
রাজনীতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ কিংবা কারণে-অকারণে তীব্র যানজট লেগে থাকে রাজধানী ঢাকায়। সঙ্গে রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতেও ছুটির দিনে ভয়াবহ যানজট লক্ষ্য করা গেছে। তবে ছুটির দিনে অনেকটাই ফাঁকা শহরের প্রত্যাশা থাকে নগরবাসির। তবে সেই প্রত্যাশাও গুড়েবালি। তার উপর ভর করেছে আশ্বিনের টানা বৃষ্টি। এতে গোটা নগড়জুড়ে ভোগান্তি-দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারিরা।
গতকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। এতে আশপাশের রাস্তাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। একইদিন রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)-এর নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, দাবি আদায়ের লক্ষে ছুটির দিনে জাতীয় প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলোচনা সভা ও সমাবেশে কারণে-অকারণে যানজট লেগেই থাকে। এর মধ্যে যদি বড় কোনো জমায়েত হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঢাকাজুড়ে যানজট বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের। রাজধানীতে শুক্রবার ছুটির দিনও দেখা গেল এমন যানজট। এতে রাজধানীর মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট, মানিক মিয়া এভিনিউসহ আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। যানজটে আটকা পড়া যাত্রাবাড়ীর যাত্রী ফয়সাল হোসেন বলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে বাংলামোটর মোড়ে বসে আছি। ছুটির দিন আত্মীয় বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি। কিন্তু এসে মনে হয় আজ পরিবার নিয়ে বাইরে বের হয়ে ভুল করেছি। শাহবাগ থেকে ফার্মগেট যাওয়া কলেজছাত্র শফিক বলেন, বন্ধুর সাথে দেখা করতে ফার্মগেট যাব ভাবছিলাম। কিন্তু শাহবাগ এসে দেখি রাস্তা বন্ধ। এত দূর কিভাবে হেঁটে যাব। ছুটির দিন আরামে যাব ভাবছিলাম। এসে দেখি অবস্থা খারাপ।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অংশে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, একাধিক যানবাহন বিকল হওয়া এবং সড়কে খানাখন্দের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে দুই মহাসড়কে যানজট শুরু হয়। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করলেও দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও অংশে ছোট-বড় মিলিয়ে তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে সেখানে যানজট শুরু হয়। অন্যদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাবোসহ কয়েকটি অংশে খানাখন্দ থাকায় যানবাহন ধীরে চলতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এক যাত্রী, আদনান আহমেদ তুষার, জানান, মেঘনায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কাঁচপুর থেকে গাড়িতে উঠি। মদনপুর এলাকায় এসে যানজটে আটকে পড়েছি। প্রতি কয়েক মিনিট পরপর অল্প সময়ের জন্য গাড়ি চলে, আবার থেমে যায়। আরেক যাত্রী, চাকরিজীবী আসাদুল ইসলাম বলেন, সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া থেকে কাজের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি। টিপরদী এসে প্রচণ্ড যানজটে আটকে পড়েছি। এখনো ১ কিলোমিটারও পার হতে পারিনি। উভয় লেনে তীব্র যানজট রয়েছে। শুনেছি কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। চালকরা এসব খানাখন্দ এড়িয়ে চলতে গিয়ে লেন পরিবর্তন করেন, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তবে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি ১৪ চাকার ট্রাক, একটি মিনি পিকআপসহ মোট তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। বিকল গাড়িগুলো সরানোর কাজ চলছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে গাড়ি চলাচল করছে, তবে ধীরগতিতে।
আশ্বিনের বৃষ্টিতে রাজধানীতে ভোগান্তি : আশ্বিনের শেষদিকের বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গতকাল শুক্রবার দিনভর ঢাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি দেখে অনেকে ছাতা মাথায় বের হয়েছেন, অনেকে আবার ছাতা ছাড়াই পথে নেমেছেন। গণপরিবহনে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা ও সিএনজি চালকেরা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ভাড়া দাবি করছেন, এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। হাবিবুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, সকালে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই কারওয়ান বাজার গিয়েছিলাম। সপ্তাহের ছুটির দিনে রাজধানীতে আমার মতো কাজে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা আজ অনেক বেশি। কেউ ছাতা নিয়ে কেউবা বৃষ্টিতে ভিজে চলাফেরা করছেন। ঝড়-বৃষ্টিতে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে গণপরিবহনে প্রচণ্ড ভিড়। ইচ্ছে করলেও বাসে ওঠা যাচ্ছে না। রিকসা-সিএনজি চালকেরাও সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। শত শত মানুষ ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন, গণপরিবহণও পাচ্ছেন না, হেঁটেও যেতে পারছেন না।
তীব্র বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা : মৌসুমি বায়ু বিদায়ের আগে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের বেশকিছু জায়গায় তীব্র বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। শুক্রবার বিডব্লিউওটি এ তথ্য জানায়। সংস্থাটি জানায়, বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য স্থানগুলোসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বিডব্লিউওটি আরও জানায়, ১২ অক্টোবর থেকে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি কমে যাবে। শুধু দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল এবং এর সঙ্গে সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জেলায় ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। এতে আশপাশের রাস্তাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। একইদিন রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব)-এর নবগঠিত কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, দাবি আদায়ের লক্ষে ছুটির দিনে জাতীয় প্রেসক্লাব, নয়াপল্টন ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলোচনা সভা ও সমাবেশে কারণে-অকারণে যানজট লেগেই থাকে। এর মধ্যে যদি বড় কোনো জমায়েত হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঢাকাজুড়ে যানজট বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয় ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের। রাজধানীতে শুক্রবার ছুটির দিনও দেখা গেল এমন যানজট। এতে রাজধানীর মৎস্য ভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট, মানিক মিয়া এভিনিউসহ আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। যানজটে আটকা পড়া যাত্রাবাড়ীর যাত্রী ফয়সাল হোসেন বলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে বাংলামোটর মোড়ে বসে আছি। ছুটির দিন আত্মীয় বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি। কিন্তু এসে মনে হয় আজ পরিবার নিয়ে বাইরে বের হয়ে ভুল করেছি। শাহবাগ থেকে ফার্মগেট যাওয়া কলেজছাত্র শফিক বলেন, বন্ধুর সাথে দেখা করতে ফার্মগেট যাব ভাবছিলাম। কিন্তু শাহবাগ এসে দেখি রাস্তা বন্ধ। এত দূর কিভাবে হেঁটে যাব। ছুটির দিন আরামে যাব ভাবছিলাম। এসে দেখি অবস্থা খারাপ।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অংশে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, একাধিক যানবাহন বিকল হওয়া এবং সড়কে খানাখন্দের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে দুই মহাসড়কে যানজট শুরু হয়। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করলেও দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও অংশে ছোট-বড় মিলিয়ে তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে সেখানে যানজট শুরু হয়। অন্যদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাবোসহ কয়েকটি অংশে খানাখন্দ থাকায় যানবাহন ধীরে চলতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এক যাত্রী, আদনান আহমেদ তুষার, জানান, মেঘনায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কাঁচপুর থেকে গাড়িতে উঠি। মদনপুর এলাকায় এসে যানজটে আটকে পড়েছি। প্রতি কয়েক মিনিট পরপর অল্প সময়ের জন্য গাড়ি চলে, আবার থেমে যায়। আরেক যাত্রী, চাকরিজীবী আসাদুল ইসলাম বলেন, সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া থেকে কাজের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি। টিপরদী এসে প্রচণ্ড যানজটে আটকে পড়েছি। এখনো ১ কিলোমিটারও পার হতে পারিনি। উভয় লেনে তীব্র যানজট রয়েছে। শুনেছি কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে গেছে। এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। চালকরা এসব খানাখন্দ এড়িয়ে চলতে গিয়ে লেন পরিবর্তন করেন, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তবে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি ১৪ চাকার ট্রাক, একটি মিনি পিকআপসহ মোট তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। বিকল গাড়িগুলো সরানোর কাজ চলছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে গাড়ি চলাচল করছে, তবে ধীরগতিতে।
আশ্বিনের বৃষ্টিতে রাজধানীতে ভোগান্তি : আশ্বিনের শেষদিকের বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গতকাল শুক্রবার দিনভর ঢাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি দেখে অনেকে ছাতা মাথায় বের হয়েছেন, অনেকে আবার ছাতা ছাড়াই পথে নেমেছেন। গণপরিবহনে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা ও সিএনজি চালকেরা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ভাড়া দাবি করছেন, এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। হাবিবুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, সকালে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই কারওয়ান বাজার গিয়েছিলাম। সপ্তাহের ছুটির দিনে রাজধানীতে আমার মতো কাজে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা আজ অনেক বেশি। কেউ ছাতা নিয়ে কেউবা বৃষ্টিতে ভিজে চলাফেরা করছেন। ঝড়-বৃষ্টিতে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে গণপরিবহনে প্রচণ্ড ভিড়। ইচ্ছে করলেও বাসে ওঠা যাচ্ছে না। রিকসা-সিএনজি চালকেরাও সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। শত শত মানুষ ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন, গণপরিবহণও পাচ্ছেন না, হেঁটেও যেতে পারছেন না।
তীব্র বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা : মৌসুমি বায়ু বিদায়ের আগে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের বেশকিছু জায়গায় তীব্র বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। শুক্রবার বিডব্লিউওটি এ তথ্য জানায়। সংস্থাটি জানায়, বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা, যশোর, খুলনা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য স্থানগুলোসহ রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বিডব্লিউওটি আরও জানায়, ১২ অক্টোবর থেকে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি কমে যাবে। শুধু দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল এবং এর সঙ্গে সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জেলায় ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বৃষ্টি হতে পারে।