
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, বাংলাদেশকে স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশের টেকসই সমাধানের জন্য বায়োটেকনোলজি নির্ভর ভবিষ্যতের পথে এগোতেই। গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে শুরু হওয়া ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও কৃষি বিষয়ক বায়োটেকনোলজি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা বায়োটেকনোলজির এক বিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। এখনই এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত অবক্ষয় স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে উঠছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বায়োটেকনোলজি কার্যকর সমাধান দিতে পারে। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষিকে বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা কল্পনা করতে পারি না, আবার পরিবেশগত স্থায়িত্ব ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তার কথাও ভাবা যায় না। এই আন্তঃসম্পর্কই আমাদের পথ দেখাবে। বাংলাদেশের অর্জনের উদাহরণ তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, উচ্চফলনশীল ও সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন, স্থানীয়ভাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট উৎপাদন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মাইক্রোবিয়াল প্রযুক্তির ব্যবহার ইতোমধ্যে আমাদের সাফল্যের গল্প তৈরি করেছে। এসব দৃষ্টান্ত আমাদের আরও দূর এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা একটি জাতীয় বায়োটেক উদ্ভাবন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠান দেশিয় ও প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে অ্যাকাডেমিয়া ও শিল্প খাতের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার বায়োটেক হাবে রূপান্তর করবে। একইসঙ্গে তিনি একটি জাতীয় বায়োটেক ডেটা ব্যাংক গঠনের আহ্বান জানান, যেখানে ক্লিনিক্যাল রেকর্ড থেকে শুরু করে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জিনোম তথ্য পর্যন্ত মানসম্মত ডেটা সংরক্ষিত থাকবে। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া গ্রুপ বাংলাদেশের সিইও আব্দুল আউয়াল মিন্টু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।