বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার ‘নিবিড় নিরীক্ষণ’ বা এসআইআর নিয়ে উত্তপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে কার্যত রাজপথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, মুসলিম ভোটারদের টার্গেট করেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের মধ্যে ‘ভুল ধারনা তৈরি’র অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
ভারতের নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের মোট ১২টি রাজ্যে শুরু করেছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন কার্যক্রম স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর। সরকারের এ কার্যক্রমের তীব্র প্রতিবাদ জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার রেড রোডে মমতার নেতৃত্বে শুরু হওয়া তৃণমূলের বিশাল মিছিল গিয়ে ঠেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভিটা জোড়াসাঁকো পর্যন্ত। শেষে এক সংক্ষিপ্ত সভায় মমতা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘ভারতের কোনো প্রকৃত নাগরিকের নাম যদি ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করব, এই মাটিতেই লড়াই চলবে।’ অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মমতা ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এই কর্মসূচি নির্বাচন কমিশনের নিয়মিত প্রক্রিয়া। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চাইছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় গোয়া, কেরালা, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগর, আন্দামান-নিকোবর, পদুচেরি ও গুজরাটেও একযোগে চলছে এই নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যারা ভোটার তালিকায় ছিলেন না, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত প্রমাণপত্র। যেমন বাবা-মায়ের জন্মতারিখ বা নাগরিকত্ব সম্পর্কিত নথি। এই প্রক্রিয়া চলবে ৪ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের দাবি, এই উদ্যোগ শুধুই ভোটার তালিকা পরিশুদ্ধ করার প্রয়াস। কিন্তু বিরোধীরা মনে করছে, এর আড়ালে রয়েছে এক রাজনৈতিক খেলা। ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে এই কর্মসূচিই এখন হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতির নতুন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের মোট ১২টি রাজ্যে শুরু করেছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন কার্যক্রম স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর। সরকারের এ কার্যক্রমের তীব্র প্রতিবাদ জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার রেড রোডে মমতার নেতৃত্বে শুরু হওয়া তৃণমূলের বিশাল মিছিল গিয়ে ঠেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভিটা জোড়াসাঁকো পর্যন্ত। শেষে এক সংক্ষিপ্ত সভায় মমতা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘ভারতের কোনো প্রকৃত নাগরিকের নাম যদি ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করব, এই মাটিতেই লড়াই চলবে।’ অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মমতা ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এই কর্মসূচি নির্বাচন কমিশনের নিয়মিত প্রক্রিয়া। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চাইছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় গোয়া, কেরালা, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগর, আন্দামান-নিকোবর, পদুচেরি ও গুজরাটেও একযোগে চলছে এই নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে যারা ভোটার তালিকায় ছিলেন না, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত প্রমাণপত্র। যেমন বাবা-মায়ের জন্মতারিখ বা নাগরিকত্ব সম্পর্কিত নথি। এই প্রক্রিয়া চলবে ৪ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের দাবি, এই উদ্যোগ শুধুই ভোটার তালিকা পরিশুদ্ধ করার প্রয়াস। কিন্তু বিরোধীরা মনে করছে, এর আড়ালে রয়েছে এক রাজনৈতিক খেলা। ভোটের ঠিক আগ মুহূর্তে এই কর্মসূচিই এখন হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতির নতুন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।