বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন না ফেরার দেশে

শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়

আপলোড সময় : ১৫-০৯-২০২৫ ০৭:০০:০৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৫-০৯-২০২৫ ০৭:০০:০৬ অপরাহ্ন
চোখ ছলছল, হাতে ফুল মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার রাত সোয়া ১০টায় মারা গেছেন ফরিদা পারভীন। তার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শোক জানান। গতকাল রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ফরিদা পারভীনের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। শেষ শ্রদ্ধার আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থা (জাসাস)। এই আয়োজনে এক ভিডিও কলে অংশ নেন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা, ফরিদা পারভীনের প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানান তিনি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমানসহ আরও অনেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রহী রেখে গেছেন। ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। কিডনি জটিলতার কারণে তাকে সপ্তাহে দুদিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। গত ২ সেপ্টেম্বর তাকে মহাখালীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল নিয়মিত ডায়ালাইসিসের জন্য। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। কিডনিজনিত জটিলতা ছাড়াও ফরিদা পারভীন ফুসফুসের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডজনিত সমস্যাও রয়েছে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, ফরিদা পারভীনের রক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। সংক্রমণ বেড়েছে, আর কিডনির জটিলতাও রয়েছে। সবমিলিয়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। এরপর পার হতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই। পারিবারিক সূত্রেই গানের ভুবনে আসা। গানের প্রতি বাবার টান ছিল বেশি। দাদিও গান করতেন। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাকে।
সংগীত জগতে ফরিদা পারভীনের পথচলা শুরু ১৯৬৮ সালে, রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে তিনি খ্যাতি পান। পরবর্তী সময়ে সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে লালনগীতির তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে তিনি একুশে পদক পান।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net