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি তারা। ফলে শেষ ম্যাচেও হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে কিউইরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ডানেডিনে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। ব্যাটিং করতে নেমে জ্যাকফ ডাফি ও বাকি বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। লক্ষ্য তাড়ায় টিম রবিনসন ও ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় ব্ল্যাকক্যাপসরা। মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুট গড়েন রবিনসন ও কনওয়ে। ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। রোমারিও শেফার্ডের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ৩৭ রানের জুটি হয় তৃতীয় উইকেটে রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ের। সেটি ভাঙেন শামার স্প্রিঙ্গার। রাচিন তার বলে ক্যাচ দেন রাদারফোর্ডকে ব্যক্তিগত ১৬ ও দলীয় ১০৬ রানে। এরপর অবশ্য আরকোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দেন ৪২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকা ওপেনার কনওয়ে। ১৩ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্ক চাপম্যান। এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবিয়রা। দলীয় ১২ রানে কাইল জেমিসন নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে অলিক অ্যাথানেজকে ফিরিয়ে শুরু করেন আঘাত। এরপর সেই ধারায় যোগ দেন স্বাগতিকদের বাকি বোলাররাও। ২১ রানে উইন্ডিজ হারায় ৪ উইকেট। পরের ৩ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি। একে একে ফেরান অধিনায়ক শাই হোপ (১১), আকিম অগাস্ট (৮) ও শেরফান রাদারফোর্ডকে (০)। পরে ব্রেসওয়েল রভম্যান পাওয়েলকে (১১) ফেরালে ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬.২ ওভারেই বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর সম্ভাবনা অস্তমিত হয়ে যায় সফরকারীদের। ৩৮ রান করে রস্টন চেজ কিছুটা চেষ্টা চালালেও লাভ হয়নি। নিশামের বলে তাদ বিদায়ের পর ২০ রান করা জেসন হোল্ডার ইশ সোধির শিকারে পরিণত হন আর ম্যাথু ফোর্ড রানের খাতা খোলার আগেই মিচেল স্যান্টনারের শিকার হলে ৯৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবিয়রা। শেষ ভরসা হিসেবে রোমারিও শেফার্ড ৩৬ রান করার পর দিনের সেরা বোলার ডাফির চতুর্থ শিকারে পরিণত হন। দলীয় ১৩৭ রানে শেফার্ড ফিরলে আর মাত্র ৩ রান যোগ হয় উইন্ডিজদের বোর্ডে। নিশাম জেইডেন সিলসকে ফিরিয়ে ১৪০ রানে অলআউট করেন সফরকারীদের। যা পরে খুবই সহজ লক্ষ্য হিসেবে ধরা দেয় স্বাগতিকদের সামনে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব ডাফি। জোড়া উইকেট পেয়েছেন জিমি নিশাম। সমান একটি করে শিকার জেমিসন, ব্রেসওয়েল, স্যান্টনার ও সোধির। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়ার পাশাপাশি ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও জ্যাকব ডাফি।