সংসদে উচ্চকক্ষের প্রস্তাব বাদ দেওয়ার পরামর্শ সিপিডির

আপলোড সময় : ১০-১০-২০২৫ ০৭:৩১:৪৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১০-১০-২০২৫ ০৭:৩১:৪৮ অপরাহ্ন
উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের বিভিন্ন দুর্বলতার কথা তুলে ধরে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাব বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে বিদ্যমান এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থাকেই আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার  রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে?’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এ আহ্বান জানান সিপিডির গবেষকরা।
সংসদীয় সংস্কার ও জবাবদিহিতা বিষয়ক একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সরকারের কনসেনসাস কমিশনকে সিডিপির গবেষকরা বলেন, তারা যেন চূড়ান্ত ঐকমত্যের তালিকা থেকে ‘উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন’-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি বাদ দেন।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নিজাম আহমেদ। 
সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত বেশ কিছু সংস্কার ধারণা যেমন, বাইক্যামেরালিজম, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি বা নিয়োগ কমিটি গঠন নীতিগতভাবে আকর্ষণীয় হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এসব কার্যকর নয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এসব প্রস্তাব কার্যত প্রতীকী হয়ে থাকবে। এতে জবাবদিহি বা ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার বদলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা, প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ আরও বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই উচ্চকক্ষ গঠন না করে বিদ্যমান সংসদকেই কার্যকর করার ওপর জোর দিতে হবে।
বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোতে বিরোধী দলীয় এমপিদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ; রাজনৈতিক দলের তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা; স্থানীয় সরকারকে আর্থিকভাবে আরও স্বনির্ভর করা, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং দলত্যাগ রোধে আইনি সংস্কারসহ বেশ কিছু পরামর্শ দেয় সিপিডি।
সিপিডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার যেন নির্বাহী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারে, এজন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক পদে সরকারের নিয়োগের ক্ষমতা থাকা উচিত। তবে এসব নিয়োগ সংসদীয় পর্যালোচনা কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রাখতে হবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net