১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই ভবন নির্মাণ

আপলোড সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:৩১:৩৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:৩১:৩৭ অপরাহ্ন
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) থেকে মো. আ. জব্বার ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ১৩নং ভবানীপুর ইউনিয়নের জয়পুর বাজারে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে ভবন নির্মাণ কাজ। এতে করে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবে বিষয়টি নিয়ে মাথা ব্যথা নেই ভবন মালিকের। ঝুঁকির বিষয়টি জেনেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্মাণ শ্রমিকরাও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ভবনটিতে। ভবনটির মালিক জয়পুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেন জয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ১শতাংশ জমি ক্রয় করে ঐ জমির উপর নির্মাণ করছে বহুতল ভবন। নির্মাণাধীন ভবনের খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুত স্টেশনটিতে ১১ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন এসছে আছিম বাজার সাবস্টেশন থেকে। ৭/৮ মাস আগে জাকিরের পিতা লাল মিয়া ঐ জমিতে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। ভবনের ভিতরেই রাখা হয় পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইনসহ বিদ্যুতের খুঁটি। এই খুঁটির উপরের অংশে বিদ্যুতের মেইন লাইন । বিদ্যুতের খুঁটি ভেতরে রেখেই নিচ তলার ছাদ ঢালাই করা হয়। এরপরও ঘর মালিক ও নির্মাণ শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন দুই তলার কাজ। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। যদি তার ছিঁড়ে পড়ে যায় তা হলে আর রক্ষা নেই। শুধু ঘর মালিকের নয়, ক্ষতি হবে অনেকেরই এমনকি বিদ্যুৎতারিত হয়ে মানুষও মারা যেতে পারে। এসবের ঝুঁকি নিয়ে ভবণ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন ঘর মালিক। স্থানীয়রা আরও জানান, ভবন নির্মাণ জাকির ও লাল মিয়াকে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব রেখে ভবন নির্মাণের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। ঘর মালিক লাল মিয়া কারো পরামর্শই শুনেন নি। ভবন মালিক লাল মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ অফিস থেকেও নিষেধ করেনি আমিও খুঁটি সরানোর প্রয়োজন মনে করিনি। তবে ভবিষ্যতে খুঁটি সরানো আবেদন করা হবে। ভবন তৈরির সময় বিদ্যুৎ বিভাগকে খুঁটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছিলেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে লাল মিয়া জানান, বিদ্যুৎ অফিসে কোন কাজের জন্য গেলে শুধু ঘুরতে হয় এবং অনেক টাকাও লাগতে পারে ভেবে বিদ্যুৎ বিভাগকে কিছু জানানো হয়নি। আছিম সব-জোনাল অফিসের এজিএম শাকিল ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং খুঁটি না সরিয়ে কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভবন মালিকের নামে দ্রুত পত্র প্রেরণ করা হবে। ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় ফুলবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম নিশীথ কুমার কর্মকার বলেন, খুঁটি না সরিয়ে বা বিদ্যুৎ বিভাগকে না জানিয়ে ভবন নির্মাণ করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি আমরাও এখন জানলাম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net