* ২০২৪ সালের শুরুতে পাসপোর্টের ওই সূচকে বাংলাদেশের ৯৭তম অবস্থান ছিল
* বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ৩৮টি দেশে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে
প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান। চলতি বছরের পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের নিচে মাত্র ৬টি দেশ রয়েছে। বিশ্বের ১০৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১০০তম। বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে নানা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত উত্তর কোরিয়ারয়েছে। অথচ বিগত ২০২৪ সালের শুরুতে পামপোর্টের ওই সূচকে বাংলাদেশের ৯৭তম অবস্থান ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ৩৮টি দেশে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে। অথচ এক বছর আগেও এই সংখ্যা ৪২টি ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্বে পাসপোর্টের মান দিন দিন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগও কমে আসছে। গত এক বছরে চার দেশ ওই সুবিধা বন্ধ করেছে। তাছাড়াও বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসা দিতে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়াচ্ছে। ফলে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হারবাড়ছে। আর এ ধারা অব্যাহত থাকলে কঠিন হয়ে পড়বে চাকরি, উচ্চশিক্ষা কিংবা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের বিদেশযাত্রা।
সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক-২০২৫ অনুযায়ী তালিকায় থাকা ১০৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। অথচ ওই হেনলি সূচকেই বিগত ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবস্থান ৬৮তম ছিল। বর্তমানে পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারও ৯৬তমঅবস্থান রয়েছে। আর ভুটানের অবস্থান ৯২তম। তাছাড়া ভারত ৮৫তম, শ্রীলঙ্কা ৯৮তম ও মালদ্বীপ ৯৮তম অবস্থানে। পাশাপাশি বাংলাদেশ এশিয়ার সমজাতীয় ও প্রতিযোগী অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায়ও পিছিয়ে। পাসপোর্ট সূচকে মালয়েশিয়া ১২তম, থাইল্যান্ড ৬৬তম, ইন্দোনেশিয়া ৭০তম, ফিলিপাইন ৭৯তম, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া ৯২তম অবস্থানে রয়েছে। কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশিদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয় ভিয়েতনাম। তার কারণ পর্যটক হিসেবে ঘুরতে গিয়ে আর দেশে ফিরে না আসা, কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে ভিন্ন গন্তব্যে পাড়ি জমানো এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছোটখাটো কাজে যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে অবস্থান করা। একই কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে। সমপ্রতি ওই তিন দেশে অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। দেড় বছর আগে বাংলাদেশিদের জন্য উজবেকিস্তানের ই-ভিসা সহজলভ্য ছিল। বর্তমানে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে উজবেকিস্তানের ভিসা পোর্টালে বাংলাদেশিদের আবেদন করারই সুযোগ নেই।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশীদের অনেকেই বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে নানা অনিয়ম ও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে বহির্বিশ্বে কমে আসছেবাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্যতা। এভাবে চলতে থাকলে আরো খারাপ হবে দেশের ভাবমূর্তি ও পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা। ফলে কঠিন হয়ে পড়বে চাকরি কিংবা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তরুণদের বিদেশযাত্রা। এমনকি উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের বিদেশযাত্রাও বন্ধ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সামাজিক ও নাগরিক মূল্যবোধ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মানলজ্জাকরপর্যায়ে নেমে এসেছে। পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কোনো দেশের আকার কিংবা অর্থনীতির বিচারে হয় না। বরং একটি দেশের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থার ভিত্তিতেতা নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশিরা বিদেশ যাওয়ার জন্য নানা জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে মিথ্যাচার হলে সে দেশের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না।
* বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ৩৮টি দেশে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে
প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান। চলতি বছরের পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের নিচে মাত্র ৬টি দেশ রয়েছে। বিশ্বের ১০৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১০০তম। বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে নানা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত উত্তর কোরিয়ারয়েছে। অথচ বিগত ২০২৪ সালের শুরুতে পামপোর্টের ওই সূচকে বাংলাদেশের ৯৭তম অবস্থান ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ৩৮টি দেশে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছে। অথচ এক বছর আগেও এই সংখ্যা ৪২টি ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্বে পাসপোর্টের মান দিন দিন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগও কমে আসছে। গত এক বছরে চার দেশ ওই সুবিধা বন্ধ করেছে। তাছাড়াও বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভিসা দিতে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়াচ্ছে। ফলে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হারবাড়ছে। আর এ ধারা অব্যাহত থাকলে কঠিন হয়ে পড়বে চাকরি, উচ্চশিক্ষা কিংবা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের বিদেশযাত্রা।
সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক-২০২৫ অনুযায়ী তালিকায় থাকা ১০৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। অথচ ওই হেনলি সূচকেই বিগত ২০০৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবস্থান ৬৮তম ছিল। বর্তমানে পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারও ৯৬তমঅবস্থান রয়েছে। আর ভুটানের অবস্থান ৯২তম। তাছাড়া ভারত ৮৫তম, শ্রীলঙ্কা ৯৮তম ও মালদ্বীপ ৯৮তম অবস্থানে। পাশাপাশি বাংলাদেশ এশিয়ার সমজাতীয় ও প্রতিযোগী অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায়ও পিছিয়ে। পাসপোর্ট সূচকে মালয়েশিয়া ১২তম, থাইল্যান্ড ৬৬তম, ইন্দোনেশিয়া ৭০তম, ফিলিপাইন ৭৯তম, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া ৯২তম অবস্থানে রয়েছে। কয়েক বছর আগেও ভিয়েতনাম কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় যেতে বাংলাদেশিদের কোনো ভিসার প্রয়োজন হতো না। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু বন্ধ করে দেয় ভিয়েতনাম। তার কারণ পর্যটক হিসেবে ঘুরতে গিয়ে আর দেশে ফিরে না আসা, কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে ভিন্ন গন্তব্যে পাড়ি জমানো এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছোটখাটো কাজে যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে অবস্থান করা। একই কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা অনুমোদনে নানা শর্ত ও জটিলতা বাড়িয়েছে। সমপ্রতি ওই তিন দেশে অনেক ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। দেড় বছর আগে বাংলাদেশিদের জন্য উজবেকিস্তানের ই-ভিসা সহজলভ্য ছিল। বর্তমানে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে উজবেকিস্তানের ভিসা পোর্টালে বাংলাদেশিদের আবেদন করারই সুযোগ নেই।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশীদের অনেকেই বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে নানা অনিয়ম ও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে বহির্বিশ্বে কমে আসছেবাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্যতা। এভাবে চলতে থাকলে আরো খারাপ হবে দেশের ভাবমূর্তি ও পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা। ফলে কঠিন হয়ে পড়বে চাকরি কিংবা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তরুণদের বিদেশযাত্রা। এমনকি উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের বিদেশযাত্রাও বন্ধ হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সামাজিক ও নাগরিক মূল্যবোধ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মানলজ্জাকরপর্যায়ে নেমে এসেছে। পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা কোনো দেশের আকার কিংবা অর্থনীতির বিচারে হয় না। বরং একটি দেশের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থার ভিত্তিতেতা নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশিরা বিদেশ যাওয়ার জন্য নানা জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে মিথ্যাচার হলে সে দেশের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না।