অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৮ কারখানা খুলছে

আপলোড সময় : ২৩-১০-২০২৫ ০৭:১৮:২৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-১০-২০২৫ ০৭:১৮:২৩ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া প্যাসিফিক গ্রুপের আটটি কারখানা পুনরায় খুলে দেওয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে। এ ৮টি কারখানায় প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গত মঙ্গলবার রাতে প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক নোটিশে ৮টি কারখানা খুলে দেওয়ার তথ্য জানানো হয়। প্যাসিফিক গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার সুহৃদ চৌধুরী জানান, শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। এখন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, কাজের পরিবেশ ফিরেছে। তাই কারখানা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক পক্ষ। প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে ১৬ অক্টোবর থেকে কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ২৩ অক্টোবর থেকে কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোটিশে আরও বলা হয়, সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিককে নির্ধারিত তারিখ এবং সময়ে নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত থেকে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে উৎপাদন কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কারখানাগুলো হলো- প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভার্সেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স ২০০০। এর আগে ১৬ অক্টোবর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে প্যাসিফিক গ্রুপের আটটি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার ১৮ অক্টোবর থেকে কারখানা বন্ধের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। কারখানা বন্ধের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর থেকে কিছু শ্রমিক বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করেন। বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরও তারা কাজে ফেরেননি। বরং ১৫ ও ১৬ অক্টোবরও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে এবং নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালান। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শ্রমিকদের এ ধরনের আচরণ ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯’ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। এ অবস্থায় কারখানার কার্যক্রম চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর প্যাসিফিক গ্রুপের শ্রমিকরা পুলিশের হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ করেন। এরপর ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয় আবার বিক্ষোভ। ১৫ অক্টোবর ইপিজেডের বিভিন্ন সেক্টরে প্যাসিফিক গ্রুপের কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এ সময় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২২ দফা দাবিতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়াল লিমিটেডের শ্রমিকরা আন্দোলনে নামলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তখন দুটি ইউনিট বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। পরে শ্রমিকরা মুচলেকা দিয়ে কাজে যোগ দেন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আমরা কারখানা খুলে দেওয়া সংক্রান্ত চিঠি হাতে পেয়েছি। বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ এসব কারখানায় উৎপাদন শুরু হচ্ছে। কারখানার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা গতকাল বুধবার সকালে বেপজা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net