সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের পর টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর থেকে এখনো নতুন অধিনায়ক হিসেবে কারোর নাম ঘোষণা করেনি বিসিবি। বোর্ডের পক্ষ থেকে আবারও শান্তকেই টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বোর্ডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার। সূত্রের বরাত দিয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সাইট ক্রিকবাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নতুন অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিতে শান্তকেই প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি। বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, বোর্ড শান্তকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর টেস্টের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান শান্ত। এরপর বোর্ড তাকে অধিনায়ক হিসেবে ফেরানোর চেষ্টা চালালেও শান্ত জানিয়ে দেন, তিনি নেতৃত্বে ফিরতে আগ্রহী নন। এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিবি কর্মকর্তা জানান, ‘সে এই মুহুর্তে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নয় এবং আমাদেরকে সে ব্যাপারে জানিয়েছেন।’ ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে শেষে শান্তর সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শান্তর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু শান্ত নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজের পর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন শান্ত। এই সফরের আগেই ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারান শান্ত। সে সময় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে বাঁহাতি ব্যাটার বলেছিলেন, ‘আমার একটা ঘোষণা ছিল। আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি। আমি আর এই সংস্করণে নেতৃত্ব দেওয়া চালিয়ে যেতে চাই না।’ টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হলেও ওয়ানডে সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাকে লাল বলের দলের দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমনকি ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবেও আগামী বছরের জুনের পর মিরাজকে নাও দেখা যেতে পারে। মিরাজের নেতৃত্বে ১৩ ওয়ানডে খেলে মোটে ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, অধিনায়ক বানানোর ক্ষেত্রে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘তিন সংস্করণে তিনজন অধিনায়ক থাকা বাধ্যতামূলক নয়। একজনই সব সংস্করণে নেতৃত্ব দিতে পারে, দুই সংস্করণেও দিতে পারে, আবার একজন শুধু একটিতেও অধিনায়ক হিসেবে থাকতে পারে। বিষয়টা নির্ভর করে আলোচনার ওপর, দলের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো, সেটার ওপর।’ বিসিবি চাইলে এখনো তিন সংস্করণে তিনজন অধিনায়কের নীতি ধরে রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে টেস্ট দলের নেতৃত্বের জন্য বিকল্প হিসেবে তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হককে বিবেচনা করা হতে পারে। এর আগে তাইজুল প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, তিনি টেস্টে নেতৃত্ব দিতে চান। আর সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল ক্রিকবাজকে জানিয়েছেন, বোর্ড প্রস্তাব দিলে টেস্ট অধিনায়কত্ব পুনর্বিবেচনা করতে প্রস্তুত।