
আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলার সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বিএম কবিরুল হক মুক্তি। রাজধানীর গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় মুক্তিসহ দুইজনকে আদালতে হাজির করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ’র আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ মামলায় তাদের ছয়দিন করে রিমান্ড দেন। রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মোজাম্মেল হক (৬৭)। এদিন আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলার সময় জয় বাংলা স্লোগান দেন কবিরুল হক মুক্তি। আবার রিমান্ড মঞ্জুর শেষে হাজতখানায় প্রবেশ করানোর সময়ও মুক্তিসহ কয়েকজন আওয়ামীপন্থি আইনজীবী জয় বাংলা স্লোগান দেন। এদিন আসামিদের আদালতে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুস সালাম। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। অন্যদিকে, আসামির রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. কায়েস আহমেদ অর্নব। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক। এর আগে গত বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে গুলশান থানার ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে সেতুর ওপর মিছিল বের করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক স্লোগান দেন। এসময় রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেন বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় গুলশান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাহাবুব হোসাইন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।