
চিলমারী প্রতিনিধি
স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ এলাকার জন সাধারণ। বিশেষ করে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় তাদেরকে নৌকা যোগে পারাপার করতে হয়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী হাসপাতালে ডাক্তার না পেয়ে আবারো নদ পেরীয়ে চরের বাড়িতে যেতে হয়। চরের লোকজনের উপজেলা সদরে আসা যাওয়ায় অনেক সময় অপচয় হয়। চরাঞ্চলের বাসিন্দাসহ গোটা উপজেলার লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২জন মেডিকেল অফিসার, ৫জন কনসালটেন্ট ও ৫জন সার্জন থাকার কথা।
কিন্তু সেখানে কনসালটেন্টসহ সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে। ৩২জন ডাক্তারের পদের মধ্যে মাত্র ৪জন ডাক্তার রয়েছে। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ আছে। অফিস স্টাফেরও অনেক পদ শূন্য। এ এলাকায় কুকুর এর উৎপাত বেশি। কুকুর কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন না থাকায় দেয়া সম্ভব হচেছ না। ফলে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ভরসা স্থল চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। বহি:বিভাগে প্রতিদিন ৩শতাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। থানাহাট ইউনিয়নের রাজারভিটা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল কাদের বলেন হাসপাতালে এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার সূযোগ থাকলেও ডাক্তার না থাকায় রোগীদের যেতে অন্য স্থানে। নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরাদিয়াখাতা এলাকা থেকে রোগীর সঙ্গে আসা মোখলেছ বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে রোগী ভর্তি করেছি। কিন্তু সকাল পর্যন্ত ডাক্তারের দেখা মেলেনি। শুনেছি ডাক্তার আছেন ৪ জন।
এর মধ্যে কোন কোন ডাক্তার হাসপাতালে না এসে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে টাকার বিনিময়ে রোগী দেখেন। তাই অল্প সংখ্যক ডাক্তার সকলকে চিকিৎসা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। এখানে কোন নারী ডাক্তার নেই। সব সমস্যা পুরুষ ডাক্তারের কাছে বলা সম্ভব হয় না। অষ্টমীরচর ইউনিয়নের নটারকান্দি এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আয়নাল হক বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ পারি দিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। ডাক্তার না পেয়ে আবারো নদ পারি দিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে করে পুরোদিন চলে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, ডাক্তার সংকট হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে।
স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ এলাকার জন সাধারণ। বিশেষ করে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় তাদেরকে নৌকা যোগে পারাপার করতে হয়। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী হাসপাতালে ডাক্তার না পেয়ে আবারো নদ পেরীয়ে চরের বাড়িতে যেতে হয়। চরের লোকজনের উপজেলা সদরে আসা যাওয়ায় অনেক সময় অপচয় হয়। চরাঞ্চলের বাসিন্দাসহ গোটা উপজেলার লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২জন মেডিকেল অফিসার, ৫জন কনসালটেন্ট ও ৫জন সার্জন থাকার কথা।
কিন্তু সেখানে কনসালটেন্টসহ সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে। ৩২জন ডাক্তারের পদের মধ্যে মাত্র ৪জন ডাক্তার রয়েছে। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ আছে। অফিস স্টাফেরও অনেক পদ শূন্য। এ এলাকায় কুকুর এর উৎপাত বেশি। কুকুর কামড়ানো রোগীর ভ্যাকসিন না থাকায় দেয়া সম্ভব হচেছ না। ফলে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ভরসা স্থল চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। বহি:বিভাগে প্রতিদিন ৩শতাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। থানাহাট ইউনিয়নের রাজারভিটা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল কাদের বলেন হাসপাতালে এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষার সূযোগ থাকলেও ডাক্তার না থাকায় রোগীদের যেতে অন্য স্থানে। নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরাদিয়াখাতা এলাকা থেকে রোগীর সঙ্গে আসা মোখলেছ বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে রোগী ভর্তি করেছি। কিন্তু সকাল পর্যন্ত ডাক্তারের দেখা মেলেনি। শুনেছি ডাক্তার আছেন ৪ জন।
এর মধ্যে কোন কোন ডাক্তার হাসপাতালে না এসে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে টাকার বিনিময়ে রোগী দেখেন। তাই অল্প সংখ্যক ডাক্তার সকলকে চিকিৎসা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। এখানে কোন নারী ডাক্তার নেই। সব সমস্যা পুরুষ ডাক্তারের কাছে বলা সম্ভব হয় না। অষ্টমীরচর ইউনিয়নের নটারকান্দি এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আয়নাল হক বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ পারি দিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। ডাক্তার না পেয়ে আবারো নদ পারি দিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে করে পুরোদিন চলে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, ডাক্তার সংকট হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হয়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে।