প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার

বিজয় নিয়ে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

আপলোড সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন
* নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন শিক্ষকরা : আশা প্রধান উপদেষ্টার * আমাদের বড় বিজয় হয়েছে, শ্রেণিকক্ষে ফিরছি : আজিজী * আমরণ অনশনে ৬ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা করার দাবিতে টানা আটদিন আন্দোলনের পর বিজয় অর্জন করে বাড়ি ফিরছেন শিক্ষকরা। এই দাবি আদায় করতে গিয়ে আমরণ অনশন করে ৬ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবিকে যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে শিক্ষকরা বলছেন, আমাদের আন্দোলন বিফলে যায়নি, বড় বিজয় হয়েছে। আমরা দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরছি এবং প্রয়োজনে শুক্র-শনিবার আমরা ক্লাস নেবো। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ায় সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন জামায়াত ইসলাম। এর আগে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং উৎসবভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। সেদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলেও দুপুরে পুলিশের অনুরোধে তারা শহীদ মিনারে যান। পরে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিপেটায় একপর্যায়ে শিক্ষকরা সরে যান। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অক্টোবর থেকে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি চলছিল। শিক্ষক-কর্মচারীরা এরপর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ ও শাহবাগ অবরোধসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেছেন। অবশেষে টানা ৯ দিন পর বাড়িভাড়া দুই ধাপে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আমরণ অনশনে ৬ শিক্ষক অসুস্থ : ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে অনশন করছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। অনশনে এরইমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজীসহ অনশনরত ৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আদনান হাবিবুর রহমান। প্রধান উপদেষ্টা যা বললেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের : আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন শিক্ষকরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে। তবে বাস্তবতা হলো, ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গতিশীল হলেও এখনই মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির মতো সামর্থ্যে অর্থনীতিতে ফেরেনি। তাই সরকারকে বাস্তবতার নিরিখে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে, আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাড়িভাড়া আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আন্দোলনরত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অবদান রাখবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন বাড়িভাড়া যেসব শর্তে কার্যকর হবে : টানা আন্দোলনের মুখে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া (দু’দফায় বাড়বে) ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। এদিন সচিবালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া প্রথমধাপে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৭.৫ শতাংশ এবং ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে আরও ৭.৫ শতাংশ মিলে মোট ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। সভা শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চলতি নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৭.৫% বাড়িভাড়া (ন্যূনতম ২০০০ টাকা) এবং ২০২৬ এর জুলাই থেকে ৭.৫% মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া কার্যকর হবে। শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী ১৫ শতাংশ হারে এই ভাতা নিশ্চিত করতে পেরে একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে কছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষকরা আরও অধিক সম্মানের দাবিদার এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রের সচেষ্ট থাকা দরকার। অর্থ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) এবং ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে ওই ৭.৫ শতাংশের অতিরিক্ত আরও ৭.৫ শতাংশ অর্থাৎ মূল বেতনের সর্বমোট ১৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হলো। ১. পরবর্তী বেতনস্কেলে বর্ণিত অতিরিক্ত সুবিধাটি সমন্বয় করতে হবে। ২. এমপিওভুক্ত ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১’, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)’ এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন/আদেশ/পরিপত্র/নীতিমালা অনুসরণপূর্বক নিয়োগের শর্তাদি পালন করতে হবে। ৩. বর্ণিত বাড়ি ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক/কর্মচারীরা কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না। ৪. ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সব আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে। ৫. এ ভাতা সংক্রান্ত ব্যয়ে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ ওই অনিয়মের জন্য দায়ী থাকবেন। ৬. প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জিও জারি করে জিও-এর চার কপি অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাংকনের জন্য পাঠাতে হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেছেন, আমাদের বড় দাবি পূরণ হয়েছে। এটা আমাদের বড় বিজয়। আন্দোলন করে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি ফিরছি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরছি। গতকাল মঙ্গলবার দুুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিনি এ কথা বলেন। দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, গত ৮ দিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল। বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখবো। যে আট দিন শ্রেণিকক্ষে যেতে পারিনি, সেই আট দিন পুষিয়ে দেব। তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করেছি সরকার তো শুধু আমাদের নিয়ে না, শিক্ষকদের মধ্যে আরো গ্রুপ আছে, স্বতন্ত্র আছে, নন-এমপিও আছে, সরকারিদের আছে, বিশ্ববিদ্যালয় আছে, অনেকেরই দাবি আছে। আবার সরকারের বাইরে আরো অনেক পেশাজীবী আছে, সবার বিষয়টা দেখতে হয়। সেই জায়গা থেকে ওনারা আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন আপনারা যদি এগিয়ে আসেন আমরা বসে সমাধান করতে চাই। আমরা কিছু ছাড় দিয়েছি ওনারা কিছু ছাড় দিয়েছেন। আমাদের বড় যে দাবিটা, আলহামদুলিল্লাহ এটা প্রায় পূরণ হয়ে গেছে। আমাদের বাড়িভাড়া এটা ১৫ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন করে আমার হাতে নিয়ে এসেছি। সরকারকে মেডিকেল ভাতার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে জানিয়ে দেলোয়ার হোসাইন আজিজী বলেন, এটা আমাদের একটা বড় বিজয় আমি মনে করি। আমরা আন্দোলন করে সফল হয়ে প্রজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে এবং প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। আমরা এখন থেকে আমাদের আজকে আমাদের সব আন্দোলন কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করছি। এসময় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সরকারকে ধন্যবাদ জামায়াতের : বিলম্বে হলেও বাড়ি ভাড়াসহ শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। জামায়াত আমির বলেন, বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এমপিওভুক্ত সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর যৌক্তিক আন্দোলনের দাবিটি অবশেষে সরকার মেনে নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী যথেষ্ট কষ্ট ভোগ করেছেন। বছরের শেষ প্রান্তে এসে শিশু-কিশোর ও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখারও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও লেখেন, এই বিবেচনাটি আগে করলে শিক্ষকমণ্ডলীর কষ্ট এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি উভয়ই এড়ানো যেত। সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা। বিলম্বিত হলেও সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net