
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত হলেও সংবিধানের ধারাবাহিকতা মেনে চলছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেজন্য সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে বর্তমান সরকারের ক্ষমতা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। এ অবস্থায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রকে সূত্র ধরে সংবিধান আদেশ জারি এবং নির্বাচনের দিন গণভোটের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে এ বিষয়ে ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগের পরামর্শ নেয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এদিকে দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি থাকলেও চার মাসের ব্যবধানে দুটি ভোট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জটিল বলে মনে করছেন অনেকে। জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, এ সরকার সাংবিধানিক নাকি বিপ্লবী? সরকারের সেরকম পরিবর্তন করার এখতিয়ার আছে, যেরকমটা চাওয়া হচ্ছে?
ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর বিলুপ্ত সংসদ, ভেঙ্গে গেছে মন্ত্রিপরিষদ, গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, তাই সংবিধানের নির্বাহী বিভাগ এখন অকার্যকর। তবে মৌলিক অধিকার রক্ষায় আদালতে যত মামলা হচ্ছে সব সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। অন্যদিকে ৯৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিভিন্ন আদেশ দিয়ে সরকার তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে ৯৩ এর ক্ষমতা সীমিত, যা দিয়ে সাংবিধানিক সংস্কার সম্ভব নয়। সেজন্য সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সরকার কিছুটা সাংবিধানিক কিছুটা অসাংবিধানিক।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। পুরো সংবিধানের ভেতরে সরকার নাই। অভ্যুত্থান করার পরে আবার প্রবণতা দেখাইছেন-ধরেন এ রাষ্ট্রপতি রেখে দিছেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবার গেছেন আপনি যে, এটা বৈধ কি না-একটা মতামত দেন। তারমানে এ থেকে বোঝা যায় যে, একটা প্রবণতা হচ্ছে এরকম-একটা বৈধ পথে বাকিটা চালাইতে চান। আবার এটার ভেতরে বৈধ পথে কিছু পরিবর্তনও করতে চান যে পরিবর্তনটা প্রয়োজন।
সাত মাস ধরে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ৮৪টি সংস্কার ইস্যুতে ১১টি নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে। এসব সংস্কার করলে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন হবে। তবে এ পরিবর্তন পরবর্তী সংসদও করতে পারবে না। কারণ ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের ভোটে সংবিধান সংশোধন করার সুযোগ থাকলেও মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন হওয়ায় এরইমধ্যে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, ত্রয়োদশ এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করেছে আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী সংসদের কাছে সাংবিধানিক সংস্কার ছেড়ে দিতে চায় না জামায়াত, এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দল। অন্যদিকে নতুন করে সংবিধান রচনা কিংবা সংস্কারের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের বিপক্ষে বিএনপি। এ যখন দলগুলোর অবস্থান, তখন নির্বাচনের আগে কীভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যায় এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চায় ঐকমত্য কমিশন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য শরিফ ভূইয়া বলেন, বিপ্লব পরবর্তী শূন্যতা, তার থেকে সৃষ্ট সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা-সেটার একটা প্রতিফলন আমরা জুলাই ঘোষণায় দেখতে পাই। তার ওপরে জুলাই ঘোষণায় আমরা এটাও দেখতে পাই যে, জনগণ সংবিধান সংস্কারের কটা আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন। কাজেই আমরা এ বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে মনে করেছি যে, এ জিনিসগুলোর ভিত্তিতে বর্তমান সরকার একটা সংবিধান আদেশ দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো জুলাই ঘোষণাপত্রের আলোচিত ২২ অনুচ্ছেদ নিয়েও আছে বিতর্ক। এখানে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষমতা থাকলেও, ২৫ ও ২৭ অনুচ্ছেদে আছে পরবর্তী সংসদে বাস্তবায়নের কথা। তবে এটিকে সংস্কারের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। শরিফ ভূইয়া বলেন, বিএপি খুব একটা কথা বলে যে, সংবিধান সংস্কার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তো এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যদি আপনি মেনে নেন, তাহলে ২২, ২৫, ২৭ সবগুলো কিন্তু খুব সুন্দরভাবে সিংক করে। ২২ এর মাধ্যমে আমরা এখন যেটা বলছি-সংবিধান আদেশ, গণভোট এগুলো হতে পারে। কিন্তু এগুলো হওয়ার পরও পরবর্তী সংসদের কিছু কাজ করণীয় থেকে যাবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধান আদেশের পাশাপাশি নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোটের পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এ বিষয়ে ঐকমত্যের দলগুলোকে কাছাকাছি আসতে হবে।
নাগরিক কোয়ালিশেনের ফাহিম মাশরার বলেন, গণভোটের ব্যাপারে যদি এখন একধরনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে- বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে। আমার কাছে মনে হয়, হয়তো এনসিপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও গণভোটের ক্ষেত্রে অনেক পজিটিভ হওয়ার কথা। তবে এ সংকটের সমাধান জানতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে অনুসরণ করে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার দাবি তুলেছে বিএনপি। যদিও শঙ্কা থাকলেও ঐকমত্যের স্বার্থে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শরিফ ভূইয়া বলেন, ১০৬টা একটু কম গুরুত্ব দিচ্ছিলাম। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক বাস্তবতায় এখন ভাবছি যে, এটাকেও আমাদের সুপারিশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা। হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা যদি পারি মত কমিয়ে একটা বা দুইটায় আসবো। যদি না পারি তাহলে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে, সরকার যেটা ভালো মনে করে সেটা করুক। বা আরও যদি কেউ মনে করে যে সরকার না, তাহলে আদালতের কাছে যাওয়া দরকার। আমাদের মধ্যে এ রিস্ক নিয়েই যেতে হবে। যদিও রাজনৈতিক বিষয়ে আদালতের কাছে যাওয়ার আপত্তি জানিয়েছে জামায়াত, এনসিপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল।
তবে এ বিষয়ে ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিল বিভাগের পরামর্শ নেয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এদিকে দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি থাকলেও চার মাসের ব্যবধানে দুটি ভোট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জটিল বলে মনে করছেন অনেকে। জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, এ সরকার সাংবিধানিক নাকি বিপ্লবী? সরকারের সেরকম পরিবর্তন করার এখতিয়ার আছে, যেরকমটা চাওয়া হচ্ছে?
ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর বিলুপ্ত সংসদ, ভেঙ্গে গেছে মন্ত্রিপরিষদ, গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, তাই সংবিধানের নির্বাহী বিভাগ এখন অকার্যকর। তবে মৌলিক অধিকার রক্ষায় আদালতে যত মামলা হচ্ছে সব সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। অন্যদিকে ৯৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিভিন্ন আদেশ দিয়ে সরকার তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে ৯৩ এর ক্ষমতা সীমিত, যা দিয়ে সাংবিধানিক সংস্কার সম্ভব নয়। সেজন্য সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সরকার কিছুটা সাংবিধানিক কিছুটা অসাংবিধানিক।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। পুরো সংবিধানের ভেতরে সরকার নাই। অভ্যুত্থান করার পরে আবার প্রবণতা দেখাইছেন-ধরেন এ রাষ্ট্রপতি রেখে দিছেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবার গেছেন আপনি যে, এটা বৈধ কি না-একটা মতামত দেন। তারমানে এ থেকে বোঝা যায় যে, একটা প্রবণতা হচ্ছে এরকম-একটা বৈধ পথে বাকিটা চালাইতে চান। আবার এটার ভেতরে বৈধ পথে কিছু পরিবর্তনও করতে চান যে পরিবর্তনটা প্রয়োজন।
সাত মাস ধরে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ৮৪টি সংস্কার ইস্যুতে ১১টি নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে। এসব সংস্কার করলে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন হবে। তবে এ পরিবর্তন পরবর্তী সংসদও করতে পারবে না। কারণ ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের ভোটে সংবিধান সংশোধন করার সুযোগ থাকলেও মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন হওয়ায় এরইমধ্যে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, ত্রয়োদশ এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করেছে আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী সংসদের কাছে সাংবিধানিক সংস্কার ছেড়ে দিতে চায় না জামায়াত, এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দল। অন্যদিকে নতুন করে সংবিধান রচনা কিংবা সংস্কারের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের বিপক্ষে বিএনপি। এ যখন দলগুলোর অবস্থান, তখন নির্বাচনের আগে কীভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা যায় এ বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চায় ঐকমত্য কমিশন।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য শরিফ ভূইয়া বলেন, বিপ্লব পরবর্তী শূন্যতা, তার থেকে সৃষ্ট সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা-সেটার একটা প্রতিফলন আমরা জুলাই ঘোষণায় দেখতে পাই। তার ওপরে জুলাই ঘোষণায় আমরা এটাও দেখতে পাই যে, জনগণ সংবিধান সংস্কারের কটা আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন। কাজেই আমরা এ বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে মনে করেছি যে, এ জিনিসগুলোর ভিত্তিতে বর্তমান সরকার একটা সংবিধান আদেশ দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো জুলাই ঘোষণাপত্রের আলোচিত ২২ অনুচ্ছেদ নিয়েও আছে বিতর্ক। এখানে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষমতা থাকলেও, ২৫ ও ২৭ অনুচ্ছেদে আছে পরবর্তী সংসদে বাস্তবায়নের কথা। তবে এটিকে সংস্কারের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। শরিফ ভূইয়া বলেন, বিএপি খুব একটা কথা বলে যে, সংবিধান সংস্কার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তো এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যদি আপনি মেনে নেন, তাহলে ২২, ২৫, ২৭ সবগুলো কিন্তু খুব সুন্দরভাবে সিংক করে। ২২ এর মাধ্যমে আমরা এখন যেটা বলছি-সংবিধান আদেশ, গণভোট এগুলো হতে পারে। কিন্তু এগুলো হওয়ার পরও পরবর্তী সংসদের কিছু কাজ করণীয় থেকে যাবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংবিধান আদেশের পাশাপাশি নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোটের পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞ প্যানেল। এ বিষয়ে ঐকমত্যের দলগুলোকে কাছাকাছি আসতে হবে।
নাগরিক কোয়ালিশেনের ফাহিম মাশরার বলেন, গণভোটের ব্যাপারে যদি এখন একধরনের আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে- বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে। আমার কাছে মনে হয়, হয়তো এনসিপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও গণভোটের ক্ষেত্রে অনেক পজিটিভ হওয়ার কথা। তবে এ সংকটের সমাধান জানতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে অনুসরণ করে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার দাবি তুলেছে বিএনপি। যদিও শঙ্কা থাকলেও ঐকমত্যের স্বার্থে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শরিফ ভূইয়া বলেন, ১০৬টা একটু কম গুরুত্ব দিচ্ছিলাম। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক বাস্তবতায় এখন ভাবছি যে, এটাকেও আমাদের সুপারিশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা। হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা যদি পারি মত কমিয়ে একটা বা দুইটায় আসবো। যদি না পারি তাহলে সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে, সরকার যেটা ভালো মনে করে সেটা করুক। বা আরও যদি কেউ মনে করে যে সরকার না, তাহলে আদালতের কাছে যাওয়া দরকার। আমাদের মধ্যে এ রিস্ক নিয়েই যেতে হবে। যদিও রাজনৈতিক বিষয়ে আদালতের কাছে যাওয়ার আপত্তি জানিয়েছে জামায়াত, এনসিপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল।