পঞ্চগড় প্রতিনিধি
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির দুই বছর পর পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আওলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীতে শুরু হয়েছে নান্দনিক ডিজাইনের ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজ। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাজ শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। তবে সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি সবার। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বোদা উপজেলার আউলিয়া ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ৭২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতু নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা। মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর অবশেষে ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজও চলছে তড়িৎগতিতে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ হলে যেমনি পরিবর্তন হবে মানুষের ভাগ্য। তেমনি কৃষি, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত স্বপ্ন পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বড়শশী ও কালিয়াগঞ্জ দুটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। জানা গেছে, দুই ইউনিয়নসহ নিয়মিত যাতায়াত করা মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ঘাটে সেতু নির্মাণের। গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সেলো ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকায় ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী চড়ে নদী পার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে নারী-শিশুসহ ৭২ জন প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি দুই বছরের মাথায় গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে নদীর ওপর দৃশ্যমান হয় সেতু নির্মাণ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুকনা ও বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়ে এ ঘাট ব্যবহার করা স্থানীয় মানুষসহ যাত্রীরা। দীর্ঘদিনের দাবির মধ্যেও যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষাসহ সব সেবা থেকে পিছিয়ে পড়ে এলাকার মানুষজন। এর মধ্যে ছোট দুর্ঘটনা ঘটলেও পঞ্চগড়ের ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে যায় এই নৌকা ডুবিতে ৭২ জনের মৃত্যুর ঘটনাটি। কথা হয় স্থানীয় জব্বার মিঞা ও আমিরুল ইসলামের সঙ্গে। তারা বলেন, নদীও ওপারে বাড়ি হওয়ায় এই ঘাট দিয়ে নিয়মিত পারাপার হতে হয় আমাদের। দুই মৌসুমেই (শুকনো ও বর্ষা) যাতায়াতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সব শেষে বেশি বিপাকে পড়তে হয় বর্ষার সময়। কারণে এ সময় নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সবাইকে নৌকায় নদী পার হতে হয়। আনিছুর রহমান নামে ঘাটের এক যাত্রী বলেন, এই ঘাটটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘাট দিয়ে পারাপার হতে না পারলে আমাদের প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বোদা বাজারসহ পঞ্চগড়ে যেতে হয়। একই সঙ্গে আমাদের এলাকার প্রসূতি নারীসহ এলাকাবাসী দুর্ঘটনার শিকার হলে চরম বিপাকে পড়েন। এই সেতুর কাজ দ্রুত শেষ হলে সব ক্ষেত্রে আমাদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। স্থানীয়রা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই দুই গ্রামের মানুষ সেতুর দাবি তুলে আসছে। এর মধ্যে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সময় মত এই সেতু নির্মাণ করা হতো তাহলে নিরীহ মানুষজনের মৃত্যু হতো না। স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল হক বলেন, মাড়েয়া ঘাট অনেক পুরাতন ঘাট। এই ঘাটে ৭২ জনের মৃত্যুর আগ থেকে আমরা আন্দোলন করে এসেছি সেতুর জন্য। তবে অনেক পরে এর কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু সেতু তৈরি হচ্ছে, আমরা এলাকাবাসী চাচ্ছি দ্রুত সেতুর কাজ যেন সমাপ্ত করা হয়। এতে সব ধরনের মানুষের যাতায়াত সুবিধা হবে। পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান বলেন, সেতুটি দ্রুত নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী দুবছরের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ‘ওয়াই’ আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর মাঝ পথ থেকে দুই অংশে বিভক্ত হয়েছে। এক অংশ ৫৪৫ মিটার, আরেক অংশ হবে ৩৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি কাজের অগ্রগতি দেখতে ঘাট পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করে তিনি বলেন, এ ঘাটে যে ঘটনাটি ঘটেছে দুই বছর আগে সেটি অনাকাক্সিক্ষত। এই সেতু হওয়ার পর এ এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা অনেকটাই পরিবর্তন হবে।
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির দুই বছর পর পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আওলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীতে শুরু হয়েছে নান্দনিক ডিজাইনের ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজ। নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাজ শুরু হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। তবে সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি সবার। এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বোদা উপজেলার আউলিয়া ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ৭২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতু নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা। মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর অবশেষে ওয়াই আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজও চলছে তড়িৎগতিতে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ হলে যেমনি পরিবর্তন হবে মানুষের ভাগ্য। তেমনি কৃষি, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত স্বপ্ন পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বড়শশী ও কালিয়াগঞ্জ দুটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। জানা গেছে, দুই ইউনিয়নসহ নিয়মিত যাতায়াত করা মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ঘাটে সেতু নির্মাণের। গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সেলো ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকায় ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী চড়ে নদী পার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে নারী-শিশুসহ ৭২ জন প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি দুই বছরের মাথায় গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে নদীর ওপর দৃশ্যমান হয় সেতু নির্মাণ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুকনা ও বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগে পড়ে এ ঘাট ব্যবহার করা স্থানীয় মানুষসহ যাত্রীরা। দীর্ঘদিনের দাবির মধ্যেও যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষাসহ সব সেবা থেকে পিছিয়ে পড়ে এলাকার মানুষজন। এর মধ্যে ছোট দুর্ঘটনা ঘটলেও পঞ্চগড়ের ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে যায় এই নৌকা ডুবিতে ৭২ জনের মৃত্যুর ঘটনাটি। কথা হয় স্থানীয় জব্বার মিঞা ও আমিরুল ইসলামের সঙ্গে। তারা বলেন, নদীও ওপারে বাড়ি হওয়ায় এই ঘাট দিয়ে নিয়মিত পারাপার হতে হয় আমাদের। দুই মৌসুমেই (শুকনো ও বর্ষা) যাতায়াতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সব শেষে বেশি বিপাকে পড়তে হয় বর্ষার সময়। কারণে এ সময় নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সবাইকে নৌকায় নদী পার হতে হয়। আনিছুর রহমান নামে ঘাটের এক যাত্রী বলেন, এই ঘাটটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘাট দিয়ে পারাপার হতে না পারলে আমাদের প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে বোদা বাজারসহ পঞ্চগড়ে যেতে হয়। একই সঙ্গে আমাদের এলাকার প্রসূতি নারীসহ এলাকাবাসী দুর্ঘটনার শিকার হলে চরম বিপাকে পড়েন। এই সেতুর কাজ দ্রুত শেষ হলে সব ক্ষেত্রে আমাদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। স্থানীয়রা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই দুই গ্রামের মানুষ সেতুর দাবি তুলে আসছে। এর মধ্যে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সময় মত এই সেতু নির্মাণ করা হতো তাহলে নিরীহ মানুষজনের মৃত্যু হতো না। স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল হক বলেন, মাড়েয়া ঘাট অনেক পুরাতন ঘাট। এই ঘাটে ৭২ জনের মৃত্যুর আগ থেকে আমরা আন্দোলন করে এসেছি সেতুর জন্য। তবে অনেক পরে এর কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু সেতু তৈরি হচ্ছে, আমরা এলাকাবাসী চাচ্ছি দ্রুত সেতুর কাজ যেন সমাপ্ত করা হয়। এতে সব ধরনের মানুষের যাতায়াত সুবিধা হবে। পঞ্চগড় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান বলেন, সেতুটি দ্রুত নির্মাণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী দুবছরের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ‘ওয়াই’ আকৃতির সেতু নির্মাণের কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর মাঝ পথ থেকে দুই অংশে বিভক্ত হয়েছে। এক অংশ ৫৪৫ মিটার, আরেক অংশ হবে ৩৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি কাজের অগ্রগতি দেখতে ঘাট পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করে তিনি বলেন, এ ঘাটে যে ঘটনাটি ঘটেছে দুই বছর আগে সেটি অনাকাক্সিক্ষত। এই সেতু হওয়ার পর এ এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা অনেকটাই পরিবর্তন হবে।