 
            
                দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ইউনেসকোর সহায়তায় সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইউজিসি। ২২টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেবা দেওয়ার কাজ চলমান। পরবর্তীতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আরও ১০ লাখ শিক্ষার্থীকে এ সেবার আততাভুক্ত করা হবে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক চাহিদা নিরূপণে ‘সোশ্যাল ইমোশনাল লার্নিং ট্রেইনিং ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড ম্যানুয়াল রিভিউ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। ইউজিসি ও ইউনেসকো যৌথভাবে কমিশনের অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালা আয়োজন করেছে। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি ড্যাফোডিল ও সিটি ইউভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে শিক্ষক ও পিতা-মাতাকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। ইউজিসির ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম। অধ্যাপক আইয়ুব ইসলাম বলেন, এ কর্মশালার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষক এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য অনলাইন ও অফলাইন মাধ্যমে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম এবং সহায়ক উপাদানগুলি চিহ্নিত ও যাচাই করা সম্ভব হবে। কর্মশালায় আইইউবিএটির উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি রাজু দাসসহ ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা, কাউন্সিলর, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিক্ষার্থী এবং ইউজিসির কর্মকর্তারা অংশ নেন।