বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব খন্দকার খন্দকার এনায়েত উল্লাহর মালিকানাধীন এনা পরিবহনের সব বাস জব্দের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ)। সংগঠনটি বলছে, বিগত সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ সহায়তায় পরিবহন খাতে একচ্ছত্র রাজত্ব কায়েম করেন এনায়েত উল্লাহ। জুলাই আন্দোলনের সময়ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের অর্থায়ন করছে এনা পরিবহন। তাই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন নিসআ’র সাধারণ সম্পাদক তানজিদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা। তিনি বলেন, পতিত সরকারের সহায়তায় খন্দকার এনায়েত উল্যাহ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতির পদবি দখল করেন। সে সময়ই দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মামলায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। তবে শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে যায় তদন্ত কার্যক্রম। জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হলে পুনরায় এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। এরই মধ্যে এনায়েত উল্লাহ বিদেশে পালিয়ে যান এবং বিক্রি করতে থাকেন এনা পরিবহনের বাস। পরিবহন মালিক সমিতির ব্যানারে এনায়েত উল্লাহ সড়ক থেকে দিনে দেড় কোটি টাকার বেশি চাঁদা তুলতেন উল্লেখ করে নিসআ’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, পতিত স্বৈরাচারের সাহায্যে এনায়েত উল্লাহ প্রায় ১১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি গড়ে তুলেছিলেন। ২০২৫ সালের ৫ মে মাসে আদালত এনা পরিবহন ও স্টার লাইন পরিবহনের ১৯০টি বাস জব্দ করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে এই বাসগুলো বিআরটিসিকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আরও একটি নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রায় ছয় মাস পার হয়ে গেলেও আদালতের এই রায় কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি দুদকের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে তার মালিকানাধীন ১০০টির বেশি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। রাষ্ট্র আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে এই বাসগুলো জব্দ করে বিআরটিসিকে বুঝিয়ে না দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমরা পিছপা হবো না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) এর সভাপতি আব্দুল্লাহ মেহেদী ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম আল ইসলাম।