কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনসহ সাত জনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন (৩৩), সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহুল ইসলাম (২৫), ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সাইফ (৩১), মো. মোস্তাফিজুর রহমান জনি (৩৭), যুবলীগের সক্রিয়কর্মী মো. শেখ রাশেদুজ্জামান (৩৫), সেচ্ছাসেবক লীগকর্মী মো. মামুন শেখ পরশ (৩২)। ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরকে নজিরবিহীন উল্লেখ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি। তিনি বলেন, আদেশ দেওয়ার ইখতিয়ার অবশ্যই আদালতের আছে। তবে এটি নজিরবিহীন। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় অনেক শুনানি করে থাকি। তবে এমন নজিরবিহীন আদেশ খুবই কম দেখি। গত ৩১ অক্টোবর তাকে রাজধানীর বিজয়নগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে তিনি রাজধানীতে নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন বলে জানা গেছে। এদিন আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখিসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পল্টন থানার বিজয় নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় ৩১ অক্টোবর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল দিতে থাকেন। সে সময় তাদের আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। শুনানির সময়ে আসামি পক্ষে বাঁধনের আইনজীবী আদালতের কাছে এসব মামলার পেছনে টাকার লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। পরে দুপক্ষের আইনজীবীর মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়। মন্তব্য করা আইনজীবী আদালত ত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। যদিও এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মোহাম্মদ শামছুজ্জোহা সুমন বলেন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বাঁধনসহ যাদের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সক্রিয় কর্মী।