ঝরনা হোসেন একজন বিধবা নারী। রাজধানীর কদমতলী এলাকায় ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে ৪১ বছর ধরে বাস করে আসছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবে বসবাসের জন্য তার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য একটি ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। ওই ভবন নির্মাণ করা হয় সাত বছর আগে। সেখানে একটি কোচিং সেন্টারও রয়েছে। সম্প্রতি ঝরনা হোসেনের মামা শ্বশুর ও তার ছেলের লোকজন হঠাৎ করে তার জমিতে এক কাঠা জমি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া তার কাছে মোটা অংকের চাঁদাও দাবি করে ওই চক্রটি।
ঝরনা হোসেন জানান, গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী তাইজুল ইসলাম টিটু, মাহবুবুর রহমান রকি, রাইসুল ইসলাম রাজসহ আরো অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা দেশি বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ঝরনা হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও বাড়ি ভাঙচুর করে। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ওইদিন রাতে এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। পরে ঝরনা হোসেন বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলার আসামিরা মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে কোচিং সেন্টারটিও বন্ধের উপক্রম হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন নিরাপত্তাহীনতায়। বর্তমানে সেখানে পড়াশোনা করা অনেক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আগামী ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীর ফাইনাল পরীক্ষা। এ অবস্থায় ঝরনা বেগম তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি অবিলম্বে স্থানীয় এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।